মঙ্গলবার, ৮ এপ্রিল ২০২৫ | ২৫ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পিসিবির কপালে চিন্তার ভাঁজ

ছবি: সংগৃহীত

হাইব্রিড মডেলে গত এশিয়া কাপ আয়োজনের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও বড় রকমের বিপাকে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০০৮ সালের পর থেকে নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ আছে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। রাজনৈতিক কারণে গত ১৫ বছর যাবৎ পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত ক্রিকেট দল।


এবার ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের যাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে আবারো জটিলতা। এবার সেই আগুনে ঘী ঢেলে ওই আসর নিয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন।

তার কথা অনুযায়ী কিছুটা অন্তত চিন্তার ভাঁজ পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কপালে। ভারত ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পাকিস্তানে না গেলে টুর্নামেন্টটি ‘হাইব্রিড মডেলে’ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।

ভারত সরকারের অনুমোদন না থাকায় ২০১২–১৩ মৌসুমের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজও খেলেনি দুই দেশ। এমনকি ভিন্ন কোনো ভেন্যুতেও হয়নি তাদের সিরিজ। এমন অবস্থায় ইসিবি চেয়ারম্যান বিসিসিআই প্রধান জয় শাহকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করেছেন, ‘এখানে ভূরাজনীতি আছে। এরপর ক্রিকেটীয় ভূরাজনীতিও আছে। আমি মনে করি, তারা একটা সমাধানের পথ খুঁজে পাবে। খুঁজে পেতেই হবে।’

ভারত যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যায়, তাহলে ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজনের আলোচনা আছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে। তবে ভারত বা পাকিস্তানের মতো দলকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করা সম্প্রচার স্বত্বের দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসিবির চেয়ারম্যান ইসিবি চেয়ারম্যান থম্পসন ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে, সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে হাইব্রিড মডেল।

উল্লেখ্য, ২০২৩ এশিয়া কাপ খেলতে বিসিসিআই পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানালে শেষ পর্যন্ত ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানে আয়োজন করা হয় শুরুর দিকের কিছু অংশ। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রেও বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত একই থাকলে ‘হাইব্রিড মডেলে’ টুর্নামেন্টের একটি অংশের খেলা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায়।

Header Ad
Header Ad

উত্তাল ভারতে ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত, মনিপুরে বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের বিতর্কিত ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলটি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতিতে আইনে পরিণত হয়েছে। মুসলিম সম্প্রদায় এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর তীব্র বিরোধিতার মধ্যেই বিলটি কার্যকর হওয়ায় দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

মুসলিমদের ধর্মীয় সম্পত্তির ওপর হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করছেন।

রোববার (৭ এপ্রিল) মনিপুরের থৈবাল জেলার লিলং এলাকায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ জাতীয় সড়কে অবস্থান নেন। সন্ধ্যায় বিক্ষোভকারীরা বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার মনিপুর শাখার সভাপতি আসকার আলীর বাড়িতে আগুন দেন। ওয়াকফ সংশোধনী আইনের পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

এই ঘটনার পর এলাকা জুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ ও আধা-সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমাবেশে অংশ নেওয়া সমাজকর্মী সাকির আহমেদ বলেন, “ওয়াকফ সংশোধনী বিল সংবিধানের নীতির পরিপন্থি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে তা সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য।”

শনিবার আইন মন্ত্রণালয়ের নোটিশে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতি ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং মুসলমান ওয়াকফ (রহিতকরণ) বিল ২০২৫-এ সম্মতি দিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে দুটি বিলই আইনে পরিণত হয়। এর আগে লোকসভায় বিলটি পাস হয় ২৮৮-২৩২ ভোটে এবং রাজ্যসভায় ১২৮-৯৫ ভোটে।

বিলের প্রতিবাদে উত্তর প্রদেশের মুজফফরনগরে শুক্রবার নামাজে অংশগ্রহণকারীরা কালো ব্যাজ পরে মৌন প্রতিবাদ জানান। পরে পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ৩০০ মুসল্লিকে শনাক্ত করে এবং থানায় হাজিরার নোটিশ পাঠায়।

লোকসভায় বিল উত্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু। তীব্র প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের উপনেতা গৌরব গগৈ বলেন, “এই বিল সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর ওপর আঘাত। এটি সংখ্যালঘুদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করবে ও সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করবে।”

তবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ এক পোস্টে একে ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করে বলেন, “এটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কল্যাণে ভূমিকা রাখবে।”

এদিকে, বিলের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়ে একাধিক মামলা দায়ের হলেও ভারতের সুপ্রিমকোর্ট তা জরুরি ভিত্তিতে শুনতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ফলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Header Ad
Header Ad

সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন

ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমার সীমান্তে আরাকান আর্মির পুতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে মো. তৈয়ব (৩৫) নামের এক যুবকের ডান পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জারুলিয়া ছড়ি বিওপি'র সীমান্তবর্তী ৪৬-৪৭ নম্বর পিলারের শূন্যরেখায় মিয়ানমারের অভ্যন্তরে এই ঘটনা ঘটে।

আহত মো. তৈয়ব নাইক্ষ্যংছড়ি ইউনিয়নের কম্বোনিয়া এলাকার বাসিন্দা ছাবের আহসদের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ থেকে গরু ও অন্যান্য পণ্য পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্ত পার হয়ে মিয়ানমারে যান তৈয়ব। ফেরার পথে আরাকান আর্মির পুতে রাখা একটি স্থলমাইনে পা দিলে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে তার ডান পায়ের হাঁটুর নিচের অংশ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুল হক বলেন, সীমান্তে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হওয়ার খবর পেয়েছি। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়া হয়েছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন।

এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী জানান, “ঘটনাটি শুনেছি। বিস্তারিত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Header Ad
Header Ad

মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন আফরোজ: অভিযোগ মায়ের

সামসুন নাহার তাসলিম। ছবি: সংগৃহীত

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তার মা সামসুন নাহার তাসলিম। সোমবার (৮ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্টের এনেক্স ভবনের রিপোর্টার্স রুমের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, মেয়ে তুরিন আফরোজ তাকে 'জামায়াত রুকন' অপবাদ দিয়ে উত্তরার বাসা থেকে উচ্ছেদ করেছেন।

তিনি বলেন, “জামায়াতের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও তুরিন প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জায়গায় আমাকে জামায়াতের রুকন বলে অপপ্রচার চালিয়েছে। এতে করে আওয়ামী লীগের শাসনামলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।”

সামসুন নাহার বলেন, “আমার স্বামী মারা যাওয়ার ১৮ দিন পর তুরিন আমাকে বাসা থেকে বের করে দেয়। আমার অপরাধ ছিল তার কিছু অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করা। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়া, বাড়িতে অপরিচিত লোকজনের আসা-যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা ছিল তার মধ্যে অন্যতম।”

তিনি আরও বলেন, “ওর বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে সে জোর করে বাসার ভাড়ার টাকা আদায় করে নেয়। আমি বাধা দিলে ডিজিএফআই, র্যাব, পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম নিয়ে ভয় দেখাত এবং ৫৭ ধারায় গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকিও দিত।”

সংবাদ সম্মেলনে তুরিন আফরোজের মা নতুন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এখন নতুন সরকার এসেছে, আমি ড. ইউনূসের সরকারের কাছে আবেদন জানাই—আমার বাসা যেন আমাকে ফেরত দেওয়া হয়। আমি আমার দেশ ছেড়ে বিদেশে পড়ে থাকতে চাই না। এ দেশ আমার জন্মস্থান, আমার ৫০ বছরের সংসার এখানে। আমি এখানেই থাকতে চাই।”

এই বিষয়ে তুরিন আফরোজের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

উত্তাল ভারতে ওয়াকফ বিল আইনে পরিণত, মনিপুরে বিজেপি নেতার বাড়িতে আগুন
সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
মাকে জামায়াত রুকন অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করেন তুরিন আফরোজ: অভিযোগ মায়ের
ঢাকায় আসছেন ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কূটনীতিক
বিক্ষোভের নামে লুটপাট নিয়ে যা বললেন মিজানুর রহমান আজহারী
ফরিদপুরে বাস দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ ৫ জন নিহত, আহত অন্তত ৩০
উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন তামিম ইকবাল
ফেসবুকে লুটের মাল বিক্রির পোস্ট, সিলেটে ১৪ জন আটক
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত
১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিন বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরা নিষিদ্ধ
খুলনায় ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় আটক ৩১ জন
স্বাধীনতা কনসার্ট সাময়িক স্থগিত করলো বিএনপি
শুল্ক ছাড়ে আলোচনায় আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র, চীনের ওপর ট্রাম্পের হুঁশিয়ারি
সন্তানকে ব্যবহার করে ‘ভিউ ব্যবসা’, ‘ক্রিম আপা’র ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রশাসন
ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ আইজিপির
সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বিজিবির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানালো বাংলাদেশ
সতর্কতার মাত্রা বাড়াল ইরান, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলকে প্রকাশ্য হুমকি
সাবেক নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ভারত থেকে ৪০টি রেফ্রিজারেটেড মিল্ক ভ্যান আমদানি করছে সেনাবাহিনী