সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে বিদায় করে মরক্কোর ইতিহাস
১২০ মিনিটের লড়াই হলো ধুন্ধমার। কিন্তু গোলের দেখা নেই। ম্যাচ গড়ালো টাইব্রেকারে। যেখানে শেষ হাসি মরক্কোর। সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন স্পেনকে হারিয়ে (৩-০) প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নাম লিখিয়ে ইতিহাস গড়েছে আফ্রিকান দলটি। জয়ের নায়ক টাইব্রেকারে দুটি শট সেভ করা মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন।
কাতারের এডুকেশন স্টেডিয়ামে স্পেন-মরক্কোর লড়াই ছিল বেশ জমজমাট। তবে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে কোন দল পায়নি গোলের দেখা। অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটেও তাই। টাইব্রেকারে হয় ম্যাচের নিষ্পত্তি।
স্পেন তিনটি শট নিলেও গোল করতে পারেনি একটিও। প্রথমটি লাগে পোস্টে। পরের দুটি ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন মরক্কো গোলরক্ষক। অন্যদিকে প্রথম দুটি শটেই সফল মরক্কো। তৃতীয় শটে ব্যর্থ। চতুর্থ শটে স্পেনের জালে বল আশরাফি হাকিমির। মরক্কোকে জয়োৎসব।
ম্যাচের প্রথমার্ধে মরক্কোর দাপট ছিল বেশ। ১১ মিনিটে বক্সের একটু বাইরে থেকে আশরাফ হাকিমির শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে উড়ে যায়। হা হুতাশ বাড়ে মরক্কো শিবিরে। ২৫ মিনিটে নিজেদের ভুলে বিপদে পড়তে বসেছিল মরক্কো। প্রতিপক্ষের দুর্বল পাস কাজে লাগিয়ে ওলমোর শট গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে ক্রসবারে লাগে। যদিও পতাকা তোলে লাইন্সম্যান, অফসাইড।
৩৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মরক্কোর মাসাওয়ির জোরাল শট রুখে দেন স্পেনের গোলরক্ষক উনাই সিমোন। বিরতির আগে মরক্কোর সোফিয়ান বুফালের ক্রসে নায়েফ আগের্দের হেড চলে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। প্রথমার্ধে বিরতিতে যায় দুই দল গোলশূন্য সমতায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ প্রথম প্রতিপক্ষের গোল পোস্টে শট নিতে পারে স্পেন। কিন্তু আসেনসিওর পাসে ওলমোর শট প্রতিহত করেন মরক্কোর গোলরক্ষক ইয়াসিন। ৬৩ মিনিটে দুটি পরিবর্তন স্পেন দলে। আসেনসিওর জায়গায় আলভারো মোরাতা ও গাভির বদলি মাঠে নামেন কার্লোস সলের। একটু পর ফেররান তরেসকে তুলে নামানো হয় নিকো উইলিয়ামসকে। ৮০ মিনিটে নিকোর দারুণ ক্রসে ভালোমতো শট নিতে পারেননি ওলমো।
মরক্কো দ্বিতীয়ার্ধে উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ৮৬ মিনিটে। হাকিম জিয়াশের ক্রসে ওয়ালিদ নিতে পারেনি জোড়ালো শট। ৫ মিনিটের ইনজুরি টাইমের শেষ মুহূর্তে প্রায় গোল যাচ্ছিল স্পেন। ওলমোর ফ্রি-কিকে বল যাচ্ছিল জালের দিকে, তবে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত ত্রিশ মিনিটে। সেখানেও গোল হয়নি। অবশেষে টাইব্রেকারে ইতিহাস গড়ে মাঠ ছাড়ে মরক্কো।
/এএস