দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্নভঙ্গ করে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতল নিউজিল্যান্ড
প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতল নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
অবশেষে কোনো বিশ্বকাপের ফাইনাল শেষে আর দুঃখ সঙ্গী করে ঘরে ফিরছে না নিউজিল্যান্ড। প্রথমবারের মত এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরছে নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা। বিশেষ করে এর আগে ২০০৮ ও ২০০৯ সালে যথারীতি ফাইনাল খেললেও শিরোপা জেতা হয়নি কিউই মেয়েদের। তবে এবার নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে এসে সেই আক্ষেপ ঘুচিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩২ রানে হারিয়েছে কিউইরা। টুর্নামেন্টের প্রথম দুই আসরে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি তারা। তবে ১৪ বছর পর এবং তৃতীয়বার ফাইনালে উঠে শিরোপা ঘরের তুলতে ভুল করেনি নিউজিল্যান্ডের মেয়েরা। অন্যদিকে টানা দুইবার ফাইনাল খেলেও শিরোপা খরা কাটাতে পারল না প্রোটিয়ারা।
রবিবার (২০ অক্টোবর) শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে প্রোটিয়াদের ১৫৯ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল কিউই মেয়েরা। নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৩২ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার লাউরা উলভার্ট এবং তেজমিন ব্রিটস। দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৪৩ রান তোলে প্রোটিয়ারা। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি তেজমিন। ১৮ বলে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দশম ওভারে ২৭ বলে ৩৩ রান করে উলভার্ট আউট হলে ছন্দ হারায় প্রোটিয়ারা। এদিন ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেননি অ্যানেকে বোশ। ১৩ বলে ৯ রান করেন তিনি। এরপর মারিজান ক্যাপ (৮) এবং নাদিন ডি ক্লার্ক ৬ রান করে আউট হলে দলীয় ৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।
৯ বলে ৮ রান করে সুনে লুস আউট হলে ১৮ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫২ রান। কিন্তু ডারকসেন (১০), ক্লো ট্রায়ন (১৪) এবং সিনালো জাফতা ৬ রানে আউট নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তুলতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকা। এতে ৩২ রানের জয় পায় নিউজিল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন অ্যামেলিয়া কের এবং রোজমেরি মেয়ার। এ ছাড়াও ইডেন কারসন, ফ্রান জোনাস এবং ব্রুক হ্যালিডে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেছিলেন দুই কিউই ওপেনার সুজি বেটস ও জর্জিয়া প্লামার। তবে ইনিংস বড় করতে পারেননি প্লামার। ৭ বলে ৯ রান করে আউট হন তিনি। তবে অ্যামেলিয়া কেরকে সঙ্গে নিয়ে রান তুলতে থাকেন আরেক ওপেনার সুজি বেটস। তবে ফিফটি তুলতে পারেননি তিনি। ৩১ বলে ৩২ রান করে সাজঘরে ফেরেন সুজি। ১০ বলে ৬ রান করে তার দেখানো পথে হাঁটেন সোফি ডেভাইন।
কিন্তু তবে অ্যামেলিয়া কেরকে সঙ্গ দিয়ে রান তুলতে থাকেন ব্রুক হ্যালিডে। দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগোতে থাকে নিউজিল্যান্ড। ২৮ বলে ৩৮ রান করে শেষ দিকে ক্যাচ আউট হন হ্যালিডে।
১৯তম ওভারের শেষ বলে বাউন্ডারি লাইনে কাঁটা পড়েন অ্যামেলিয়া কের। ৩৮ বলে ৪৩ রান করেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ম্যাডি গ্রিনের ১০ রান এবং ইসাবেলা গেজের ৩ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বড় পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।