মলিনার গোলে প্রথমার্ধে এগিয়ে আর্জেন্টিনা
সেমি ফাইনালে আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দেখা হবে। এ রকম স্বপ্নে বিভোর ছিলেন ফুটবলপ্রেমীরা। দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা একই দিনে হওয়াতে সেখানে অন্য রকম একটা অনুভূতি কাজ করছিল সর্বত্র। কিন্তু শুরুতেই তারা হতাশ হয় প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে টাইবব্রকারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ব্রাজিল হেরে গেলে।
ব্রাজিল সমর্থকদের হতাশায় ডুবিয়ে মধ্য রাত আসার আগেই রাত গভীর হয়ে যায়। কিন্তু রাতে আর্জেন্টিনার খেলা থাকায় রাতের নিস্তব্ধতা আর থাকেনি। তবে তাদের মনে একটা শঙ্কা ছিল ব্রাজিলের মতো পরিণতি আর্জেন্টিনার হয় কি না? আপাতত তাদের সেই শঙ্কা দূর হয়েছে। প্রথমার্ধে মলিনার গোলে আর্জেন্টিনা ১-০ গোলে এগিয়ে আছে। মেসির দারুণ পাস থেকে মলিনা গোলটি করেন।
নেদারল্যন্ডস ১-৩-৪-১-২ এবং আর্জেন্টিনা ১-৫-৩-২ পদ্ধতিতে খেলা শুরু করে। খেলা শুরুর আগে কোচ লিওনেল স্কালোনি ডি মারিয়াকে খেলানো নিয়ে ধুয়াশা রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকে সেরা একাদশে রাখেননি। একইভাবে লাউতারো মার্টিনেজকেও একাদশে রাখেননি।
প্রথম কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের অনাকাঙ্ক্ষিত বিদায়ে দুই দলই ছিল অতিমাত্রায় সাবধানী। নিজেদের রক্ষণ দুর্গ সামলে তারা আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তবে নেদারল্যান্ডস ছিল বেশি সাবধানী। আর্জেন্টিনা যখনই আক্রমণে গিয়েছে,ডাচদের সব খেলোয়াড়কেই তাদের সীমনায় নেমে আসেন। যে কারণে আর্জেন্টিনা ডাচদের আক্রমণে উঠে আসার সুযোগ করে দেয়। তাই প্রথম গোল হওয়ার আগ পর্যন্ত ডাচদের দখলেই ছিল বল বেশি।
প্রথম ১০মিনিট বল দখলে এগিয়ে ছিল নেদারল্যান্ডস। এ সময় তাদের দখলে ছিল ৫২ শতাংশ বল। আর্জেন্টিনার দখলে ছিল ৪২ শতাংশ। তেমন কোনো পরিকল্পিত আক্রমণ কোনো দলই গড়ে তুলতে পারেনি। গোল পোস্ট লক্ষ্য করে আর্জেন্টিনা একটিমাত্র শট নিতে পেরেছিল। ২০ মিনিট পর্যন্ত দুই দলই কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। বল দখলে নেদারল্যান্ডস আরও এগিয়ে যায়। তাদের বল নিয়ন্ত্রণ ছিল ৫৮ শতাংশ। গোল পোস্ট লক্ষ্য করে কোনো দলই এ সময় বল মারতে পারেনি।
২০ থেকে ৩০ মিনিটে দুই দলই গোল পোস্ট লক্ষ্য করে একটি করে বল মারে। ২১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মেসির বাঁ পায়ের শট বারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়। ২৪ মিনিটে ডাচদের স্টিভেন বার্গউইজিনে শট সাইড বার দিয়ে বাইরে চলে যায়। এ সময় ডাচদের বল পজিশন বেড়ে ৬১ শতাংশ হয়। নেদাল্যান্ডস একটি কর্ণার আদায় করে নেয়।
৩২ মিনিটে আর্জেন্টিনা একটি সুযোগ পেয়েছিল। মেসির কাছ বাড়িয়ে দেওয়া বল বক্সের বাইরে থেকে ডি পলের বাম পায়ের প্লেসিং শটে সরসারি গোলরক্ষক নোপার্টের হাতে চলে যায়। ৩৪ মিনিটে সেই মেসির আরেকটি সুযোগ সন্ধানি পাস থেকে আসে গোল। বক্সের বাইরে থেকে ডাচদের তিন/চার জন খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে ডিফেন্স চেরা পাস দেন মলিনাকে লক্ষ্য করে। মলিনা দ্রুত গতিতে বক্সে ডুকে গোলরক্ষক নোপার্টকে বোকা বানান।
৩০ থেকে ৪০ মিনিট ছিল সম্পূর্ণ ছিল আর্জেন্টিনার এ সময় তাদের বল নিয়ন্ত্রণ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৬ শতাংশ। ৩৯ মিনিটে আলভারেজের পাস থেকে বক্সের ভেতর মেসির ডান পায়ের দূর্বল শট সরাসরি নোপার্টের হাতে যায়।
এমপি/এমএমএ/