টি-টোয়েন্টিতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে
যে ক্রিকেট কোটি কোটি বাঙ্গালিকে আবেগে ভাসিয়েছে, সেই সব মানুষের কাছে ক্রিকেট এখন কষ্টের এক নাম। উন্নতির পথে ধাবমান বাংলাদেশ দলের হঠাৎই ছন্দ পতন। শুরুটা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে। এরপর ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর টেস্টেও যাচ্ছেতাই বাজে অবস্থা। এ রকম অবস্থায় পথ হারিয়ে ফেলেছে দিক হারা নাবিক। পাঞ্জেরির ভুমিকায় অবতীর্ন হয়ে দলকে পথ দেখাবেন কে?
দলগত খেলা। তাই কারো একার পক্ষে সম্ভব নয়। জ্বলে উঠতে হবে একাধিক খেলোয়াড়কে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দলপতি মাহমুদুল্লাহ মনে করেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনো দিতে হবে অনেক পথ পাড়ি। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) একাডেমি কাপ ক্রিকেট আসরের উদ্বোধন করতে এসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসরে বাংলাদেশ দলের সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেন তিনি।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘এটা নির্ভর করে আমরা কি রকম টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছি। অনেক পথ পাড়ি দেওয়ার বাকি আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন খুবই ভালো। ট্রু বাউন্স, ট্রু পেস থাকে। আগে যে জিনিসটা বলে আসছি, সম্ভবত আমাদের ব্যাটিং ইউনিটকে আরো ভালো করতে হবে। বোলিং ইউনিট আমি মনে করি ধারাবাহিকভাবে ভালো করছে। কিছু ছোটখাটো জিনিস আছে সেগুলো আমরা যদি ধারাবাহিকভাবে প্রতিটি সিরিজে উন্নতি করি তবে ইনশাল্লাহ আমরা খুব ভালো কিছু অর্জন করতে পারব।’
আগামী বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের আসর বসবে অস্ট্রেলিয়াতে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এখন পিছু হাঁটছে। সামনে এগুনোর পথ কী? মাহমুদুল্লাহ অতীত থেকে প্রেরণা নিতে চান। অতীতেও বাংলাদেশের এ রকম বাজে সময় গিয়েছে। আবার ঠিকই কামব্যাক করেছে।
মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘ আমি সব সময়ই পজেটিভ জিনিসগুলো নিয়ে চিন্তা করতে পছন্দ করি। হ্যাঁ অবশ্য শেষ বিশ্বকাপ ও পাকিস্তান সিরিজে ভালো ক্রিকেট আমরা খেলতে পারিনি। কিন্তু আপনি যদি পুরো বছরটা দেখেন আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। হোম কন্ডিশনে শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের সাথে সিরিজ। সো এখানে কিছু পজিটিভ বিষয় আছে। এর আগেও যখন আমরা কামব্যাক করতে পেরেছি, এবারও পারব ইনশাল্লাহ।
ভালো করার সুপ্ত ইচ্ছে মাহমুদুল্লাহ অন্তরে লালন করছেন। এ রকম ইচ্ছে সবারই। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট বলে শঙ্কা আবার বেশিও। মাহমুদুল্লাহ'র কাছে এটি তিন ফরম্যাটের মাঝে সবচেয়ে বেশি কঠিন ফরম্যাট। তিনি বলেন, ‘আমরা কাছে ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় সম্ভবত টি-টোয়েন্টি ওয়ান অব দ্য টাফেস্ট ফরম্যাট। সব সময় আস্কিং রেট অনেক বেশি থাকে। চাপ থাকে, আশা থাকে। দিনশেষে অনেক সময় আমরা করতে পারি, আবার করতে পারি না। আমাদের রেজাল্ট হোক বা পারফরম্যান্স হোক, যদি আমরা একটু কনসিসটেন্স হই, তাহলে আমাদের উপর ওই আস্থাটাও বাড়বে।
এমপি/এএস