প্লে অফে এক পা রাজশাহীর
ছবিঃ সংগৃহীত
খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক নিয়ে দুর্বার রাজশাহী এবার যা করেছে, তা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ইতিহাসেই বিরল। ম্যাচের দিন সকালে হোটেল পরিবর্তনসহ আরও অনেক অপেশাদার আচরণ করে এবারের বিপিএলে সবচেয়ে আলোচিত দল এই ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। টুর্নামেন্টের মধ্যে খেলোয়াড়দের অনুশীলন বর্জন এবং বিদেশিদের ম্যাচ বয়কটের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অসম্ভব ঘটনাও ঘটেছে এবারের রাজশাহী দলের ক্ষেত্রে।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেটকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে রাজশাহী। ১২ ম্যাচে ৬ জয়ে তাদের পয়েন্ট এখন ১২। খুলনা টাইগার্স বাকি দুই ম্যাচের দুটোই জিততে না পারলে প্লে অফ নিশ্চিত হয়ে যাবে রাজশাহীর। অথচ আগের দিনও টাকা দিতে না পারায় তাদের বিদেশি খেলোয়াড়রা মাঠেই নামেননি!
এদিন আগে ব্যাট করে ১১৭ রান করে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রান তাড়ায় ২২ রানে ৪ উইকেট হারানোর পরও আকবর আলি ও রায়ান বার্লের দারুণ জুটিতে ম্যাচ জিতে নিয়েছে রাজশাহী।
১১৮ রানের সহজ লক্ষ্যে নেমেই দিশেহারা হয়ে যায় দুর্বার রাজশাহী। ২২ রানেই একে একে ফিরে যান জিসান আলম, সাব্বির হোসেন, এনামুল হক বিজয় ও ইয়াসির আলি রাব্বি।
চরম বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে জুটি গড়েন আকবর আলি ও রায়ান বার্ল। পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৩ বলে ৭৫ রান। যার মধ্যে ৩৬ বলে ৪২ যোগ করেন আকবর। ৩৮ বলে ৪৩ করে আহসান ভাট্টির বলে আকবর যখন ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ম্যাচ ততক্ষণে রাজশাহীর মুঠোয়। বাকি কাজ এসএম মেহরুবকে নিয়ে তুড়ি মেরেই সেরে ফেলেন বার্ল। জিম্বাবুয়ের এই ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৩২ বলে ৩৮ রান করে।
টস হেরে ব্যাট করতে নামা সিলেট শুরু থেকেই ধুঁকতে থাকে। চমক দেখা যায় ওপেনিংয়েও। অধিনায়ক আরিফুল হক সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে নিয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ছন্দে থাকা জাকির হাসান (২৫ বলে ২৪) তিনে নেমে থিতু হয়ে ফেরেন। জাকের আলি অনিকও (১৮ বলে ১৭) তাই। তাদের তোলার গতিও ছিলো মন্থর। উইকেট হারানোর পাশাপাশি সিলেটের রানও বাড়ছিল না।
গতিহীন সিলেট শেষ পর্যন্ত একশো পার হয় দশে নামা সুমন খানের ব্যাটে। এই পেসার ১১ বলে করেন ২০ রান। টুর্নামেন্টে মাত্র দুই ম্যাচ জেতা সিলেট অল্প পুঁজি আশা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেনি।