হ্যাটট্রিকের কল্পনাও করেননি রামোস
শুরুর একাদশেই কখনো নামা হয়নি পর্তুগাল দলে। অথচ বিশ্বকাপ মঞ্চে সেই সুযোগটা পেলেন গনজালো রামোস। নেমেই করলেন হ্যাটট্রিক। হলো রেকর্ড। তার হ্যাটট্রিকে সুইজারল্যান্ডকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে পর্তুগিজরা এখন কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। অথচ এমন ম্যাচে তিনি হ্যাটট্রিক পাবেন, তা কল্পনাও করেননি ২১ বছর বয়সী রামোস।
হঠাৎ করেই পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে সাইড লাইনে রেখে মূল দলে রামোসের অন্তর্ভুক্তি সবাইকে বিস্মিত করেছিল। কিন্তু কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন তরুণ এই স্ট্রাইকার।
ম্যাচ শেষে উচ্ছ্বসিত রামোস বলেছেন, ‘আমি স্বপ্নেও কখনো ভাবিনি বিশ্বকাপে নকআউট পর্বে আমার এমন একটি শুরু হবে এবং আমি তিন গোল করতে পারব। কিন্তু আমাদের ম্যাচ বাই ম্যাচ চিন্তা করতে হবে। এখন আমাদের শেষ আটে মরক্কোর ম্যাচ নিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে। এই ফলাফল এখন আর কোনো অর্থ বহন করে না। পরবর্তী ম্যাচই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য।’
পর্তুগালের হয়ে রোনালদোর যখন অভিষেক হয়েছিল তখন রামোসের বয়স ছিল মাত্র দুই বছর। ৩৭ বছর বয়সী রোনালদো সব সময়ই তার আইডল ছিল। লুসাইল স্টেডিয়ামে ম্যাচ সেরার পুরস্কার নেওয়ার সময় যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ম্যাচের শুরুতে সান্তোসের বিস্ময়কর দল নির্বাচনে ড্রেসিংরুমের পরিস্থিতি কেমন ছিল।
উত্তরে রামোস বলেন, ‘সত্যি বলতে কী কেউ এ বিষয়ে কথা বলেনি। অধিনায়ক হিসেবে রোনালদোর যা করার দরকার সে করেছে, সে সবার সঙ্গে কথা বলেছে, সবাইকে সহযোগিতা করেছে। শুধুমাত্র আমাকে নয়, প্রত্যেকের সঙ্গেই সে কথা বলেছে। রোনালদো সব সময়ই আমাদের রোল মডেল, আমি একই সঙ্গে রবার্ট লিওয়ানদোস্কি, ইব্রাহিমোভিচকেও পছন্দ করি।’
সুইজারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৬-১ গোলে জয় পায় পর্তুগাল। ১৭, ৫১, ৬৭ মিনিটে গোল করে স্বপ্নের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন রামোস। একটি করে গোল করেন পেপে, গুয়েরিরো ও লিয়াও।
এসজি