প্রিমিয়ার লিগে বিধ্বংসী বোলিংয়ে নতুন রেকর্ড গড়লেন রাজা
ছবি: সংগৃহীত
শিরোপা লড়াই শেষ হয়ে গেছে আগেই। তবুও দৃষ্টি ছিল আবাহনী লিমিটেডের উপর। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকতে পারে কি-না তারা। আর শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়নই হয়েছে ঐতিহ্যবাহী দলটি। তবে শেষ দিনে সব আলো কেড়ে নিয়েছেন প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের রেজাউর রহমান রাজা। দেশের 'লিস্ট এ' ক্রিকেটে এক ম্যাচে সর্বাধিক উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছেন এই তরুণ।
রোববার ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে আগুন ঝরানো বোলিং করেন রাজা। ৬.৩ ওভার বল করেই ২৩ রানের খরচায় নিয়েছেন ৮টি উইকেট। এই বোলিং ফিগার দেশের লিস্ট 'এ' ক্রিকেটের ইতিহাসের সেরা। তার রেকর্ডগড়া বোলিংয়ে মাত্র ৭১ রানে গুটিয়ে যায় শেখ জামাল। ফলে ১৯৯ রানের বিশাল জয় পায় প্রাইম ব্যাংক।
এর আগে এত দিন এই রেকর্ডটি ছিল ইয়াসিন আরাফাতের। ২০১৮ সালে আবাহনী লিমিটেডের বিপক্ষে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে খেলতে নেমে ৪০ রানে ৮ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। এদিন তাকে ছাপিয়ে নতুন কীর্তি গড়েন রাজা। সব মিলিয়ে লিস্ট 'এ' ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৮ উইকেট নেওয়া ১৭তম বোলার তিনি।
এদিন ইনিংসের দশম ওভারে বোলিংয়ে আসেন এই পেসার। তখন শেখ জামালের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৯ রান। দুটি উইকেটই তখন পেসার হাসান মাহমুদের ঝুলিতে। এরপরের বাকি গল্প পুরোটাই রাজার। একাই তুলে নেন বাকি সব উইকেট। শুরুটা করেন ফজলে মাহমুদকে দিয়ে। প্রথম বলেই তাকে ফেরান রাজা। একই ওভারের শেষ বলে পান সাকিব আল হাসানের উইকেটও।
পরের ওভারে ফিরেও জোড়া ধাক্কা দেন রাজা। প্রথম বলে নুরুল হাসান সোহানকে তুলে নেওয়ার এক বল পর পান তাইবুর রহমানের উইকেট। আর নিজের তৃতীয় ওভারের শেষ বলে রিপন মন্ডলের স্টাম্প উড়িয়ে পূরণ করেন ফাইফার। এরপরও থামেননি। আবেদুর রহমান রাব্বি, ইয়াসির আলী চৌধুরী ও শফিকুল ইসলামকে তুলে নতুন এই রেকর্ড গড়েন এই পেসার।
অন্যদিকে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শাইনপুকুরকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে আবাহনী। এনামুল হক বিজয়ের হার না মানা ১১০ রানের ইনিংসে ২৩ বল বাকি থাকতেই শাইনপুকুরের দেওয়া ২৩৫ রানের লক্ষ্যে পৌঁছায় চ্যাম্পিয়নরা।
দিনের অপর ম্যাচে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৩ রানে হারিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ৪৭.৩ ওভারে ১৭৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল তারা। তবে বোলারদের সৌজন্যে ৩২.১ ওভারেই গাজী গ্রুপকে অলআউট করে দেয় মোহামেডান।