সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

টর্নেডো গতিতে খুলনার জয়

ঢাকায় ফিরে বিপিএলে প্রথম ম্যাচে সেই রান খরায়ই পড়েছে। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট সানরাইজার্স ৫ উইকেটে করে মাত্র ১৪২ রান। তবে পরে এই রান খরার ম্যাচে আবার সবাই তৃপ্তির ঢেকুর তুলেছেন। কারণ, খুলনা টাইগার্সের ঝড়ো ব্যাটিং। সিলেটের ওভার প্রতি ৭.১০ করে সংগৃহিত রান খুলনা অতিক্রম করেছে ওভার প্রতি ১০.০৪ করে। মাত্র ১৪.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে ৯ উইকেটে। সময় নেয় মাত্র ৬৯ মিনিট।

এই জয়ে খুলনা ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে পেছনে ফেলে চারে উঠে এসেছে। সিলেটের ছিল টানা তৃতীয় হার। ৫ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২। অবস্থান সবার নিচে।

প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে রান খরা পড়া দলটি কিন্তু সহজেই হার মানে না। কখনো কখনো জয়ও পায়। যদিও সেই জয়ের সংখ্যা খুবই নগন্য। মাত্র দুইটি। এই দুটিই ছিল চট্টগ্রামে। ঢাকায় কোনো দল এত কম রান করে জিততে পারেনি। তবে হারলেও খুলনার মতো টনের্ডো গতিতে ম্যাচ জিততে পারেনি। নাজমুল ইসলাম অপুর বলে থিসারা পেরেরা পর পর দুই বলে চার ও ছক্কা মেরে দলকে এনে দেওয়া জয়ে ইনিংসে চার ও ছয়ের ব্যবহার ছিল খুব বেশি। এখান থেকেই এসেছে খুলনার ১৪৪ রানের মাঝে ৯৮ রান। ৭ ছক্কার সঙ্গে ১৪ বাউ-ারি। ৮৬ বল খেলে জয় পাওয়া ইনিংসে আবার ৩১ ছিল আবার ডট। অর্থাৎ ৫৫ বল থেকে এসেছে ১৪৪ রান।

৯ উইকেটে জয়। তার মানে ক্রিজে যারাই গিয়েছেন তারাই রানের দেখা পেয়েছেন। টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পর এই ম্যাচে রানের দেখা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। ৩১ বলে ১ ছক্কা ও ৬ চারে তিনি ৪৩ রান করে নাজমুল ইসলাম অপুর বলে জুবায়ের হোসেনের হাতে ধরা পড়েন। সৌম্যর রানের সঙ্গে বলের ব্যবহার দেখে কিন্তু বুঝার উপায় নেই দলের ইনিংস টনের্ডো ছিল? তা’হলে কে খেলছে টনের্ডো ইনিংস? তিনি ছিলেন আন্দ্রে ফ্লেচার। ৫টি করে চার-ছক্কা মেরে তিনি মাত্র ৪৭ বলে অপরাজিত ৭১ রান করেন। সৌম্য সরকারের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে ১০.৫ ওভারে আসে ৯৯ রান। ব্যাাটিং পাওয়ার প্লেতে আসে ৬৫ রান। সৌম্য আউট হওয়ার থিসারা পেরেরা এসে যেন সেই টনের্ডোতে আরও গতি বাড়িয়ে দেন।

মাত্র ৯ বলে ১ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ২২ রান করেন। আন্দ্রে ফ্লেচারের সঙ্গে তিনি দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে মাত্র ৩.৩ ওভারে যোগ করেন ৪৫ রান। অধিনায়ক মোসাদ্দেক খুলনার রানের চাকা আটকানোর জন্য নিজেসহ ৬ জন বোলার আক্রমণে এনেও ব্যর্থ হন। এদিন সিলেটের মেইন বোলার তাসকিন আহমেদ ব্যাক পেইনের কারণে খেলতে পারেননি।

দুই দল মাঠে নামার আগে সিেেলটের শক্তি ছিল ব্যাটিং আর খুলনার ছিল বোলিং। সেখানে সফল হয়েছে খুলনার বোলিং। দলপতি মুশফিক টস জিতে বোলারদের হাতে বল তুলে দেওয়ার পর তার প্রতিদান পান তাদের কাছ থেকে। সিলেটের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কাজেই লাগাতে দেননি খুলনার বোলাররা। ১ উইকেটে সংগ্রহ হয় মাত্র ২৪। এতেই সিলেটের শক্তিশালী ব্যটিং লাইন থাকার পরও বড় সংগ্রহের পথ অনেকটা বন্ধ হয়ে যায়। সে পথ আরও কঠিন হয়ে উঠে ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। ওভার তখন ৮.১। একে একে আউট হয়েছেন লিন্ডলে সিমন্স (৬), এনামুল হক বিজয় (৪), কলিন ইনগ্রাম (২)। অবস্থা সামাল দেওয়ার জন্য মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে দলপতি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত হাল ধরেন। অনেকটা সফলও হন তারা। ৮.২ ওভারে যোগ হয় ৬৮ রান। মোসাদ্দেক রান বাড়ানোর তাড়না থেকে খালেদ আহমেদকে মেরে খেলতে গিয়ে জাকের আলীর হাতে ধরা পড়লে শেষ হয় তার ৩০ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে ৩৪ রানের ইনিংস। ওভার বাকি তখনো ৩.৩টি। এ সময় মোহাম্মদ মিঠুন ঝড়ে রান যোগ হয় ৪০। মোাসদ্দেক আউট হওয়ান সময় মিঠুনের রান ছিল ৩৭ বলে ৪৪। সেখানে শেষ ২১ বলের মাঝে ১৪ বল খেলে যোগ করেন ৩৫ রান। ২ ছক্কার সঙ্গে ছিল ৩ চার। ৫০ করেন ৪১ বলে। আউট হন এক বল বাকি থাকতে সৌম্য সরকারের বলে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়ে। ম্যাচ সেরা হয়েছেন আন্দ্রে ফ্লেচার

 

এমপি/এমএমএ/

Header Ad
Header Ad

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা। ছবি: সংগৃহীত

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা মুসলিম বিক্ষোভকারীদের হত্যার জন্য প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে, থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়ার সময় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ৭৮ জন মুসলিম বিক্ষোভকারীর মৃত্যু ঘটে।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ক্ষমা চেয়ে থাকসিন বলেন, "আমি যখন প্রধানমন্ত্রী ছিলাম, আমার লক্ষ্য ছিল স্থানীয় জনগণের কল্যাণে কাজ করা। যদি আমার কোনো ভুল বা অযথা অসন্তোষের সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।"

এই ঘটনা 'তাক বাই গণহত্যা' নামে পরিচিত এবং এর জন্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন প্রথমবারের মতো দুঃখ প্রকাশ করলেন। ২০০৪ সালের ২৫ অক্টোবর নারাথিওয়াত প্রদেশের তাক বাই শহরে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো হয়, যার ফলে ৯ জন নিহত হয়। এরপর বিক্ষোভকারীদের হাতে বাধা দিয়ে সেনাবাহিনীর ট্রাকে ঠাসাঠাসি করে নেওয়া হয়, যার ফলে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়।

থাই মানবাধিকার সংস্থা "দুয়ে জাই" এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা আঞ্চনা হিম্মিনা এএফপিকে বলেছেন, এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা চাওয়া। তিনি আরও বলেন, যদি থাকসিন ক্ষমা চাওয়ার ব্যাপারে আন্তরিক হন, তাহলে তার উচিত এই হত্যাকাণ্ডের শিকার পরিবারের কাছে সরাসরি ক্ষমা চাওয়া।

Header Ad
Header Ad

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে

কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলায় নিহত যুবক নাহিদ। ছবি: সংগৃহীত

বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতি পাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত বিমান বাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজারের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। এ ঘটনায় নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিমান ঘাঁটি সংলগ্ন সমিতিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের নাম শিহাব কবির নাহিদ। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। নাহিদ কক্সবাজার পিটিআই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট নাসির উদ্দীন ও কক্সবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আমেনা খাতুনের একমাত্র সন্তান।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নিহত শিহাবের মা আমেনা খাতুন হাসপাতালে আহাজারি করছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, বিমান বাহিনী আমার ছেলের মাথায় গুলি করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা মুজাহিদুল ইসলাম জানান, বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ বিষয়ে বৈঠকে অংশ নিতে এলাকাবাসীর কয়েকজন প্রতিনিধি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন।পথে বিমান বাহিনীর চেকপোস্টে তাদের বহনকারী ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটকে দেওয়া হয়। এ সময় অটোরিকশায় থাকা জাহেদকে জোর করে তুলে নেওয়া চেষ্টা করা হয়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে বিমান বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের সময় বিমান বাহিনীর সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। এতে কয়েকজন অন্তত হন। স্থানীয়রা আহতদের হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে সোমবার দুপুরে আইএসপিআর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, কক্সবাজার বিমান ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বিমানবাহিনী ঘাঁটি কক্সবাজার সংলগ্ন সমিতিপাড়ার কিছু দুর্বৃত্ত এ হামলা চালিয়েছে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

Header Ad
Header Ad

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে শাহাদাৎ নামে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়নের বলরামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শাহাদাৎ একই গ্রামের জুয়েলের ছেলে।

পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল থেকে বলরামপুর এলাকায় জুয়েল মিয়া নতুন বাড়ি নির্মাণের কাজ করছে। বাড়ি করার জন্য বাড়ির পাশে ডোবা তৈরি করে মাটি উত্তোলন করেছিল। সেই ডোবায় সেচপাম্পের পানি জমে ভরাট হয়।

সোমবার সকালে শাহাদাৎ সেই ডোবার পানিতে পড়ে যায়। বিষয়টি পরিবারের কেউ জানতো না। একপর্যায়ে শাহাদাৎকে খুঁজে না পেয়ে ডোবায় খুঁজে পান। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক শাহাদাৎ কে মৃত ঘোষণা করেন।

এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, পানিতে পড়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় কেউ জানায়নি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মুসলিম গণহত্যা: ক্ষমা চাইলেন সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে হামলা, নিহত যুবকের পরিচয় মিলেছে
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পানিতে পড়ে প্রাণ গেল শিশুর
ছাত্রদল ও ছাত্রশিবিরের রাজনৈতিক রেষারেষি নিয়ে যা বললেন রিজভী
রমজানে সরকারি অফিস চলবে ৯টা থেকে সাড়ে ৩টা
দেশের স্বার্থে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত না করার আহ্বান মির্জা ফখরুলের
সাভারে কাপড়ের কারখানায় আগুন, পুড়ে ছাই কাপড় ও কার্টন
বিয়ের ছবি প্রকাশ করলেন মেহজাবীন চৌধুরী
রিলিফের আশায় অনেক বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গা হচ্ছে: সিইসি
যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিতেন বিশ্বনবী (স.)
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যে নির্দেশনা দিলেন সেনাপ্রধান
সাজেকে ৭ রিসোর্ট ও কটেজে আগুন, নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সেনাবাহিনী(ভিডিও)
১০৩ পুলিশ কর্মকর্তার বিপিএম-পিপিএম পদক প্রত্যাহার
বাংলাদেশ থেকে আসা বিদ্বেষী বার্তায় অসন্তুষ্ট নয়াদিল্লি: জয়শঙ্কর
কক্সবাজারে বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে দুর্বৃত্তদের হামলা, নিহত ১
আমাদের ব্যর্থতা আছে অস্বীকার করার উপায় নেই: আসিফ নজরুল
মিঠাপুকুরে ধর্ষকের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও কুশপুত্তলিকা দাহ
এবার মেহেদি হাসান ও বিপ্লব কুমার চাকরি থেকে বরখাস্ত
এমসি কলেজ শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় জামায়াত আমিরের দায় স্বীকার  
লালমনিরহাটে জামাত-শিবিরের কলেজ দখলের চেষ্টা