‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না, ভিডিও বার্তায় হামজা
হামজা চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ফিফার কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক অনুমতি পেয়েছেন হামজা চৌধুরী। দীর্ঘ অপেক্ষা শেষে সুখবর পাওয়ার পর তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার।
হামজার একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করেছে বাফুফে। ২৬ বর্ষী ফুটবলার তাতে বলেছেন, ‘সবাইকে শুভেচ্ছা। আমি সত্যি ভীষণ আনন্দিত। বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। আশা করি সবার সঙ্গে দ্রুতই দেখা হবে, বিদায়।’
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) বাফুফে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ফিফার ফুটবল ট্রাইব্যুনালের প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস চেম্বার হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। বাফুফের প্রত্যাশা, হামজা চৌধুরীর অন্তর্ভুক্তি দেশের ফুটবলের নতুন প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেসগের সাফল্যের সমূহ দ্বার উন্মুক্ত করবে।
হামজা চৌধুরীর নানা বাড়ি বাংলাদেশের হবিগঞ্জে। ছোটবেলায় সেখানকার আলো-বাতাস না পেলেও বেশ কয়েকবার বাংলাদেশে এসেছেন তিনি। এই ফুটবলার খেলেছেন ইংল্যান্ডের যুব দলে। লেস্টার সিটির এই ফুটবলার মাঝে ধারে বুরটন আলবিয়নের পর খেলেছেন ওয়াটফোর্ডেও।আড়াই মাস আগে ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছ থেকে সম্প্রতি অনাপত্তিপত্র পেয়েছেন হামজা।
সম্প্রতি দেশের একটি দৈনিক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা হামজা বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ চান, আমি সেখানে খেলি। তারা আমাকে অনেক ভালোবাসেন। আমিও বাংলাদেশকে ভালোবাসি। এ কারণে সিদ্ধান্ত নিই, তাদের হয়ে খেলব। মা-বাবাও অপেক্ষায় আছেন। তারা চান, আমি যেন বাংলাদেশের হয়ে মাঠে নামি। তারা এটা (বাংলাদেশের হয়ে খেলা) দেখতে পারলে অনেক খুশি হবেন।’
বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে ভাষাটা রপ্ত করার চেষ্টা করছেন এই ইংল্যান্ড প্রবাসী ফুটবলার। তিনি বলেন, ‘বাংলা ভাষা একটু একটু পারি। আগে তেমন পারতাম না। বাবা আমাকে কিছুটা শিখিয়েছেন। মাঝেমধ্যে গুগলের সহায়তাও নিই। এভাবে বাংলা শেখার চেষ্টা করছি।’
বর্তমানে হামজা বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী ব্যক্তি। তিনি সবুজ পাসপোর্টের আবেদন করেছিলেন চলতি বছরের জুনে। লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশনে তার পাসপোর্ট এসে গিয়েছিল মাসখানেকের মধ্যেই। লেস্টার সিটির হয়ে প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকায় বাংলাদেশি পাসপোর্টটা গ্রহণ করতে পারছিলেন না হামজা। অবশেষে ২৩ আগস্ট হামজার পক্ষে পাসপোর্টটি গ্রহণ করেন তার মা রাফিয়া চৌধুরী।