সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটে বাংলাদেশ অষ্টম

আবারো বৃথা গেল আরিফুলের সেঞ্চুরি

ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরও বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে পারেনি। ব্যাটিং ব্যর্থতা ছিল সেমি ফাইনালের প্লে অফ ম্যাচেও। সব কিছু হারিয়ে ব্যাটসম্যানরা জ্বলে উঠেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সপ্তম/অষ্টম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে। আরিফুল ইসলামের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে ৮ উইকেটে ২৯৩ রান সংগ্রহ করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি বাংলাদেশের যুবাদের। ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের পাল্টা সেঞ্চুরিতে ৭ বল হাতে রেখেই ২ উইকটে ম্যাচ জিতে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৮ ওভার ৫ বলে ৮ উইকেটে করে ২৯৮ রান। জয় সূচক রান আসে রকিবুল হাসানের বলে লিয়াম অ্যাল্ডারের ছক্কায়। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ আট নম্বর হয়ে দেশে ফিরবে। ইংল্যান্ড ও ভারেতর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে ৫ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া পাকিস্তান পঞ্চম ও শ্রীলঙ্কা ষষ্ঠ হয়েছে।

এ ম্যাচে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে ইফতেখার ছিলেন না। তাকে সেরা একাদশেই রাখা হয়নি। মফিজুলের সঙ্গে ওয়ান ডাউন থেকে প্রমোশন দিয়ে ইনিংসের উদ্বোধন করতে পাঠানো হয় প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে। ইফতেখারের পরিবর্তে সুযোগ দেওয়া হয় তাহজিবুল ইসলামকে। তানজিম হাসান সাকিবের পরিবর্তে সুযোগ পান মুশফিক হাসান।

আসরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো একটা সূচনা পান। মফিজুল-নাবিলের উদ্বোধনী জুটিতে ৫৭ রান আসে। মফিজুল ২৯ রানে করে আউট হওয়ার পর শতরানের আগে হাারয় আরও দুই উইকেট। নাবিল ৩৮ ও আইচ মোল্লা ১ রান করে আউট হয়ে যান। ৮৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আরিফুল ইসলাম জ্বলে উঠেন। আগের ম্যাচে করেছিলেন ১০০ রান। বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল সব উইকেট হারিয়ে ১৭৫। এবার আরিফুল করেন ১০২ রান। বাংলাদেশ কিন্তু এবার আর অলআউট হয়নি। ৮ উইকেটে করে ২৯৩ রান। আরিফুল সেঞ্চুরি করার পথে মো. ফাহিম ও এসএম মেহরবের সহায়তা পেয়েছিলেন বেশি। দুই জনেই ৩৬ রান করে করেন। চতুর্থ উইকেট জুটিতে ফাহিমকে নিয়ে যোগ করেন ৫৫ রান। তবে বড় জুটি হয় পঞ্চম উইকেট। এ জুটিতে মেহরবের সঙ্গে ১৬ ওভার ৩ বলে যোগ হয় ১১৪ রান। মূলত এ রানই দলের সংগ্রহকে বিশাল করতে বড় ভূমিকা রাখে। আরিফুল মাফাকার বলে চার মেরে ১০১ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। আগের ম্যাচের মতো এ ম্যাচেও তিনি সেঞ্চুরি করার পরপরই আউট হয়ে যান। ১০৩ বলে ১০২ রান করে আরিফুল বোস্টের বলে বেন হারডিনের হাতে ধরা পড়েন। তার ইনিংসে ছিল তিনটি ছক্কা ও ৯টি চার। দক্ষিণ আফ্রিকার মাফাকা ৫৫ রানে নেন ৩ উইকেট। লিয়াম অ্যাল্ডার ২ উইকেট নিতে খরচ করেন ৪৬ রান।

জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা ডিওয়াল্ড ব্রেভিসের ব্যাট ভর করে এগুতে থাকে। দলীয় ২৪ রানে ওপেনার স্মিথের (১০) উইকেট হারালেও রোনান হারমান ও ব্রেভিস মিলে দলীয় শতরান পার হয়ে যায়। জুটিতে ৮৬ রান আসে। রোনান হারমান ৪৬ রান করে রিপন মণ্ডলের শিকার হন। এ জুটি ভেঙে যাওয়ার মেহরবের জোড়া আঘাতে দ্রুতই দুই উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। দলের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪ উইকেটে ১২৭। এরপর ব্রেভিস সোলোমন (১৫), ম্যাথিউ বোস্টকে ( ৪১) নিয়ে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান ব্রেভিস। ১১১ বলে সেঞ্চুরি করার পর তিনি আউট হন রিপন মণ্ডলের বলে অধিনায়ক রকিবুলের হাতে ধরা পড়ে ১৩৮ রানে। তখন দলের রান ৭ উইকেটে ২৬৩। দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৩৬ বলে ৩১ রানের। পরে আর এক উইকেট হারিয়ে ৭ বল হাতে রেখেই তারা জয়ের নাগাল পেয়ে যায়। মেহরাব ৪৮, মুশফিক হাসান ৫২ ও রিপন মণ্ডল ৬২ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

এমপি/এসএন

 

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত যুবক নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ কক্সবাজার পিটিআই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের একমাত্র সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহত শিহাবের মা আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নিতে এলাকাবাসীর কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।পথে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে তাদের বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা জাহেদকে জোর করে তুলে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন অন্তত হন। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে শাহাদাৎ নামে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহাদাৎ একই গ্রামের জুয়েলের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে বলরামপুর এলাকায় জুয়েল মিয়া নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। বাড়ি করার জন্য বাড়ির পাশে ডোবা তৈরি করে মাটি উত্তোলন করেছিল। সেই ডোবায় সেচপাম্পের পানি জমে ভরাট হয়।

সোমবার সকালে শাহাদাৎ সেই ডোবার পানিতে পড়ে যায়। বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতো না। একপর্যায়ে শাহাদাৎকে খুঁজে না পেয়ে ডোবায় খুঁজে পান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক শাহাদাৎ কে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা