নাজমুল মানছেন না আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের কথা!
চার উইকেটে ৩০০ রান করে ইনিংস ঘোষণা পাকিস্তান অথচ বাংলাদেশ দল সেখানে ধুঁকছে ফলোঅন বাঁচাতে। কতোটা বাজে ব্যাটিং করলে দলের এ রকম অবস্থা হতে পারে তার যেন এক করুণ চিত্র ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের খেলায়।
চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদশেরে সংগ্রহ ৭ উইকেটে মাত্র ৭৬। এখনো ফলোঅন এড়াতে হলে করতে হবে আরো ২৫ রান। উইকেটে সাকিব থাকায় হয়তো শেষ পর্যন্ত সেটা এড়ানো সম্ভব হবে। কিন্তু হারের শঙ্কাও যে জেগে আছে? সেখানে কী হবে।
এর জন্য দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো ব্যাটিং করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত। চতুর্থ দিনের খেলা শেষে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় কালকের দিনটা খুব ইর্ম্পট্যান্ট। সাকিব ভাই ও তাইজুল ভাই যদি পার্টনারশিপ করতে পারে, তাহলে একটা ভালো অবস্থানে যাব। কাল আবার ব্যাটিংয়ের সুযোগ আছে। খুব ভালো ব্যাটিং করতে হবে। খেলায় হেরে গেছি এরকম কিছু না। এখান থেকে ম্যাচ বাঁচানো সম্ভব। ভালো অবস্থায় যেতে পারব না এমন কিছু না।’
কিন্তু কেন বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের এই করুণ অবস্থা? যেভাবে টেস্ট ম্যাচকে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বানিয়ে ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিং করেছেন, তা দেখে যে কেউ বিভ্রান্ত হতে পারেন?
নাজমুল হোসেন শান্ত দেখছেন তাদের এক্সিকিউশনটা ফেইল করেছে। তিনি বলেন,‘এক্সিকিউশন একদিন হবে, একদিন হবে না। যত বেশি হবে সাফল্যের পরিমাণ তত বেশি থাকবে। আজকে হয়নি, হয়ত পরের ইনিংসে হবে। এমন না যে, আমরা পারি না বা আমরা এর আগে করিনি। আজকে হয়ত হয়নি।’
আজকের(মঙ্গলবার) বাংলাদেশ অনেক ভালো খেলেছে জানিয়ে নাজমুল বলেন, ‘আমরা এর থেকেও ভালো ক্রিকেট খেলেছি। আগের ২-৩টি ম্যাচে আমরা ৩০০-৪০০ রান করেছি। এমনকি শ্রীলঙ্কায় ৫০০ রানও করেছি। আগের চেয়ে আমাদের ধারাবাহিকতা বেড়েছে। এমন নয় যে, এই ম্যাচ বা গত ম্যাচের মত। আজকের দিনটা খারাপ ছিল, ভালো করতে পারিনি। তার মানে এই নয় আমাদের সামর্থ্য এতটুকুই। আমরা এর থেকে বড় বড় রানও করে এসেছি।’
সাজিদ খানের কাছে সবাই উইকেট দিয়ে আসলেও পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণকে শক্তিশালী মানতে নারাজ শান্ত। একই সাথে নিজেরা আগ্রাসী ব্যাটিংও করেননি জানিয়ে বলেন,‘না এতটা ভয়ংকর না। আর সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছি তা কিন্তু না। যে যে শট পারে সেটা খেলতে গিয়ে হয়ত বাস্তবায়ন হয়নি। এমন নয় যে সবাই অনেক বেশি আগ্রাসী খেলেছে। ’
বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সুইপ খেলতে গিয়েই বেশি আত্মাহুতি দিয়েছেন। কিন্তু এখানেও দ্বিমত নাজমুলের। তিনি বলেন, ‘টার্নিং উইকেটে এলবিডাব্লিউ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। এমন উইকেটে সবাই সুইপের ওপরেই বেশি আস্থা রাখে। এজন্যই সবাই সুইপ খেলার পরিকল্পনা করেছে।’
এমপি/এএস