ক্রোয়েশিয়ার কাছে কখনোই হারেনি ব্রাজিল
বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিলই একমাত্র দল যারা প্রতিটি আসরেই খেলেছে। সবচেয়ে বেশি শিরোপা জেতা দলও ব্রাজিল। সর্বশেষ ২০০২ সালে তারা শিরোপা জিতেছিল। যা ছিল তাদের পঞ্চম শিরোপা। এরপর থেকেই তারা আছে শিরোপা খরায়। একটি করে আসর আসে, ব্রাজিল ‘হেক্সা’ জয়ের আশায় থাকে। কিন্তু হেক্সা জেতা আর হয় না।
এবারও তারা হেক্সা মিশনে পৌঁছে গেছে শেষ আটে। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা মুখোমুখি হবে বর্তমান রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়ার। ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপ মিশন খুব বেশি দিনের নয়। যুগোস্লাভিয়া থেকে বের হয়ে আসার পর ১৯৯৮ সালে তারা প্রথম খেলে। প্রথমবারই তারা সেমি ফাইনালে উঠে তৃতীয় হয়ে চমক দেখায়। এরপর ২০১০ সাল বাদে প্রতিবারই তারা বিশ্বকাপের টিকিট পেয়েছে। কিন্তু ২০১৮ সাল ছাড়া আর কখনোই গ্রুপপর্বের গণ্ডি পার হতে পারেনি। গতবার তারা অপ্রতিরোধ্য কিলিয়ান এমবাপের ফ্রান্সের কাছে ৪-২ গোলে হেরে গিয়েছিল। এবার তারা পৌঁছে গেছে শেষ আটে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) রাত ৯টায় এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ব্রাজিলের।
ব্রাজিল ‘জি’ গ্রুপে সেরা হয়ে শেষ ষোলোতে উঠে আসে। গ্রুপপর্বে তারা ২-০ গোলে সার্বিয়াকে, ১-০ গোলে সুইজারল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ ম্যাচে দ্বিতীয় একাদশ নামিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হেরেছিল ১-০ গোলে। শেষ ষোলোতে তারা দক্ষিণ কোরিয়াকে উড়িয়ে দিয়েছিল ৪-১ গোলে।
ক্রোয়েশিয়া ‘এফ’ গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে শেষ ষোলো খেলেছিল। প্রথম ম্যাচে মরক্কোর সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করার পর দ্বিতীয় ম্যাচে বেলজিয়ামকে হারিয়েছিল ২-০ গোলে। শেষ ম্যাচে কানাডাকে ২-১ গোলে হারিয়ে তারা টিকিট নিশ্চিত করে শেষ ষোলোর। এখানে তারা জাপানকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে পরাজিত করে। নির্ধারিত সময় খেলা ১-১ গোলে ড্র ছিল।
কোয়ার্টার ফাইনালে দেখা হওয়ার আগে ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপে মুখোমুখি হওয়ার দুইবার নজির আছে। ২০০৬ ও ২০১৪ সালে তারা মুখোমুখি হয়েছিল। প্রথমবার কাকার গোলে জয় পেয়েছিল। পরেরবার ঘরের মাঠে জিতেছিল ৩-১ গোলে। নেইমার করেছিলেন দুই গোল। অপর গোল করেছিলেন ওসকার।
বিশ্বকাপের মঞ্চ ছাড়া দুই দল আরও দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। ব্রাজিলের হারের রেকর্ড নেই ক্রোয়েটদের বিপক্ষে। ২০১৮ সালে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল ২-০ গোলে। কিন্তু দুই দলের প্রথম মোকাবিলায় আবার ব্রাজিল জিততে পারেনি। ২০০৫ সালে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
এমপি/এসজি