বিশ্বকাপের মাঝেই দেশে ফেরার হুমকি রোনালদোর!
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে পর্তুগাল। আগামী শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সেমিতে যাওয়ার লড়াইয়ে দলটির প্রতিপক্ষ মরক্কো। এরই মধ্যে কোচের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জের ধরে বিশ্বকাপ থেকে দেশে ফেরার হুমকি দিয়েছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। এমনটাই জানিয়েছে পর্তুগিজ সংবাদমাধ্যম।
সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম একাদশে ছিলেন না রোনালদো। তাকে নামানো হয় ৭৩ মিনিটে। রামোসের হ্যাটট্রিকে পর্তুগাল ম্যাচ জেতে ৬-১ গোলে। তবে ম্যাচের পর সতীর্থরা যখন দর্শকের কাছে গিয়ে সমর্থকদের অভিবাদন জানাচ্ছিলেন, তখন রোনালদো একা একা হেঁটে সাজঘরে ঢুকে যান। সংবাদমাধ্যমের দাবি, ম্যাচের পর নাকি পর্তুগাল কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় রোনালদোর।
পরে হুমকি দেন বিশ্বকাপ না খেলে দেশে ফেরার। সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলে শান্ত হন রোনালদো। বুঝতে পারেন বিশ্বকাপের মতো মঞ্চে দলের সঙ্গে থাকাটা তার জরুরি। সতীর্থরা তাকে বোঝান, রোনালদো এই বিশ্বকাপে সব সময় সংবাদমাধ্যমের নজরে রয়েছেন। তার প্রতিটি পদক্ষেপ নজরে রাখা হচ্ছে। ফলে এখনই তিনি যদি দেশে ফেরার মতো বিরাট কোনো পদক্ষেপ নেন, তাহলে দলের উপর তার মারাত্মক প্রভাব পড়বে।
রোনালদো শুরুর একাদশে না থাকার কারণ হিসেবে পর্তুগাল কোচ সান্তোস উল্লেখ করেছিলেন, ‘অধিনায়ক হিসেবে দলের সামনে উদাহরণ তৈরি করেছে রোনালদো। তাকে প্রথম একাদশে না রাখার কারণ সম্পূর্ণ কৌশলগত। এর বেশি কিছু ব্যাখ্যা করতে পারব না।’
গ্রুপপর্বে দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে আগেই রোনালদোকে তুলে নিয়েছিলেন কোচ সান্তোস। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্কের অবনতি। মাঠ ছাড়ার সময় মুখে আঙুল দিয়ে চুপ থাকার অঙ্গভঙ্গি করেন রোনালদো। এমন ভঙ্গি ভালো লাগেনি পর্তুগাল কোচের। তবে রোনালদোর দাবি, এটি তিনি কোচের উদ্দেশ্যে করেননি। কোরিয়ার এক খেলোয়াড় তাকে দ্রুত মাঠ ছাড়তে বললে তার উদ্দেশ্যে এমনটি করেছিলেন।
এসজি