রোনালদোর বাদ পড়া একটি দৃষ্টান্ত!
পর্তুগাল খেলছে বিশ্বকাপে। একাদশে নেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। অবিশ্বাস্য এই ঘটনার জন্ম দিয়েছেন ফার্নান্দো সান্তোস। ফুটবলে এটাই এখন ‘টক অব দ্য ওয়ার্ল্ড’। গুঞ্জন উঠেছে, এ যাত্রায় হয়ত জাতীয় দলের দরজাও বন্ধ হচ্ছে পর্তুগিজ যুবরাজের জন্য। তবে সান্তোস বলছেন, রোনালদোর বাদ পড়া একটি দৃষ্টান্ত!
গ্রুপপর্বের সবশেষ ম্যাচে বিতর্কের জন্ম দেন রোনালদো। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন সান্তোস। সেই মুহূর্তে প্রতিপক্ষের এক ফুটবলারও সিআর-সেভেনকে ইশারায় মাঠ ছাড়ার ইঙ্গিত দেখান। তাতেই চটেছিলেন রোনালদো। বেঞ্চে ফিরে বোতল ছুঁড়ে মারেন ডাগআউটে।
শিষ্যের এমন আচরণ মোটেও ভালো লাগেনি সান্তোসের, শেষ ষোলোর ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সোজাসাপ্টা বলে দেন পর্তুগাল কোচ। এরপর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে রোনালদোকে ছাড়াই একাদশ সাজান তিনি। সবাই ধরে নেয় যে ক্ষোভের কারণে রোনালদোকে বেঞ্চে বসিয়ে রেখেছেন সান্তোস।
রোনালদোকে অবশ্য পুরো ম্যাচ বসিয়ে রাখা হয়নি। ৭৩ মিনিট তাকে মাঠে নামানো হয়। তবে দলের ৬-১ গোলে জয়ের ম্যাচে স্কোরশিটে নাম তুলতে পারেননি ক্লাবহীন এই ফুটবলার। পর্তুগাল কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিতের পর নিজ সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দেন সান্তোস।
পর্তুগাল কোচ বলেছেন, ‘এটি খেলার কৌশল ছিল। ফার্নান্দো সান্তোস এবং জাতীয় দলের অধিনায়কের (রোনালদো) মধ্যে কোনো সমস্যা নেই, আমরা বহু বছর ধরে বন্ধু। খেলোয়াড়রা সিদ্ধান্ত নেয়। জিনিসগুলো আমাদের প্রভাবিত করে না।’
সান্তোস যোগ করেন, ‘আমি আগেই সেই অংশটি (রোলানদোর মেজাজ হারানো) সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা করেছি, যেটার সমাধান হয়েছে। সে একজন দুর্দান্ত অধিনায়ক এবং দুর্দান্ত একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।’
আরএ/