কেমন হবে আজ গোয়ালিয়রে প্রথম টি-টোয়েন্টির পিচ ?
ছবি: সংগৃহীত
টেস্ট সিরিজ শেষ করে ভারতের বিপক্ষে এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজের লড়াইয়ে নামবে বাংলাদেশ। যেখান থেকে পরবর্তী ২০২৬ বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি শুরু করতে চায় শান্ত’র দল। টেস্টে টাইগাররা ধবলধোলাইয়ের পর ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারা ঘুরে দাঁড়াতে চায়।
ভারতের গোয়ালিয়রে রোববার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মুখোমুখি হবে দুই দল । শ্রীমাণ মাধবার সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে কিছু আলোচনা চলছে। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সাধারণত যেমন পিচ দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না চলা এই মাঠের পিচ এবার কেমন আচরণ করবে- তাই এখন দেখার বিষয়।
এই সিরিজকে বলা হচ্ছে দুই দলের জন্যই এক নতুন শুরু। টাইগাররা যেমন সাকিব আল হাসান পরবর্তী অধ্যায় শুরু করছে এই ফরম্যাটে। অন্যদিকে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের অবসরের পর তরুণদের সমন্বয়ে গড়া দল নিয়ে ভারত টি-টোয়েন্টি খেলতে নামছে।
গোয়ালিয়রে এদিন আবহাওয়ার খবরে সুসংবাদ মিলেছে দুই দলের জন্যই। বৃষ্টির সম্ভাবনা (৪ শতাংশ) আদতে শঙ্কা জাগানোর মতো নয়। এ ছাড়া তাপমাত্রাও থাকবে অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা কম। ২৪ ডিগ্রি তাপমাত্রার সঙ্গে ৮০ শতাংশের কম আদ্রতা থাকবে। ম্যাচ শুরুর সময়ে মধ্যপ্রদেশের শহরটিতে সন্ধ্যায় অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা ঠান্ডা আবহাওয়া থাকবে বলে জানা গেছে।
গোয়ালিয়রের মাঠের স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে অবশ্য পিচ সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পাওয়া যায়। এই মাঠে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে ১৪ বছর আগে। সংস্কার করার পর এই মাঠে প্রথমবারের মতো খেলবে দুই দেশ। তবে ঘরের মাঠে ভারতের সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোর দিকে তাকিয়ে এদিনও রানের পিচ হতে পারে মনে করা হচ্ছে। সবশেষ এক বছরে ভারতের মাঠগুলোয় গড়ে রান উঠেছে ১৯০। আট ম্যাচের মধ্যে চারটিতেই আগে ব্যাটিং করা দল ২০০–এর বেশি রান তুলেছে। সিন্দিয়া স্টেডিয়ামের পিচ সাধারণত লাল মাটির হয়ে থাকে। যেটি বাউন্স ও পেসারদের জন্য উপযোগী। একইসঙ্গে ব্যাটাররাও রান তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পান।
ভারতের আরেক সংবাদমাধ্যম এবিপি থেকে জানা যায়, সিন্দিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাধারণত লাল মাটির পিচ হয়ে থাকে। যা বাউন্স ও পেসারদের জন্য উপযোগী হয়ে থাকে। এখানে ব্যাটাররাও রান তোলার ক্ষেত্রে সুবিধা পায়। উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত দুই দল খেলেছে ১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, যেখানে ভারত জিতেছে ১৩টি, বাংলাদেশ কেবল ১টি।