জাতীয় দলে প্রবেশের ভালো স্টেজ একাডেমি কাপ: মাহমুদুল্লাহ
জাতীয় ক্রিকেট দলের পাইপ লাইনে ক্রিকেটারের ঘাটতি খুবই ভালোভাবে ধরা পড়েছে। নেই বললেই চলে। যে কারণে সৌম্য সরকারের মতো ক্রিকেটারেরকে ফর্মে ফেরানোর জন্য বারবার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সৌম্য কাজে লাগাতে পারেননি। নতুন যাদের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাদের কেউ সফল হচ্ছেন। তবে ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী। সফল যারা হচ্ছেন, তারা আবার নিজেদের টেনে নিয়ে যেতে পারছেন না। অল্পতেই মুখ থুবড়ে পড়ছেন। অনেকটা ওয়ান টাইম গ্লাসের মতো! সেই পাইপ লাইনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য দেশব্যাপি একাডেমি কাপ বড় ভুমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।
১৭ থেকে ২১ বছরের ক্রিকেটারদের নিয়ে শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে খুলনা, রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা উত্তরে শুরু হয়েছে এই আসর। আজ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটের একাডেমি ভবনে উন্মোচন করা হয় লোগো। যেখানে উপস্থিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ।
তিনি বলেন, ‘আমিও জাতীয় দলে ঢুকার আগে আমাদের প্রথম একাডেমি ফর্ম হয়েছিল এবং আলহামদুলিল্লাহ আমি এর একটি অংশ। একাডেমি একটা ভালো স্টেজ জাতীয় দলে ঢুকার আগে। যেহেতু মাঝখানের দুই বছর করোনা ছিল। তাই হতে পারেনি। তার আগে একাডেমি কাপ হয়েছিল। এবার আরও বড় পরিসরে হচ্ছে। এটা খুবই ভালো সুযোগ সবার জন্য।’
ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিসিবির নতুন তিন পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু, তানভীর আহমেদ মিঠু ও ওবায়েদ নিজাম।
একাডেম কাপে তরুণ ক্রিকেটাররা খেলে থাকেন। যা থেকে জাতীয় দলের জন্য ক্রিকেটার সরবরাহ করা সম্ভব। কিন্তু এই আসর নিয়মিত হয় না। আবার হলেও দেশব্যাপী হয় না। এবার সেটা হচ্ছে। মাহমুদউল্লাহর কাছে এটি খুবই ভালো একটি দিক। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভালো পারফর্ম করেন, অবশ্যই আপনি নজরে থাকবেন। আপনাকে বড় লেভেলে খেলার সুযোগ সুবিধাগুলো দেওয়া হবে। কিন্তু দিনশেষে নিজের উপরও অনেক কিছু থাকে যে আমি কিভাবে তৈরি হতে চাই। আমার লক্ষ্যটা কি? আমি আমাকে কিভাবে দেখছি আর্ন্তজাতিক লেভেলে খেলার জন্য। এ জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে করি বোর্ড এ কাজগুলো ভালোভাবে করছে।’
সময় যতো গড়াচ্ছে ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা বাড়ছে। এখন যারা একাডেমি কাপ খেলে যে রকম সুবিধা পাচ্ছেন, মাহমুদুল্লাহরা খেলার সময় আবার সে রকম সুবিধা পাননি। একইভাবে তাদের আগে যারা খেলেছেন, তারা আরো কম পেয়েছেন। এই প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘এ জিনিসগুলো নিয়ে আলোচনা করতে হলে আরও গভীরে আলোচনা করতে হবে। কারণ আমি কখনো কম্পেয়ার করতে পছন্দ করি না। আমি শুধু এতোটুকু বলতে চাই খেলোয়াড়ের জন্য, যে নিজের ভালো খেলার তাগিদটা যেন সবসময় রাখে এবং হতাশ হওয়া যাবে না। কারণ এসব বিষয় আমাদের মাথায় নেগেটিভ কাজ করে। শুরুতে বলেছিলাম, অনেক সময় সুযোগ সুবিধা আসবে, অনেক সময় টিম কম্বিনেশনের কারণে ভালো খেলেও জায়গা হারাতে হতে পারে। তো এ জিনিসটায় যেন হতাশ না হয় অল্পতে এবং কষ্টটা করে যায়।’
এমপি/এএস