শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

মুন্নাকে রাফ চার্জ করে ধমক খেয়েছিলেন নবিন

বাংলাদেশের ফুটবলের জনপ্রিয়তা তখন আকাশচুম্বী। আবাহনী-মোহমেডানের ম‌্যাচ মানেই দেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়া। উত্তেজনায় টুইটুম্বর। একই পরিবারে এক ভাই আবাহনীর সমর্থক হলে আরেক ভাই মোহামেডানের সমর্থক। কিন্তু মোহামেডান আবাহনীর খেলার দিন ভাইয়ে ভাইয়ে সম্পর্ক তখন আড়ালে পড়ে যায়। সব ছাপিয়ে নিজেদের প্রিয় দলই মূখ‌্য। প্রিয় দলকে নিয়ে এক ভাই আরেক ভাইকে কটাক্ষ করতে কোনও ছাড় নেই। সেই সময়ে একজন কিশোরের, একজন তরুণের স্বপ্ন ছিল ফুটবলার হওয়া। আবাহনী কিংবা মোহামেডানে খেলা। মোহামেডান-আবাহনীর জনপ্রিয়তার ঢেউ এমনই উত্তাল ছিল যে জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন তখন তাদের কাছে প্রাধান‌্য পেত না। কিন্তু চাইলেই তো আর এই দুই দলে খেলা সম্ভব হয় না। তাই অনেকেই প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলে দুধের স্বাধ ঘোলে মেঠাতে। এমনই একজন ফুটবলার ছিলেন নবিন রহমান। নবিন নামেই ফুটবল অঙ্গনে সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন তিনি।

১৯৮৪ সালে পাইনিয়ার ফুটবল লিগে কলাবাগান ক্লাবের হয়ে খেলা শুরু করেন। পরের বছর দ্বিতীয় বিভাগে ইস্ট বেঙ্গলে খেলেন। সেই ক্লাবে ছিলেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা অধিনায়ক জুয়েল রানাও। এরপর ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ফুটবল লিগে আত্মপ্রকাশ তার। তারপর খেলেন ফরাশগঞ্জ ক্লাবে।

ধানমন্ডি ক্লাবের হয়ে খেলার সময়ই নবিন আবাহনীর বিপক্ষে একটি ম‌্যাচে মাঠে নেমেছিলেন। তিনি ছিলেন আবাহনীরই সমর্থক। মাত্র খেলা শুরু করেছেন। উদীয়মান। স্বপ্ন দেখছেন আবাহনীর আকাশি-হলুদ জার্সি পড়ে মাঠে নামবেন। তার আগেই চলে আসে আবাহনীর প্রতিপক্ষ হয়ে মাঠে নামার। মিরপুরে ধানমন্ডির হয়ে আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন। তখন দেশ কাঁপানো ফুটবলার মোনেম মুন্না। রক্ষণভাগের খেলোয়াড় হলেও মুন্না মাঝে মাঝে ওভারল‌্যাপ করে উপরে উঠে যেতেন। সেই ম‌্যাচের স্মৃতিচারণ করে নবিন বলেন, ‘একবার মুন্না ভাইকে রাফ চার্জ করেছিলাম। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এই তুই সাবধানে খেলিস কিন্তু। পাটা ভাইঙ্গালামু। তুই ওল্টা-পার্টা চার্জ করস। এই স্মৃতি আমাকে খুবই আবেগ আপ্লুত করে তুলে। মুন্না ভাইতো এখন আর বেঁচে নেই।‘

মোহামেডানের বিপক্ষে খেলার সেই রকম অভিজ্ঞতা নেই। কারণ তিনি যখন উদীয়মান তখনই পায়ে ব‌্যাথা পেয়ে খেলা ছেড়ে দিতে বাধ‌্য হয়েছিলেন।

নবিন নিজের ফুটবল জীবনের ইতি টানার ঘটনা বলতে গিয়ে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন। তিনি বলেন, ‘আমি মাত্র খেলা শুরু করেছি। চোখে অনেক স্বপ্ন। খুব বেশি দূরে যেতে পারেনি। পায়ে ব‌্যাথা পেলাম। আর মাঠে ফিরতে পারলাম না। পরে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে চলে আসি অস্ট্রেলিয়াতে। এখানে ইনশাল্লাহ ভালো আছি। খেলাধুলা করি না। তবে মাঝে মাঝে টুর্নামেন্ট হলে খেলি। ফুটবলকে আমি খুব মিস করি। আমার অন্তরে ফুটবল। খুব বেশি ভালোবাসি ফুটবলকে।’

