সাতক্ষীরাবাসীর ভালোবাসায় সিক্ত সাবিনার পরিবার
দীর্ঘ অপেক্ষা আর প্রতীক্ষার প্রহর শেষে দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে বাংলার বাঘিনীরা। জয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে। সাফের নতুন রানি হওয়ার পর লাল-সবুজের মেয়েরা বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকায় ফিরবেন। তাদের এই শিরোপা জেতার মাধ্যমে নারী-পুরুষ মিলিয়ে অবসান হয়েছে দীর্ঘ ১৯ বছরের শিরোপা না জেতার আক্ষেপ।
এদিকে যার কাঁধে ভর দিয়ে বাংলার বাঘিনীরা দেশের কোটি মানুষের স্বপ্নটা পূরণ করেছে সেই সাবিনা খাতুনের নিজ জেলা সাতক্ষীরায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সাবিনার হাতে শিরোপা দেখতে পেয়ে ভীষণ তৃপ্ত সাতক্ষীরাবাসী। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর থেকেই সাতক্ষীরা শহরের সবুজবাগ এলাকায় অবস্থিত সাবিনার বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ। এসময় সাবিনার পরিবারকে অভিনন্দন জানান তারা।
সাতক্ষীরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তাজুল ইসলাম রিপন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, সাতক্ষীরার মোস্তাফিজ, সৌম্য সরকাররা যেমন ক্রিকেটে ঝড় তোলেন, তেমনই সাতক্ষীরার সাবিনা খাতুন ঝড় তোলেন ফুটবলে। নেপালে অনুষ্ঠিত এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ফাইনাল ম্যাচে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। নারী ফুটবল দল সাফ চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে সাবিনার বাসায় ফুল নিয়ে চলে এসেছি। সাবিনাকে করে আমরা গর্বিত।
এদিকে শিরোপা জেতায় আর মানুষের অভিবাদনে আনন্দিত সাবিনার মা-বোনেরা। উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ করলেও সাবিনার বাবাকে আজ মিস করছেন পরিবারের সবাই।
সাবিনার বড় বোন সালমা খাতুন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ২০২০ সালে বাবা মারা যান। ২০২২ সালে সাবিনার প্রিয় কোচ আকবার স্যারও মারা যান। সবকিছু মিলিয়ে সাবিনাকে শোকের ভেতরে থাকতে হয়েছে সব সময়। এরপরেও শোক কাটিয়ে সাবিনা যেভাবে সাফ চাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ে ভূমিকা রেখেছে সেটা আমাদের জন্য গৌরবের। সারা দেশের মানুষের মতো আমরাও উচ্ছ্বসিত। সবাই আসছে, সাবিনার খোঁজখবর নিচ্ছে। তবে বাবা আজ বেঁচে থাকলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন।
এসজি