বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে ভারতকে নতুন প্রস্তাব পাকিস্তানের

ছবি: সংগৃহীত

আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির এবারের আসরের আয়োজন নিয়ে দোটানায় পড়েছে পাকিস্তান। যার নেপথ্যে দেশটিতে গিয়ে ভারতের খেলতে না চাওয়া। ভারত এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় বলে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে কিছুদিন আগে জানিয়েছিল সংবাদসংস্থা আইএএনএস। তবে এর মাঝেও নতুন প্রস্তাব নিয়ে হাজির হয়েছে পাকিস্তান। তারা ভারতের সব ম্যাচ লাহোরের এক ভেন্যুতেই আয়োজন করতে চায়।

ক্রীড়াভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

কয়েক দিন আগেই বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদসংস্থা আইএএনএস জানিয়েছিল এশিয়া কাপের মতো এই টুর্নামেন্টও হাইব্রিড মডেলে খেলতে চায় ভারত। আর এটি কিছুতেই হতে দিতে চায় না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

কয়েকদিন আগে তারা আইসিসিকে তিনটি ভেন্যু করাচি, লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। নিরাপত্তার স্বার্থে এবার তারা ভারতের সব ম্যাচ কেবল লাহোরেই আয়োজন করতে চায়। একই শহরে হবে টুর্নামেন্টটির ফাইনালও।

ক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, এক শহরে ভারতের ম্যাচ আয়োজন করলে, লজিস্টিকস এবং ভ্রমণকেন্দ্রিক নিরাপত্তাজনিত মাথাব্যথা কমে যায় পিসিবির।

এ ছাড়াও লাহোর শহরের অবস্থান ভারত-পাকিস্তানে ওয়াগাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছাকাছি জায়গায়। আর এর মাধ্যমে সহজেই ভারতীয় দর্শকরা দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ থাকছে।

পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি চলতি সপ্তাহের শুরুতে আইসিসির কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির একটি খসড়া পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি জানান, টুর্নামেন্টটি আগামী বছর ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে আয়োজন করা হতে পারে। তবে সিদ্ধান্ত হবে প্রতিযোগী আটটি দেশের আলোচনার ভিত্তিতে।

এর মাঝে আবার ভারত সেখানে খেলবে কি খেলবে না তারও নিশ্চয়তা চেয়েছে পিসিবি। ২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে আর কোনো ভারতীয় দল পাকিস্তানে সফর করেনি। ওই বছরই মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে ক্রমাগত।

গত মঙ্গলবার করাচিতে আশাবাদী হয়ে পিসিবি সভাপতি নাকভি জানান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে আট দলের সবাই পাকিস্তানে সফর করবে। যেখানে তিনি ভারতের খেলতে না চাওয়ার কোনো নেই বলেও উল্লেখ করেন।

পাকিস্তান এই টুর্নামেন্টটি আয়োজনে খুব মরিয়া, কারণ ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর আর কোনো আইসিসির ইভেন্ট আয়োজন হয়নি দেশটিতে।

এরপর ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কান দলের ওপর আরেক সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপও সরিয়ে নেওয়া হয় পাকিস্তান থেকে। এরপর দেশটিতে ৬ বছর কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি।পরবর্তীতে ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরে বাবর আজমদের দেশে।

যেখানে এরই মাঝে ভারত বাদে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়া প্রায় দেশই আলাদাভাবে সিরিজ খেলতে গিয়েছে। এর আগে সর্বশেষ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর বসেছিল ২০১৭ সালে। যেখানে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

Header Ad
Header Ad

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল। ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনির অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ১৫ মাসের অধিক সময় পর ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, ধ্বংসযজ্ঞের ভয়াবহতা এখনও পরিষ্কারভাবে দেখা যাচ্ছে। যুদ্ধবিরতির পর গাজার বাসিন্দারা নিজেদের হারানো স্বজনদের খোঁজে ধ্বংস হওয়া ভবনের ধ্বংসস্তূপে ছুটে যাচ্ছেন। তবে তাদের পক্ষে কিছুই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না, কেবল কঙ্কাল ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা রাফার ধ্বংসস্তূপের মধ্যে মৃতদেহের খোঁজ করছেন। এই সময়ের মধ্যে অন্তত ১২০টি পচাগলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ মরদেহের কেবল কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে, কিছু মরদেহ সম্পূর্ণ পচে গেছে। এক স্বেচ্ছাসেবী জানায়, পরিবারের সদস্যরা হারানো স্বজনদের খুঁজতে শতাধিক ফোন করেছেন।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ শুরু হলেও ভারী যন্ত্রপাতির অভাবে প্রচুর সময় লেগে যাচ্ছে। গত ১৫ মাসের ইসরায়েলি হামলায় গাজার প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে, এবং ৯০ শতাংশ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। এর পাশাপাশি, হাজার হাজার অবিস্ফোরিত বোমা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে, যা পরিবেশের জন্য বিপজ্জনক।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, গাজা থেকে চার কোটি ২০ লাখ টনের বেশি ধ্বংসাবশেষ সরাতে হবে, যা সম্পূর্ণ করতে ১০ বছর সময়ও লাগতে পারে। এই পরিমাণ ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে প্রায় ৭০ কোটি ডলার খরচ হতে পারে। এ ছাড়া, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অবিস্ফোরিত বোমাগুলোর নিষ্ক্রিয়করণ কিংবা অপসারণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল এবং ব্যয়বহুল। তাই এই কাজে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

