যেখানে পর্তুগাল-মরক্কো দাঁড়িয়ে সমান্তরাল
কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলে কোয়ার্টার ফাইনালে সবচেয়ে কম হাইভোল্টেজ ম্যাচ পর্তুগাল ও মরক্কোর। বিশ্বকাপ ফুটবলে দুই দলেরই অতীত ইতিহাস খুবই বিবর্ণ।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসা আর দলের মাঝে এই দুই দলেরই ফাইনালে খেলার নজির নেই। পর্তুগালের সর্বোচ্চ সাফল্য সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলা। তারা এখন পর্যন্ত দুইবার খেলেছে সেমিফাইনাল। ১৯৬৬ সালের পর সব শেষ খেলেছিল ২০০৬ সালে। ১৯৬৬ সালে তারা তৃতীয় ও ২০০৬ সালে চতুর্থ হয়েছিল। আর যদি মরক্কোকে হারাতে পারে তাহলে তারা তৃতীয়বার খেলবে সেমিফাইনালে।
মরক্কোর ইতিহাস। এবার নিয়ে তারা পঞ্চমবার খেলছে বিশ্বকাপ । আগে চারবারের মাঝে ১৯৮৬ সালে একবার মাত্র শেষ ষোলতে খেলতে পেরেছিল। বাকি তিনবারই বিদায় নিয়েছে গ্রুপ পর্ব থেকে।
ইতিমধ্যে তারা বিশ্বকাপ ক্রিকেটে নিজেদের সেরা পারফরমেন্স দেখিয়ে শেষ আটে উঠেছে। সেমিফাইনালে যেতে পারলে সেটা হবে আরো আলোকিত। এবার অবশ্য তারা খুব ভালো ফুটবল খেলছে। গ্রুপ পর্বে হয়েছিল চ্যাম্পিয়ন
পর্তুগাল-মরক্কো দুই দলই বিশ্বকাপে নিয়মিত প্রতিনিধিত্ব করতে না পারায় দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার পরিসংখ্যানও খুবই কম।
দুইবার করে খেলে দুই দলই জিতেছে একবার করে দুই দলের প্রথম সাক্ষাতে জয়ী হয়েছিল মরক্কো। ১৯৮৬ সালে মেক্সিকো বিশ্বকাপ ফুটবলে গ্রুপ পর্বে পর্তুগালকে তিনি গোলে হারিয়েছিল মরক্কো পরে খেলেছিল শেষ ষোলতে। দু’দলের দ্বিতীয় সাক্ষাৎ সর্বশেষ রাশিয়া অনুষ্ঠিত ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে। এবারও মুখোমুখি গ্রুপ পর্বে। পর্তুগাল জিতেছিল ১-০ গোলে। মরক্কো বিদায় নিয়েছিল গ্রুপ পর্ব থেকে পর্তুগাল শেষ ষোল থেকে।
নকআউট পূর্বে দুই দলের এবারই প্রথম সাক্ষাৎ। দুই দলের সামনেই নিজেদেরকে আরও এগিয়ে নেওয়ার পালা। আফ্রিকার একমাত্র প্রতিনিধি মরক্কো জিতলেই নিজেদের সাফল্যকে আরও রঙিন করে তুলবে সেমিফাইনালে খেলে। পর্তুগাল জিতলে তৃতীয়বারের মতো উঠবে সেমিফাইনালে। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর পর্তুগাল সেমিফাইনালে উঠতে পারলে তারপর লক্ষ্য থাকবে ফাইনালে যাওয়ার।
এমপি/এমএমএ/