সেই রাতে অনেক কেঁদেছিলেন নেইমার
নেইমার ফিরলেন, গোল করলেন, অ্যাসিস্ট করলেন। ব্রাজিলও বিশ্বকাপে এগিয়ে গেল আরেক ধাপ। বলাই যায়, নেইমারের উপস্থিতিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছে সেলেকাওরা। পিএসজি সুপারস্টারও ভাসছেন আনন্দে। একইসঙ্গে জানালেন, সেই রাতে অনেক কেঁদেছিলেন তিনি।
যে টুর্নামেন্টের জন্য সেরা প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নেইমার, সেই বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই চোটে পড়েন তিনি। তার ডান পায়ের গোড়ালি ফুলে গিয়েছিল অনেকটা, যা দেখে ভক্তরা তো বটে, খোদ নেইমারও কেঁদেছিলেন অবুঝ শিশুর মতো।
মাঠে ৩০ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের সেই কান্না দেখেছে সবাই, কিন্তু হোটেলে নেইমারের নির্ঘুম রাত ও চোখের জল দেখেনি কেউ। সেই কষ্টের দিনটার কথা এভাবেই বললেন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা, ‘আমি যখন ইনজুরিতে পড়ি তখন খুব কষ্টের রাত কাটিয়েছি। এক মিলিয়ন ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল আমার মাথায়।’
সেদিন অনেক কেঁদেছিলাম—এতটুকু বলেই মনের কষ্টটা দূর করেন নেইমার। তিনি কতটা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন তা প্রকাশ করেন এভাবে, ‘আমি এই বিশ্বকাপে আর খেলতে না পারার ভয়ে ছিলাম কিন্তু আমার সব সতীর্থ এবং আমার পরিবারের সমর্থন ছিল যারা আমাকে শক্তি দিয়েছে।’
রিচার্লিসন জানান, নেইমারের উপস্থিতিতে অন্য সবার জন্য খেলাটিকে সহজ করে তোলে, ‘নেইমার ফিরে আসায় আমি খুব খুশি। (দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে) মাঠে তিনি দুই বা তিনজন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে অন্যদের সুযোগ গড়ে দিয়েছেন।’
আরএ/