ভারত-নিউ জিল্যান্ড টেস্ট
চতুর্থ দিনে ৪৫ মিনিটেই খেলা শেষ
মুম্বাই টেস্টের চিত্রনাট্য লেখা হয়ে গিয়েছিল তৃতীয় দিন শেষেই। ভারতের জয় ছিল শুধুই সময়ের ব্যাপার।
নিউ জিল্যান্ডের জন্য ভারতের ছুঁড়ে দেওয়া রেকর্ড রান অতিক্রম করা ছিল রীতিমতো দুঃসাধ্য। করতে হবে ৫৪০ রান। এতো রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড টেস্ট ক্রিকেটে নেই। তারপরও ক্রিকেটে শেষ বলে কোনো কথা নেই। ঘটে যায় অনেক নতুন কীর্তি। কিন্তু নিউ জিল্যান্ড তৃতীয় দিনই হেরে যায়, যখন দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে করে মাত্র ১৪০ রান। করতে হবে আরও পাক্কা ৪০০ রান। তাই চতুর্থ দিনের খেলা ছিল অনেকটাই আনুষ্ঠানিকতা।
ভারতের জয় দেখা। সেই জয় ভারত তুলে নিয়েছে রেকর্ড গড়ে নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ব্যবধানে। ৩৭২ রানের ব্যবধান। মাত্র ৪৫ মিনিটেই ১১ দশমিক ৩ ওভারে ২৭ রান যোগ করতেই নিউ জিল্যান্ড হারিয়ে ফেলে বাকি ৫ উইকেটও। তাদের ইনিংস শেষ হয় ১৬৭ রানে।
দুই স্পিনার অশ্বিন ও জয়ন্ত যাদব মিলেই শেষ করে দেন নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস। দুই জনেই চারটি করে উইকেট ভাগাভাগি করে নেন। ভারতের এ রকম বড় জয়ে অনেকটাই আড়ালে পড়ে গেছে নিউ জিল্যান্ডের এজাজের ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তিও।
ভারত প্রথম ইনিংসে ৩২৫ রান করার পর নিউ জিল্যান্ড অলআউট হয়েছিল মাত্র ৬২ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারত ৭ উইকেটে ২৭৬ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে নিউ জিল্যান্ডকে ৫৪০ রান করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল।
টেস্ট ক্রিকেটে ভারতের আগের বড় জয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। ২০১৫ সালে দিল্লিতে তারা জিতেছিল ৩৩৭ রানে। শেষ দিন নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানদের সামনে সাক্ষাৎ যমদূত হয়ে উঠেছিলেন স্পিনার জয়ন্ত যাদব। ৫ উইকেটের চারটিই তুলে নেন তিনি। তার কারণেই নিউ জিল্যান্ডের ৫ উইকেট পড়েছিল মাত্র ২৮ বলের ব্যবধানে। রান যোগ করেছিল মাত্র ৫।
আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান নিকোলাস ও রবিন্দ্র ভালোভাবেই শুরু করেছিলেন। নির্বিঘ্নে খেলতে থাকেন। ভারতের দলপতি দিনের শুরু থেকেই জয়ন্ত ও অশ্বিনকে দিয়েই আক্রমণ শুরু করান। এরাই আবার শেষ করে দেন খেলা। নিকোলাস ও রবিন্দ্র আগের দিন জুটি বেঁধেছিলেন দলীয় ১২৯ রানে। দিন শুরু করেছিলেন ১৪০ রানে। এ দিন আরও ২২ রান যোগ করেন। এরপর নিকোলাসকে ৪৪ রানে আউট করে আঘাত হানেন রবিন্দ্র। এরপরই তাসের ঘরের মতোই ভেঙে পড়ে নিউ জিল্যান্ডের ইনিংস।
উইকেটে ব্যাটসম্যানদের অবস্থান হয় কচু পাতার পানি। জেমিসন ৪ বল, টিম সাউদি ২ বল ও উইলিয়াম ৭ বল খেলে জয়ন্তর শিকার হন। এক প্রান্ত আগলে রাখা রবিন্দ্রকে (১৮) শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট করেন অশ্বিন। ১৫০ ও ৬২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছে ওপেনার মায়াঙ্ক আগারওয়াল। সিরিজের সেরা হয়েছেন রবি চন্দ্রন অশ্বিন। দুই টেস্টের সিরিজের প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিল।
এমপি/এসএন/