নবিন খেলা শিখেছিলেন ফুটবলার গড়ার কারিগর আলী ইমামের কাছে। নামকরা অনেক ফুটবলার তখন ছিলেন আলী ইমামের ছাত্র। ফুটবলের পাশাপাশি তিনি নির্মাণ স্কুল ক্রিকেটও খেলছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল, খালেদ মাহমুদ সুজন, সেলিম শাহেদেদের সঙ্গে।

প্রবাসী হলেও দেশের ফুটবলের খবরাখবর সব সময় রাখেন নবিন। দেশে যে সকল বন্ধু, ছোট ভাই-বড় ভাই আছেন সেই ছোট মুন্না, আলমগীর, আরমান, আরিফ, লিটন ( ব্রাদার্স)তাদের কাছ থেকে তিনি ফুটবলের খবর পেয়ে থাকেন। ফুটবলের এখন জনপ্রিয়তা নেই। এটি তাকে কষ্ট দেয়। অস্ট্রেলিয়াতে যারা যখন জানে তিনি দেশে ফুটবল খেলতেন তখন অনেকেই বিশেষ করে সিনিয়ররা নবীনের কাছে জানতে চান তিনি কোথায় খেলেছেন, কোন ক্লাবে খেলেছেন। তখন বেশি সম্মানবোধ করে থাকেন তিনি। অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসরত জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাহবুবুর রহমান সেলিমের সঙ্গে তার খেলা নিয়ে আলোচনা হয়। দুজনেই ভালো বন্ধু।

ফুটবলার নবিনকে দেশের ক্রিকেটের সাফল‌্য গর্বিত করে। অস্ট্রেলিয়াতে খেলা হলে তিনি ছুটে যান মাঠে স্বপরিবারে। এবারও তাই করেছেন। তিনি বলেন, ‘ ক্রিকেটের সাফল‌্য আমাকে অনেক গর্বিত করে। আমাদের দেশকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। আমি ক্রিকেট খুব ভালোবাসি।আমাদের গর্ব করার মতো এই ক্রিকেটই আছে। ক্রিকেটে ডিফারেন্ট স্টোরি।’

অস্ট্রেলিয়ানরা তাদের মূল ভেন্যুগুলোতে বাংলাদেশকে খেলার সুযোগ না দেওয়াতে নবিনের কন্ঠে ঝড়েছে আক্ষেপ। তিনি আশা করেন, প্রবাসী বাংলাদেশি দর্শকদের কথা ভেবে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশের খেলাগুলো তাদের মূল ভেন্যুগুলোতে দিবে।

তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানরা বাংলাদেশ দলকে সব সময় খেলার সুযোগ দেয় না। দিলেও হয় ডারউইন না হয় কেয়ানর্সে খেলা দেয়। সেখানে বাঙালি নেই বললেই চলে। কিন্তু এখানে খেলা দিলে কি পরিমাণ বাঙালি দর্শক হয় তাতো সবাই দেখছেনই। তাই অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ডের উচিত হবে বাংলাদেশের খেলাগুলো, যাতে সিডনি, মেলবোর্ন, অ‌্যাডিলেডের মতো যেখানে বাংলাদেশের মানুষের বসবাস বেশি সেই সব জায়গাতে খেলার ‍সুযোগ দেওয়া।’

এমপি/এসআইএইচ

Header Ad
Header Ad

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী

প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (বামে) এবং পূজা চেরী। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছরের শুরুতেই নির্মাতা আলোক হাসান ‘টগর’ সিনেমার মোশন পোস্টার প্রকাশ করে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে হইচই ফেলে দেন। মোশন পোস্টারে আদর আজাদ এবং প্রার্থনা ফারদিন দীঘির নাম ঘোষণা করা হলেও, এবার পরিবর্তন এসেছে।

জানা গেছে, দীঘির পরিবর্তে সিনেমায় নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করবেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরী।

চলচ্চিত্রের পরিচালক আলোক হাসান জানিয়েছেন, ১ জানুয়ারি সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে দীঘির নাম থাকলেও, কিছু কারণবশত নায়িকা পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলতে চাননি তিনি। আলোক হাসান বলেন, “আমরা মনে করি, পূজা চেরীকে যুক্ত করতে পারাটা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। এখন দ্রুত কাজটি শেষ করতে চাই।”

‘টগর’-এর শুটিং শুরু হবে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি, এবং পুরো ইউনিট শুটিংয়ের জন্য ঢাকা ছাড়বে দুদিন আগে। সিনেমাটি প্রযোজনা করছে এ আর মুভি নেটওয়ার্ক, যেখানে আদর আজাদ, পূজা চেরী ছাড়াও অভিনয় করছেন আজাদ আবুল কালাম, রোজী সিদ্দিকী, সুমন আনোয়ার, জোযন, এল আর খান সীমান্ত, শরিফুল প্রমুখ।

অভিনেতা আদর আজাদ বলেন, “গত চার মাস ধরে এই প্রজেক্টের সঙ্গে জড়িত। তবে মাঝখানে ‘পিনিক’-এর শুটিং করেছি। এখন অবশেষে ক্যামেরা ওপেন হচ্ছে, এবং আমরা সবাই প্রোডাকশন ও কাজটি নিয়ে আশাবাদী।”

পূজা চেরী বলেন, “আলোক হাসান ও আদর আজাদের সঙ্গে এর আগে কাজ করেছি। প্রথমে এনাউন্সমেন্ট টিজারে ভিন্ন কাস্টিং দেখার কারণে আমি সিনেমাটি করতে চাচ্ছিলাম না, তবে পরবর্তীতে টিম আমাকে গল্পটি বোঝালে এবং স্ক্রিপ্টের ডক্টরিং ও রিডিং সেশনে এটি ভিন্ন মাত্রা পাওয়ার পর আমি রাজি হয়ে যাই।”

সিনেমাটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য এ আর মুভি নেটওয়ার্কের, এবং সংলাপ লিখেছেন মামুনুর রশিদ তানিম। নির্মাতারা জানিয়েছেন, সিনেমাটি আগামী ঈদুল আযহায় মুক্তি দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস

নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস। ছবি: সংগৃহীত

দুই ঠিকাদার কর্মীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এতে পাচার হয়েছে ঘাঁটির সংবেদনশীল এলাকার ছবি, ভিডিও, নথিসহ বিভিন্ন ভবনের নকশা।

এমন অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (আইএসআই) বিরুদ্ধে। ভারতীয় জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার (এনআইএ) দাবি, নারী গোয়েন্দাকে ব্যবহার করে সুকৌশলে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) এ পর্যন্ত দুই জনকে আটক করেছে দেশটির এনআইএ।

জানা যায়, ১১ হাজারেরও বেশি একর জায়গা নিয়ে ভারতের ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে অবস্থিত নৌঘাঁটি- ‛আইএনএস কদম্ব’। বর্তমানে এটিই দেশটির তৃতীয় সর্বোচ্চ নৌঘাঁটি। তবে, সম্প্রসারণ কাজ শেষ হলে পূর্ব গোলার্ধ্বের সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটিতে পরিণত হবে। ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটিগুলোর একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে আইএনএস কদম্বকে। সামরিক ও প্রতিরক্ষাখাতে কৌশলগত ব্যাপক অবদান রয়েছে। তবে, চতুর্দিক নিরাপত্তায় মোড়া এই ঘাঁটির সংবেদনশীল তথ্য হাতিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান। এমন অভিযোগ উঠেছে দেশটির প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বিরুদ্ধে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর দাবি- ঐ নৌঘাঁটিতে কর্মরত দুই সিভিলিয়ান ঠিকাদার কর্মীদের হানিট্র্যাপে ফেলে তথ্য হাতিয়ে নেয় নাফিসা জান্নাত নামের এক পাকিস্তানি নারী গোয়েন্দা। যার সাথে ২০২৩ সাল থেকে পরিচয় ছিল ঐ দুই কর্মীর। মেরিন ইঞ্জিনিয়ার পরিচয়ে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক এবং টেলিগ্রামে ভিন্ন নামের তাদের সাথে শখ্যতা গড়ে তোলেন ঐ নারী।

গণমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ঐ দুই ঠিকাদার কর্মীর মাধ্যমে আইএনএস কদম্বের খুবই সংরক্ষিত স্থানের ছবি, ভিডিও, গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্মাণাধীন স্থাপনার নকশা, সিমুলেটর বিল্ডিং এরিয়ার ছবি সুকৌশলে হাতিয়ে নেন ঐ পাকিস্তানি গোয়েন্দা। এমনকি কোন জাহাজ কখন কোথায় টহল দেয়, কোনটি অপারেশনাল কিংবা রেডি টু এনগেজ মুডে থাকে এসব তথ্য রয়েছে আইএসআই’র কাছে।

তবে, আটক দুই ব্যক্তির ভাষ্যমতে, প্রতি মাসে তাদের ৫ হাজার রুপি করে দেয়া হত। টানা ৮মাস টাকা দিয়ে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে তাদের বিশ্বাস অর্জন করে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা। সম্প্রতি, তাদের মাধ্যমে পাচার হয় ভারতীয় নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

দীঘি নয়, ‘টগর’ সিনেমায় নায়িকা হচ্ছেন পূজা চেরী
নারী গোয়েন্দার প্রেমের ফাঁদে পড়ে ভারতের গোপন তথ্য ফাঁস
নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার