অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিতে পারেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভারতের বিপক্ষে চলতি সিরিজই হতে পারে তার শেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজ। দিল্লির দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিকে সামনে রেখে গতকাল রাত থেকে চলে এমন গুঞ্জন। অবশেষ সেই গুঞ্জন সত্য হলো, আর্ন্তজার্তিক টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন রিয়াদ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন মঞ্চ আগেই প্রস্তত ছিল। বাকি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের আসা। এরপর এলেনও তিনি। শুরুতেই জানিয়ে দিলেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণ থেকে তার অবসরের সিদ্ধান্তের কথা।
চারপাশে চলমান আলোচনা যে মিথ্যে নয়, সেটাই শুরুতে জানিয়ে দিলেন ৩৯ ছুঁই ছুঁই এই অভিজ্ঞ ব্যাটার। ভারতের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টি হবে তার ম্যাচ, ‘হ্যাঁ, সত্যিই আমি এই সিরিজের শেষ ম্যাচেই অবসর নিতেছি।’
১৭ বছরের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের শুরুটা হয় কেনিয়ার বিপক্ষে। আর শেষ হচ্ছে ভারতের বিপক্ষে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৩৯ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছেন মাহমুদউল্লাহ। ১১৭.৭৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ২৩৯৫। তার গড় ২৩.৪৮। আর কোনো শতক না থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে ৮ অর্ধশতক রয়েছে তার।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল, এ চার বছরে ৪৩ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেন মাহমুদউল্লাহ। সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়া ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ড তার দখলে। তবে সে এককভাবে এ রেকর্ডের মালিক নয়। তার সমান ১৬টি করে জয় রয়েছে সাকিব আল হাসানেরও।
এর আগে ২০২১ সালে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বেশ সাড়া ফেলে সেই অবসর। হারারে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টের মাঝপতে সতীর্থরা গার্ড অব অনার দেন তাকে। যা দেখে অনেকে তার অবসরের বিষয়টি অনুমান করে নেন।
টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণায় কোনো নাটকীয়তা করেননি তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে জানালেন বিদায়। বুধবার (৯ অক্টোবর) দিল্লিতে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ অবসরের ঘোষণা দিলেন। ভারতের বিপক্ষে হায়দরাবাদে হওয়া সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি দিয়ে ইতি টানবেন ক্যারিয়ারের।
নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত জানাতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘ভারত সিরিজের অনুশীলন শুরুর সময়ই এসব (অবসর) নিয়ে আলোচনা করা শুরু করেছিলাম। পরিবার শুরুতে বোঝেনি, তারা ভেবেছিলো এইটা সঠিক সময় নয়। আমি নানাভাবে পরিবারকে বুঝিয়েছি, এরপর তারা বুঝেছে। তারপর আমি বোর্ড সভাপতি এবং নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
টেস্ট এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ছেন না মিডল অর্ডার এ ব্যাটার। চালিয়ে যাবে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে।