চট্টগ্রামকে হারিয়ে আবার শীর্ষে কুমিল্লা

বৃষ্টি এসে সর্বনাশ করেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জর্সের! বৃষ্টির আগে তাদের ১২.৫ ওভারে ২ উইকেটে ছিল ১০৭ রান। বৃষ্টির পর খেলা নেমে আসে ১৮ ওভারে। তখন শুরু হয় মোস্তাফিজ বৃষ্টি। যে বৃষ্টিতে ভেসে যায় চট্টগ্রাম শিবির! মোস্তাফিজের ১৪, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওভারে উইকেট পড়ে দুইটি করে। যার পাঁচটিই নেন মোস্তাফিজ। অপরটি ছিল রানআউট। চট্টগ্রাম ৮ উইকেটে করে ১৩৮ রান। যা বৃষ্টি আইনে বেড়ে হয়ে ১৪৪। সেই রান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস টপকে যায় ১৬.৩ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে।
চট্টগ্রাম এই ম্যাচে ওপেনিংয়ে পরিবর্তন এনে ওয়ালটনকে নামায়। কুমিল্লার হয়ে প্রথমবারের মতো খেলতে নামেন মঈন আলী ও সুনীল নারিন। বাদ পড়েন ক্যামেরুন ডেলপোর্ট ও করিম জানাত।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম দলীয় শূন্য রানে হারায় ওয়ালটনকে। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে আসরের অন্যতম সফল ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস ও আফিফ হোসেন ৬.৪ ওভারে ৬২ রান যোগ করেন। ২১ বলে ২৭ রান করে তানভীরের বলে বোল্ড হয়ে যান। আফিফ আউট হওয়ার পর উইল জ্যাকস ও শামীম হোসেন দলের রান শতক পার করান ১২ ওভারে। এর ৫ বল পর আসে বৃষ্টি। যে বৃষ্টি সর্বনাশ করে চট্টগ্রামের।
মোস্তাফিজ বল হাতে নিয়ে একই ওভারে ফিরিয়ে দেন দুই সেট ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস (৫৭) ও শামীমকে (২৬)। পরের ওভারে শিকার করেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম (৩) ও বেনি হাওয়েলকে (৩)। এর পরের ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে (৪) আউট করার পর সেই ওভারেই রানআউট হন মৃত্যুঞ্জয় (১)। চট্টগ্রাম ২৫ বলে ২৯ রানে হারায় ৬ উইকেট। মোস্তাফিজ ২৭ রানে ৫ উইকেট।
কুমিল্লা রান তাড়া করতে নেমে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস ও লিটন দাস দলের রান ১৬ ওভারে ১৩৮ পর্যন্ত নিয়ে যান। এ সময় লিটন আউট হন মৃত্যুঞ্জয়ের বলে। তিনি ৩৭ বলে ৩ ছক্কা ৪ চারে ৫৩ রান করেন। মৃত্যুঞ্জয়ের পরের দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে দলকে ৯ উইকেটে জয় এনে দেন ইমরুল কায়েস। ৬২ বলে ৫ ছক্কা ও ৬ চারে ৮১ রান করে ইমরুল অপরাজিত থাকেন।
এমপি/এমএসপি
