প্রথম কর্মদিবসেই যে ৩ সিদ্ধান্ত নিলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত
নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে দপ্তর বণ্টন করে দেওয়া হয়েছে। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
দায়িত্ব গ্রহণ শেষে রোববার (১১ আগস্ট) প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে অফিস শুরু করেছেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যক্রম কীভাবে চলবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই ক্রীড়া উপদেষ্টা।
প্রথম দিনে তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, প্রথম দিনে আমরা তিনটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যার প্রথমটি হলো—যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আছে, এটার নাম পরিবর্তন করতে চাই। যেহেতু বাংলাদেশে সহিংসতার সঙ্গে শেখ হাসিনার নাম জড়িত আছে। অনেক শিক্ষার্থী ও জনতা মারা গিয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি এর পেছনে জড়িত। সেই জায়গা থেকে শুধু আমাদের নয় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে এটা করা হবে। তাই শেখ হাসিনা জাতীয় যুব ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করে আমরা এটি—বাংলাদেশ জাতীয় যুব ইনস্টিটিউট করছি। দ্রুতই এটা সম্পন্ন করা হবে।
চলতি বছরের অক্টোবরে নারী টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসর বসার কথা ছিল বাংলাদেশের মাটিতে। বাংলাদেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে যা এখন শঙ্কার মুখে। সে বিষয়েও সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান ক্রীড়া উপদেষ্টা। যা নিয়ে তিনি বলেন, এরইমধ্যে আমরা বিসিবির সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এই বিষয়ে আমাদের কিছু কাজ করতে হবে। আমি আজকেই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবো। তিনি যেহেতু একজন ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ। তিনি অবশ্যই আমাদের সহায়তা করবেন। আমরা এই বিষয়ে সবার সঙ্গেই কথা বলব। কিছু দেশের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।
অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, আমাদের যে কাজগুলো চলমান আছে, সেগুলো যাতে দ্রুত শেষ করা যায় সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান পাপনের বিষয়েও কথা বলেছেন নতুন এই ক্রীড়া উপদেষ্টা। বলেন, বিসিবির বিষয়ে বলতে চাই, তারা যেহেতু একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, তাদেরকে আমরা তো আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারব না। আমরা তাদেরকে পরামর্শ দেওয়া ও নিতে পারব। আর বিসিবির সভাপতি অনুপস্থিত আছেন। অবশ্যই একটা সংস্থাকে কাজ করতে হলে সবার উপস্থিতি প্রয়োজন। সভাপতির মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যেহেতু তিনি অনুপস্থিত আছেন, তাই আমরা বিসিবির যারা পরিচালক আছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা আইসিসির আইন মেনে যেটা করার, সেটাই করবেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া যায় কিনা সেই বিষয়টিও দেখতে বলেছি।