বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিফার বিরুদ্ধে ফুটবলারদের ধর্মঘটের হুমকি, কারণ কি?

ছবি: সংগৃহীত

ক্লাব ফুটবলের ব্যস্ত সূচি থাকে পুরো বছরেই। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল খেলতে খেলোয়াড়দের ভ্রমণ করতে হয় বিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। এমন ঠাসা সূচিতে খেলাধুলার পাশাপাশি ভ্রমণেও ফুটবলারদের চলে যায় অনেকটা সময়। খেলোয়াড়েরা যখন ক্লান্ত-পরিশ্রান্ত, তখন তাঁদের সিদ্ধান্ত বিশ্ব ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা ফিফার বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যাওয়ার।

সম্প্রতি ফিফা ৩২ দলের নতুন ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই নতুন ফরম্যাটের ক্লাব বিশ্বকাপ পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তুলেছে। পেশাদার ফুটবলারদের অ্যাসোসিয়েশনের (পিএফএ) প্রধান নির্বাহী মাহেতা মোলাঙ্গো এবং বিশ্ব ফুটবলারদের ইউনিয়ন ফিফপ্রো মৌসুম শেষে পর্যালোচনার পর খেলোয়াড়দের হতাশার কথা প্রকাশ করেন।

মোলাঙ্গো সম্প্রতি একটি ক্লাবের ড্রেসিং রুম সফরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন যেখানে খেলোয়াড়রা তাদের সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা তাকে জানিয়েছেন। তিনি তার ওই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলেন ‘তাদের মধ্যে কয়েকজন বলাবলি করছিল ‘ আমি আর পারছি না, আমাদের ধর্মঘট ভিন্ন অন্য কোন উপায় নেই। কয়েকজন তো এও বলেছিল ‘কী লাভ? হ্যাঁ, আমি একজন কোটিপতি, কিন্তু আমার এই টাকা খরচ করার সময নেই।’

শুধু ফুটবলাররা না লিভারপুলের বিদায়ী ম্যানেজার ইয়র্গেন ক্লপ এবং ম্যানচেস্টার সিটির বস পেপ গার্দিওলাও এই উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা খেলোয়াড়দের কল্যাণের জন্য এই কঠিন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

উল্লেখ্য পিএফএ, ফিফপ্রো এবং বিশ্ব লিগ অ্যাসোসিয়েশন (ডব্লিউএলএ) মে মাসে ফিফাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল যেখানে তারা ফিফা যদি সম্প্রসারিত ক্লাব বিশ্বকাপের পরিকল্পনা থেকে সরে না আসে তবে আইনি পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে।

ফিফা প্রেসিডেন্ট জিয়ান্নি ইনফান্তিনো এবং সাধারণ সম্পাদক ম্যাটিয়াস গ্রাফস্ট্রমকে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে জাতীয় লিগ এবং খেলোয়াড়দের উপর আরোপিত এই পরিবর্তনগুলোকে অমানবিক বলে সমালোচনা করা হয়েছে। ‘ফুটবল লিগ এবং খেলোয়াড়দের উপর ম্যাচের পর ম্যাচের বোঝা চাপানো ক্ষমতার অপব্যবহারমূলক।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয় এছাড়াও এত বেশি ম্যাচ লিগ এবং খেলোয়াড়দের সুস্থতা বিপন্ন করছে বলেও তারা জানান।

অবশ্য খেলোয়াড়দের কল্যাণ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে বলে ফিফা আশ্বাস দিলেও পিএফএ এতে সন্তুষ্ট নয়।

মোলাঙ্গো উল্লেখ করেন যে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া ফুটবল ক্যালেন্ডারে পরিবর্তনগুলো ফিফা এবং উয়েফার সময়সূচির সিদ্ধান্ত দ্বারা নিতে বাধ্য হয়েছে।

"আমরা সবসময় কূটনৈতিক উপায়ে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করি" মোলাঙ্গো বলেছেন, তবে সেই সময় সম্ভবত ফুরিয়ে আসছে। এখন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন হতে পারে।

সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় তরুণ খেলোয়াড়দের উপর অত্যধিক চাপের কথা তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে দেখা গেছে রিয়াল মাদ্রিদ এবং ইংল্যান্ডের তারকা ফুটবলার জুড বেলিংহ্যাম ২১ বছর হওয়ার আগে ১৮,৪৮৬ মিনিট ফুটবল খেলেছেন, যেখানে একই বয়সে ডেভিড বেকহ্যাম ৩,৯২৯ মিনিট এবং ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড ৬,৯৮৭ মিনিট খেলেছেন।

ফিফপ্রোর ইউরোপের সভাপতি ডেভিড টেরিয়ার খেলোয়াড়দের শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির কথা উল্লেখ করে সতর্ক করেছেন, যেখানে একটি জরিপে দেখা গেছে ৫০% এরও বেশি খেলোয়াড় আহত অবস্থায় খেলেছেন। ‘এটি একটি জরুরি অবস্থা - আমরা বিপদে আছি’ টেরিয়ার জোর দিয়ে বলেন।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের অধিক সময় পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এখনও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা নিজেদের হারানো স্বজনদের খোঁজে ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে ছুটে যাচ্ছেন। তবে তাদের পক্ষে কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেবল কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাফার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মৃতদেহের খোঁজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১২০টি পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মরদেহের কেবল কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে, কিছু মরদেহ সম্পূর্ণ পচে গেছে। এক স্বেচ্ছাসেবী জানায়, পরিবারের সদস্যরা হারানো স্বজনদের খুঁজতে শতাধিক ফোন করেছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হলেও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে প্রচুর সময় লেগে যাচ্ছে। গত ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি, হাজার হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা থেকে চার কোটি ২০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষ সরাতে হবে, যা সম্পূর্ণ করতে ১০ বছর সময়ও লাগতে পারে। এই পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে প্রায় ৭০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। এ ছাড়া, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অবিস্ফোরিত বোমাগুলোর নিষ্ক্রিয়করণ কিংবা অপসারণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। তাই এই কাজে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা

ছবি: সংগৃহীত

ইতালির রোম থেকে ঢাকা আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটে বোমা রয়েছে এমন আতঙ্কের পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। তবে, তল্লাশি শেষে কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানে কোনো বোমা বা ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বোমা থাকার আশঙ্কা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ খবরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত জোরদার করা হয়। বিমানবাহিনী, সিভিল এভিয়েশন এবং এভসেকের দল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়।

বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে সকালে সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

পরে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানটি তল্লাশি করে। সিট, করিডোর, টয়লেট ও ক্যাফে সহ বিমানটির সকল স্থানে চেকিং চালানো হয়। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজগুলোও তল্লাশি করা হয়, তবে সেগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।

শেষে, নিরাপদে বিমানটি তৃতীয় টার্মিনালে সরিয়ে যাত্রীদেরকে স্বস্তির সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়। ফ্লাইটটিতে মোট ১৩ জন ক্রু এবং ২৫৪ জন যাত্রী ছিল।

Header Ad
Header Ad

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।

তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।

আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি