ঘনিয়ে আসছে মাহেন্দ্রক্ষণ
ক্রমেই ঘনিয়ে আসছে মাহেন্দক্ষণ। এই মাহেন্দ্রক্ষণ হলো সাফের নতুন রানি বাংলাদেশ দলের প্রত্যাবর্তন। সাবিনা-সানজিদা-কৃষ্ণা-মারিয়া-স্বপ্নাদের নিয়ে নেপালের কাঠমান্ডু থেকে ছেড়ে আসা বিমান বাংলার মাটিতে অবতরণ করবে দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে।
সাবিনাদের বরণ করে নিতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে ছাদখোলা বাস। এই ছাদখোলা বাসে চড়ে উৎসবে রাঙাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাইনাল খেলার আগে-হৃদয় ছোঁয়া লেখা পোস্ট করেছিলেন খেলোয়াড়রা। সানজিদা ফাইনালের আগে লিখেছিলেন, ‘ছাদখোলা চ্যাম্পিয়ন বাসে ট্রফি নিয়ে না দাঁড়ালেও চলবে, সমাজের টিপ্পনীকে এক পাশে রেখে যে মানুষগুলো আমাদের সবুজ ঘাস ছোঁয়াতে সাহায্য করেছে, তাদের জন্য এটি জিততে চাই।’ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে ফাইনালে ২ গোল করে মুখ্য ভুমিকা পালন করা কৃষ্ণা রানী সরকার ছাদ খোলা বাসের একটি ছবি দিয়ে ফাইনালের আগে লিখেছিলেন ‘এমন মুহূর্তের অপেক্ষায়।’
এই পোস্ট, বিশেষ করে সানজিদার পোস্টটি সবার অন্তর ছুঁয়ে গিয়েছিল। নাড়া দিয়েছিল সর্বত্র। মুহূর্তে ভাইরাল হয়েছিল। নজরে আসে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে বিআরটিসি মতিঝিল ডিপোতে জরুরি ভিত্তিতে তৈরি করে এই ছাদখোল বাস। বাসটিকে সাজানো হয়েছে সাফ বিজয়ী কন্যাদের ছবি দিয়ে।
বীর কন্যাদের বরণ করে নিতে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন থাকবেন না বিমানবন্দরে। তিনি তাদের বরণ করবেন বাফুফে ভবনে। বিমানবন্দরে উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলসহ মন্ত্রণালয় ও বাফুফের কর্মকর্তারা।
বিমানবন্দরে রাখা হয়েছে কিছু আনুষ্ঠানিকতা। বিমান থেকে নেমে আসার পর প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করবেন, মিষ্টিমুখ করাবেন। এরপর অনুষ্ঠিত হবে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেস কনফারেন্স। সেখানে ফুটবলাররা তাদের অনুভূতির কথা জানাবেন। এরপর ছাদখোলা বাস মেয়েদের নিয়ে বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা দিয়ে কাকলি, জাহাঙ্গীর গেট, পিএম অফিস, বিজয় সরণি, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল, ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং মতিঝিল ও শাপলা চত্বর হয়ে পৌঁছাবে বাফুফে ভবনে।’
বাফুফে ভবনে আসার পর আবার মেয়েদের বরণ করে নেবেন বাফুফে ও সাফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। তাদেরকে ফুলের স্টিক দিয়ে তিনি বরণ করে নেওয়া হবে। এরপর ফটোসেশন হবে। এখানেও একটি সংবাদ সম্মেলন হতে পারে আবার। এরপর শেষ হবে অফিসিয়ালি সংবর্ধনা।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে মেয়েদের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হওয়ার পর এবারই প্রথম বাংলাদেশের মেয়ের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ফাইনালে তারা নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়েছিল। কৃষ্ণা ২টি ও সামসুন্নাহার ১টি গোল করেন। ২টি হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন রুপমা চাকমা। ফাইনালে তিনি প্রথম গোল হজম করেন।
এমপি/আরএ/