Header Ad
Header Ad

বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা

ছবি: সংগৃহীত

ইতালির রোম থেকে ঢাকা আসা বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটে বোমা রয়েছে এমন আতঙ্কের পর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়। তবে, তল্লাশি শেষে কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানে কোনো বোমা বা ক্ষতিকর বস্তু পাওয়া যায়নি।

বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, ফ্লাইটটি রোম থেকে ঢাকায় আসার পথে বোমা থাকার আশঙ্কা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়। এ খবরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দ্রুত জোরদার করা হয়। বিমানবাহিনী, সিভিল এভিয়েশন এবং এভসেকের দল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তৎপর হয়।

বিজি-৩৫৬ ফ্লাইটটি মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রোমের লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে সকালে সকাল ৯টা ২৮ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপদে অবতরণ করে।

পরে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানটি তল্লাশি করে। সিট, করিডোর, টয়লেট ও ক্যাফে সহ বিমানটির সকল স্থানে চেকিং চালানো হয়। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজগুলোও তল্লাশি করা হয়, তবে সেগুলোর মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পাওয়া যায়নি।

শেষে, নিরাপদে বিমানটি তৃতীয় টার্মিনালে সরিয়ে যাত্রীদেরকে স্বস্তির সঙ্গে পৌঁছে দেওয়া হয়। ফ্লাইটটিতে মোট ১৩ জন ক্রু এবং ২৫৪ জন যাত্রী ছিল।

Header Ad
Header Ad

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি

কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি। ছবি: সংগৃহীত

মালয়েশিয়া যেতে না পারা ১৮ হাজার কর্মীদের ‘মহাসমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি’ শীর্ষক ব্যানারে সকাল থেকেই সড়কের ওপর অবস্থান করেন বিদেশগামী কর্মীরা। এতে মূল সড়কের উভয় পাশে যানবাহনের দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।

টাকা দিয়েও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মালয়েশিয়া যেতে না পেরে আন্দোলনে নামা বিদেশগামী কর্মীদের কারওয়ান বাজার মোড় থেকে সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) বেলা ১১টা দিকে রাস্তা থেকে উঠিয়ে দেয়া হয় তাদের।

তাদের দাবি- তারা এখনো রিক্রুটিং এজেন্টদের কাছ থেকে অর্থ ফেরত পাননি। তাই অর্থ ফেরতসহ বিভিন্ন দাবিতে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় অবস্থান নেন।

আবরোধকারীদের একজন বলেন, ৫ লাখ টাকা দিয়েও আমরা মালয়েশিয়া যেতে পারিনি। বর্তমানে ঋণ করে চলছি, পরিবার নিয়ে খুব কষ্টের মধ্যে আছি। জানুয়ারির মধ্যেই আমাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। এ সময় বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও জানান তিনি।

 

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজায় ধ্বংসস্তূপ সরাতেই বেরিয়ে আসছে কঙ্কাল, পচাগলা ১২০ মরদেহ উদ্ধার
বোমা পাওয়া যায়নি বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে, নিরাপদে নামলো যাত্রীরা
কারওয়ান বাজারে পুলিশের সাথে আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তি
প্রথমবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বিশ্বকাপের আশা বাঁচিয়ে রাখল বাংলাদেশ
৭ টেলিকম প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিল
বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি, চলছে তল্লাশি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ থেকে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব ছাড়লেন সারজিস আলম
শিশুদেরও গোপন কারাগারে রেখেছিলেন হাসিনা, দেওয়া হতো না মায়ের দুধ!
অভিযানকালে জুয়াড়িদের হামলা, ডিবি পুলিশের ৭ সদস্য আহত
৯ গোলের রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অবিশ্বাস্য জয়, নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
চালের দাম বাড়ার আর সুযোগ দেব না, বরং কমবে: খাদ্য উপদেষ্টা
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন সম্ভব হচ্ছে না, চলছে বিকল্প চিকিৎসা
থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক
জার্মান চ্যান্সেলরের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক
ব্যর্থতা স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ
সুইজারল্যান্ডে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
তুরস্কে হোটেলে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৬৬
ভোটের মাঠে ইসলামের পক্ষে একটিই বাক্স পাঠানোর প্রত্যয়
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ২৩ কর্মকর্তাকে বদলি