ক্যারিবীয়দের গুঁড়িয়ে দিয়ে সুপার এইটে শুভসূচনা ইংল্যান্ডের
ছবি: সংগৃহীত
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অপরাজিত থেকেই সুপার এইট নিশ্চিত করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অন্যদিকে ইংল্যান্ডকে একেবারে শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এমনকি সুপার এইট নিশ্চিতে অস্ট্রেলিয়ার দিকেও চেয়ে থাকতে হয়েছিল তাদের। এবার সেই ক্যারিবিয়ানদের গুঁড়িয়েই সুপার এইটের শুভসূচনা করলো ইংলিশরা। দুর্দান্ত এক জয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে বার্তাও দিলো বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে সুপার এইটের ম্যাচে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের পুঁজি দাঁড় করায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জবাবে ফিল সল্টের ৪৭ বলে ৮৭ রান এবং জনি বেয়ারস্টোর ২৬ বলে ৪৮ রানে ভর করে ১৭ দশমিক ৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড।
রান তাড়ায় জস বাটলারের সঙ্গে সল্টের উদ্বোধনী জুটিতে পাওয়ারপ্লেতে ৫৮ রানসহ ওঠে মোট ৬৭ রান। পাওয়ারপ্লেতে মূল হুমকি বাঁহাতি স্পিনার আকিল হোসেনকে নিরাপদে পার করেন দুজন। শেষ পর্যন্ত সে জুটি ভাঙে অফ স্পিনার রোস্টন চেজের বলে বাটলার সামনে এসে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লু হলে। ডানহাতিদের বিপক্ষেও অফ স্পিনার চেজ দারুণ করেছেন। তবে উইকেট দরকার ছিল তাদের, সেটির দেখাই খুব একটা পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এদিন গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজে টানা দুটি সেঞ্চুরি পাওয়া সল্ট ফিফটি পূর্ণ করেন ৩৮ বলে। বেয়ারস্টো ছিলেন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক, এমন রানতাড়ায় যেটি প্রত্যাশিতও। ১৫তম ওভারে নিজের শেষটি করতে আসা আকিলের ওপর চড়াও হন তিনি, ওই ওভারে আসে ১৬ রান।
সল্ট এরপর সময় নেননি একেবারেই। রোমারিও শেফার্ডের করা ১৬তম ওভারে সল্টের স্কোরিং শটের ক্রম ছিল এমন—চার, ছয়, চার, ছয়, ছয়, চার। ৩০ রানের ওই ওভারটিই বিশ্বকাপে কোনো ক্যারিবীয় বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার। সল্ট ও বেয়ারস্টোর ৪৪ বলে ৯৭ রানের জুটি অবিচ্ছিন্ন থেকেই নিশ্চিত করে জয়।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ১৩ বলে ২৩ রানের ইনিংস খেলে অপ্রত্যাশিতভাবে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে ফিরতে হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ব্রান্ডন কিংকে। তখন ক্যারিবীয়দের স্কোরকার্ডে ৪০ রান।
এরপর নিকোলাস পুরানকে নিয়ে ৪১ বলে ৫৪ রানের জুটি করেন জনসন চার্লস। ৩৪ বলে ৩৮ রানের ধীরগতির ইনিংস খেলেন চার্লস। মঈন আলির বলে হ্যারি ব্রুকের হাতে ক্যাচ হন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
বড় পুঁজি গড়ায় অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল বড় ভূমিকা রাখেন। পুরানের সঙ্গে ২৩ বলে ৪৩ রানের জুটি করে ফেরেন তিনি। এর মধ্যে দানবীয় ব্যাটিংয়ে তার একার ব্যাট থেকেই থেকে আসে ১৭ বলে ৩৬ রান (৫ ছক্কায়)। ১৫তম ওভারে লিয়াম লিভিংস্টোনকে ৩ ছক্কা হাঁকানোর পর শেষ বলে ক্যাচ দেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক।
দেখেশুনে পুরান খেলেন ৩২ বলে ৩৬ রানের ইনিংস। জোফরা আরচারের বলে উইকেটরক্ষক জস বাটলারের হাতে তালুবন্দি হন এই ব্যাটার। এরপর কোনাে জুটি করা ছাড়াই দুটি উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
ষষ্ঠ উইকেটে এসে আরও একটি দারুণ জুটি পায় ক্যারিবীয়রা। ঝড় তোলেন শারফেন রাথারফোর্ড। ১৫ বলে ২৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি। সঙ্গে রোমারিও শেফার্ড ৭ বলে ৫ রাানের সহায়তা করলে এই অপরাজিত জুটি থেকে আসে ১৯ বলে ৩৮ রান।
ইংল্যান্ডের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জোফরা আরচার, আদিল রশিদ, মঈন আলি, লিয়াম লিভিংস্টোন।