চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে পিসিবির কপালে চিন্তার ভাঁজ
ছবি: সংগৃহীত
হাইব্রিড মডেলে গত এশিয়া কাপ আয়োজনের পর এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়েও বড় রকমের বিপাকে পড়তে যাচ্ছে পাকিস্তান। ২০০৮ সালের পর থেকে নিরাপত্তাজনিত ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ আছে ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ। রাজনৈতিক কারণে গত ১৫ বছর যাবৎ পাকিস্তান সফরে যায় না ভারত ক্রিকেট দল।
এবার ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের যাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে আবারো জটিলতা। এবার সেই আগুনে ঘী ঢেলে ওই আসর নিয়ে কথা বলেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান রিচার্ড থম্পসন।
তার কথা অনুযায়ী কিছুটা অন্তত চিন্তার ভাঁজ পড়বে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কপালে। ভারত ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলতে পাকিস্তানে না গেলে টুর্নামেন্টটি ‘হাইব্রিড মডেলে’ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
ভারত সরকারের অনুমোদন না থাকায় ২০১২–১৩ মৌসুমের পর দ্বিপক্ষীয় সিরিজও খেলেনি দুই দেশ। এমনকি ভিন্ন কোনো ভেন্যুতেও হয়নি তাদের সিরিজ। এমন অবস্থায় ইসিবি চেয়ারম্যান বিসিসিআই প্রধান জয় শাহকে বড় ভূমিকা রাখতে হবে উল্লেখ করেছেন, ‘এখানে ভূরাজনীতি আছে। এরপর ক্রিকেটীয় ভূরাজনীতিও আছে। আমি মনে করি, তারা একটা সমাধানের পথ খুঁজে পাবে। খুঁজে পেতেই হবে।’
ভারত যদি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাকিস্তানে না যায়, তাহলে ভারতকে ছাড়াই টুর্নামেন্ট আয়োজনের আলোচনা আছে পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে। তবে ভারত বা পাকিস্তানের মতো দলকে ছাড়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজন করা সম্প্রচার স্বত্বের দিক থেকে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন ইসিবির চেয়ারম্যান ইসিবি চেয়ারম্যান থম্পসন ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গোল্ড সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে, সেক্ষেত্রে বিকল্প হতে পারে হাইব্রিড মডেল।
উল্লেখ্য, ২০২৩ এশিয়া কাপ খেলতে বিসিসিআই পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানালে শেষ পর্যন্ত ভারতের ম্যাচগুলো শ্রীলঙ্কায় আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানে আয়োজন করা হয় শুরুর দিকের কিছু অংশ। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ক্ষেত্রেও বিসিসিআইয়ের সিদ্ধান্ত একই থাকলে ‘হাইব্রিড মডেলে’ টুর্নামেন্টের একটি অংশের খেলা হতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত বা শ্রীলঙ্কায়।