ঢাকা টেস্ট
পরাজয় এড়াতে সাকিব-মুশফিকের লড়াই
ছবি : সংগৃহীত
ব্যাটিং ব্যর্থতার জাল ছিড়ে বের হয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। ফলোঅনে পড়ার পর ম্যাচ বাঁচাতে প্রয়োজন ছিল ঘুরে দাঁড়ানো। আগের দিন, খেলা শেষ বলেছিলেন দলের টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্তও। কিন্তু কোথায় কী? সেই একই চিত্রনাট্য। উইকেটে ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়া। লাঞ্চের আগেই দুই ইনিংসে মিলে উইকেট হারিয়েছে ৭টি। গুণছে হারের প্রহর। প্রথম ইনিংসে ১১ রানে শেষ ৩ উইকেট হারানোর পর দ্বিতয়ি ইনিংসে ২৫ রানে হারায় চার উইকেট। স্বস্তির খবর এই যে, ৪ উইকেটে ৭২ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছে বাংলাদেশ দল। লাঞ্চের পরও ব্যাট করতে নেমে হারায়নি আর উইকেট। হার বাঁচাতে লিটন ও মুশফিক দলকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।
২১২ রানে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে আবারও ব্যর্থ দুই ওপেনার। ১২ রানে ভাঙ্গে উদ্বোধনী জুটি। ২ রান করে আউট হন সাদমান। দলীয় এই একই রানে ফিরে যান অপর ওপেনার অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়ও। তিনি করেন ৬ রান।
উইকেটে এসে থিতু হতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত ও দলপতি মুমিনুল। নাজমুল ৬ ও মুমিনুল ৭ রানে ফিরে যান। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ছড়ি ঘুরিয়েছিলেন স্পিনার সাজিদ খান। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি বল হাতে তুলে নেওয়ার আগেই পেসাররা আঘাত হানেন। দুই পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি ও হাসান মিলে ৪ উইকেটে ২টি ভাগাভাগি করে নেন। দ্বিতীয় ইনিংসের মাত্র ৮ দশমিক ৩ ওভারে ৪ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের অবস্থা এতোটাই কাহিল হয়ে পড়ে যে লাঞ্চের আগে আরও কতো উইকেট পড়ে সে শঙ্কায় ছিলেন অনেকেই। কিন্তু মুশফিক ও লিটন জুটি বাঁধার পর অবস্থার সামাল দেন। আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি। এমন কি লাঞ্চের পরও তারা উইকেটে টিকে আছেন। লাঞ্চের পর লিটনকে উইকেট ছাড়তে হয়। মাঠে নামেন সাকিব। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৪৪।
এমপি/টিটি/