উচ্ছ্বাস-আনন্দের মধ্যে ম্যারাডোনাকে স্মরণ মেসির
বিশ্বকাপ শুরুর আগে মেসি বলেছিলেন, ম্যারাডোনা যেখানেই থাকুন না কেন, তিনি তাদের সঙ্গে আছেন কাতার বিশ্বকাপে। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবার স্বদেশীয় কিংবদন্তিকে স্মরণ করলেন মেসি।
কোয়ার্টার ফাইনালে টাইব্রেকারে নেদারল্যান্ডসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে আর্জেন্টিনা উঠে গেছে সেমিফাইনালে। এই ম্যাচের পর আর্জেন্টাইন অধিনায়ক বলেছেন, ‘ডিয়েগো আমাদের স্বর্গ থেকে দেখছেন, আমাদের অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্তও এটা একই রকম থাকবে।’
আর্জেন্টিনাকে শেষবার বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা, ১৯৮৬ সালে। ৩৬ বছর পর সেই দায়িত্বটা এবার মেসির কাঁধে। মেসি সে দায়িত্ব এখন পর্যন্ত ভালোভাবেই পালন করছেন। আর মাত্র দুটি ধাপ পেরুলেই স্বপ্নপূরণ হতে পারে মেসিদের।
৮২ মিনিট পর্যন্ত ২-০ গোলে এগিয়ে ছিল আর্জেন্টিনা। শেষ মুহূর্তে ২ গোল দিয়ে ম্যাচে ফেরে নেদারল্যান্ডস। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও দুই দল সমতায় থাকায় ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারের নায়ক গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। প্রথম দুটি শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। আর্জেন্টিনা গোল পায় প্রথম তিন শটেই। কিন্তু এনজো ফার্নান্দেজ চতুর্থ শটটা বাইরে মারায় আবার জমে ওঠে টাইব্রেকার। ডাচরা চতুর্থ ও পঞ্চম দুটি শটেই গোল করে। ফলে লাওতারো মার্তিনেজের নেওয়া পঞ্চম শটটা হয়ে উঠে ম্যাচের ভাগ্যনির্ধারক। তবে এবার আর ভুল করেননি মার্তিনেজ। বল জড়ান জালে। বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভেসে যায় মেসিরা। সেমিতে আর্জেন্টিনা লড়বে ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে।
জয়ের মুহূর্তটা কেমন ছিল মেসির কাছে। তিনি জানান, ‘যখন মার্তিনেজের গোলে আমরা সেমিফাইনালে উঠলাম, মুহূর্তটা খুবই আনন্দের ছিল। আমরা খুবই খুশি এবং উপভোগ করেছি। এখানে আমরা সবার মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখছি এবং আর্জেন্টিনায়ও দেখছি। আর্জেন্টাইন সবাই খুব খুশি, দারুণ রোমাঞ্চিত। শুরু থেকেই ম্যাচটা কঠিন ছিল, আমরা জানতাম, ম্যাচ মোটেই সহজ হবে না।’
এসজি