ছাদখোলা বাসে যে পথে চলবেন সাবিনারা
সাফের মুকুটহীন রানি বাংলাদেশ। ক্রীড়াঙ্গনে অন্যতম উজ্জল সাফল্য। ছেলেরা জিতেছিল ২০০৩ সালে ঘরের মাঠে প্রথম ও শেষবারর মতো। মেয়েরা সেটি জয় করেছে হিমালয়ের দেশে। সোমবার রাতে স্বাগতিদের হারানোর পর থেকেই উৎসবের ঢেউ লেগেছে সর্বত্র। যে যার মতো করে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন। আর সবাই অপেক্ষায় আছেন সাফের রানিদের বরণ করে নিতে।
মঙ্গলবার দিনের আলো ফোটার পর থেকেই বাফুফে ভবনে উৎসুক মানুষের ভীড়। কিন্তু বিজয়িনীরাতো তখনো নেপালে। তারপরও বাফুফে ভবনই যে বিজজিনীদের আবাসস্থল। এখানে খেলেই যে তারা জয় করেছন হিমালয়ে দেশ। তাদের বরণ করে নিতে তাই ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও বাফুফে যৌথ সভা করে। যেখানে সাবিনাদের বরণ করে নেওয়ার যাবতীয় পরিকল্পনা করা হয়।
সাবিনাদের নিয়ে নেপাল থেকে বিমান হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরে পৌছাবে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন যাবেন তিনি আগেই জানিয়েছেন। বাফুফে ভবনে তিনি বীর মেয়েদের বরণ করে নেবে। বাফুফে সভাপতি না গেলেও বিমানবন্দরে যাবেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল। থাকবেন মন্ত্রনালয়ের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। বাফুফে থেকে যাবেন সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগসহ অন্যরা।
মেয়েদের বরণ করে নিতে জরুরি ভিত্তিতে একটি দ্বিতল বাস কেটে প্রস্তত করা হয়েছে ছাদখোলা বাস। সেই বাস সাজানো হবে সাফ জয়ী কন্যাদের ছবি দিয়ে। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন, ‘বিমান থেকে নেমে আসার পর প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করবেন, মিষ্টিমুখ করাবেন। এরপর অনুষ্ঠিত হবে একটি সংক্ষিপ্ত প্রেস কনফারেন্স। সেখানে ফুটবলাররা তাদের অনুভূতির কথা জানাবেন।’
ছাদখোলা বাস মেয়েদের নিয়ে আসবে বিমানবন্দর থেকে কাকলি, জাহাঙ্গীর গেট, পিএম অফিস, তেজগাঁও, মৌচাক, কাকরাইল হয়ে বাফুফে ভবন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিমানবন্দর থেকে কাকলি হয়ে মহাখালি ফ্লাইওভার ব্যবহার করে জাহাঙ্গীর গেট, পিএমও অফিসের পর বিজয় স্মরণীতে এসে হাতের বাঁয়ে চলে যাব আমরা। সেখান থেকে তেজগাঁও হয়ে পুনরায় ফ্লাইওভার দিয়ে মৌচাক হয়ে কাকরাইলে আসব। কাকরাইল থেকে হাতের বাঁয়ে- ফকিরাপুল, আরামবাগ এবং মতিঝিল ও শাপলা চত্ত্বর হয়ে বাফুফে এসে পৌঁছাবো বাফুফে ভবনে।’
তিনি বলেন, ‘ছাদখোলা বাসে করে বিজয় উদযাপনের ব্যবস্থা করেছে মন্ত্রণালয। সেই বাসকে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে, সাউন্ড সিস্টেম থাকবে। যেখানে বাজানো হবে ফুটবল এবং স্পোর্টস রিলেটেড গানগুলো। সেই বাসে করেই ফুটবলাররা বাফুফে ভবনে আসবেন।’
বাফুফে ভবনে আসার পর আবার মেয়েদের বরণ করে নেওয়া হবে। এবার তাদের বরণ করে নেবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। বাফুফে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বাফুফে ভবনে উপস্থিত থাকবেন সভাপতি (কাজী সালাহউদ্দিন)। মেয়েরা আসার পর তাদেরকে ফুলের স্টিক দিয়ে তিনি বরণ করে নেবেন। এরপর ফটোসেশন হবে। এখানেও হতে পারে একটি সংবাদ সম্মেলন। এরপর অফিসিয়ালি আপাতত রিসিপশনটা শেষ হবে। বাকি আরও বড় কোনো সংবর্ধনার আয়োজন করা হবে কি না তা নির্ধারণ করবেন বাফুফে সভাপতি এবং কার্যনির্বাহী কমিটি।’
এমপি/এমএমএ/