বিমানন্দরে যাবেন না সালাহউদ্দিন কারণ...
বিজয়িনীরা আসবেন, তাইতো তাদের বরণ করে নিতে বিমানবন্দরে সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামবে। এটাই স্বাভাবিক। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল নিজে যাবেন তাদের বরণ করে নিতে।
কিন্তু সেখানে আবার যাবেন না সাফ ও বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিন। এই না যাওয়ার কারণ আনন্দের আতিশায্যে। কারণ, তিনি মনে করেন বিমানবন্দরে গেলে সেখানে মেয়েদের উপর পুরোপুরি ফোকাস পড়বে না। তার উপর ফোকাসও পড়বে। কিন্তু তিনি চান সম্পূর্ন ফোকাস আর আলো যেন থাকে সাবিনাদের উপর।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাফুফে ভবনে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি বিমানবন্দরে যাবো না। কারণ, গেলে আপনারা আমাকেই প্রশ্ন করবেন। এটা মেয়েদের টিম। ওরাই খেলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। আমি চাই আলো যেন ওদের ওপর থাকে। অনেকে যাবেন। আমি চাই, আপনারা এটাকে প্লেয়ারস কাপ করে তুলুন। আমার না যাওয়া নিয়ে আপনারা ভুল বুঝবেন না।’
তিনি না গেলেও বাফুফে ভবনে অপেক্ষা করবেন এ বিজয়ীদের জন্য। সেখানে তিনি বরণ করেন নেবেন সানজিদা-মারিয়াদের। বাফুফে সভাপতি বিমানবন্দরে না গেলেও বাফুফের অন্য সব কর্তারা সেখানে যাবেন।
কাজী সালাহদ্দিনের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল সাফের সভাপতি হিসেবে নিজ হাতে সাফের শিরোপা দেওয়া। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সাফের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সালাহউদ্দিন এই স্বপ্ন দেখা শুরু করেন ছেলেদের দল নিয়ে। কিন্তু ছেলেরা তাকে প্রতিবারই হতাশ করেছেন। একটিবারও সেমিফাইনালেই যেতে পারেনি। মেয়েরা একবার ফাইনালে গেলেও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি।
দ্বিতীয়বার উঠেই বাজিমাত। সালাহউদ্দিনের স্বপ্ন পূরণ। কিন্তু এবার সালাহউদ্দিন যাননি। এই না যাওয়ার কারণও তিনি জানিয়েছেন। যাননি যাতে করে মেয়েরা তাকে দেখার পর বাড়তি কোনও চাপ না পড়ে যায়।
তিনি বলেন, ‘আমি কাঠমান্ডু গেলে ভালোও হতে পারত আবার খারাপও হতে পারত। আমি গেলে হয়তো মেয়েরা চাপে পড়ে যেত। যদি ওদের ওপর এক্সট্রা প্রেসার হয়ে যায়, সেজন্য আমি যাইনি। তবে ওদের সব খেলা দেখেছি।’
এমপি/এমএমএ/