কুমিল্লাকে হারের স্বাদ দিল ঢাকা

উড়তে থাকা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। দিয়েছে প্রথম হারের নোনা স্বাদ। চট্টগ্রামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ঢাকা ৬ উইকেটে করে ১৮১ রান। জবাব দিতে নেমে কুমিল্লা মোটেই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি। ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয়ে যায়। হার মানে ৫০ রানে। টানা তিন ম্যাচ জিতেছিল কুমিল্লা। তাদরে পয়েন্ট ৬। ঢাকারও পয়েন্ট ৬। কিন্তু তারা খেলেছে ৬ ম্যাচ। এদিকে কুমিল্লা হারলেও শীর্ষ স্থান হারায়নি দলটি। নেট রান রেটে তারা উপরেই আছে। ঢাকা নেট রান রেটে চার থেকে উঠে এসেছে দুইয়ে। এই দুই দলের সমান ৬ পয়েন্ট নিয়ে নেট রান রেটে চট্টগ্রাম তিনে, বরিশাল চারে।
কুমিল্লার জয়ের নায়ক ব্যাট হাতে দলনায়ক মাহমুদউল্লাহর ৪১ বলে ৪ ছক্কা ও ৩ চারে অপরাজিত ৭০ রান। আর বলে হাতে আন্দ্রে রাসেল (৩/১৭), এবাদত হোসেন (২/২১) ও কায়েস আহমেদের (২/২৭)। মাহমুদউল্লাহর ইনিংস যেমন দলের সংগ্রহকে ১৮১ পর্যন্ত নিয়ে যেতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছে, তেমনি সেই রানকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে বল হাতে ভূমিকা রাখেন আন্দ্রে রাসেল, এবাদত ও কায়েস।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রিত হয়ে ঢাকা শুরুটা ভালো করতে পারেনি। মোহাম্মদ শাহজাদ ৬ রান করে ফিরে যান। কিন্তু আগের ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিং করে সেঞ্চুরি করে ১১১ রানে অপরাজিত থাকা তামিম ইকবাল এদিনও ছিলেন আক্রমণাত্বক। ইমরান-উজ্জামানকে নিয়ে ৫.২ ওভারে ৪৮ রান যোগ করার পর দলপতি মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৩.৩ ওভারে যোগ করেন ৩০ রান। তামিম ৩৫ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪৬ রান করে তানভীরের বলে বিদায় নেয়ার পর শুরু হয় মাহমুদউল্লাহর ঝলক। তামিম আউট হওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহর রান ছিল ১১ বলে ১৪। ওভার বাকি ছিল ৯.১টি। সেখান থেকে অবশিষ্ঠ ৫৫ বলের মাঝে মাহমুদউল্লাহ খেলেন ৩০ বল। যোগ করেন ৫৬ রান। অন্য প্রান্তে শুভাগত হোম (৯) আন্দ্রে রাসেল (১১), মোহাম্মদ নাঈম (১০), মাশরাফি ( অপরাজিত ২) রাখেন ছোট ছোট অবদান। মাহমুদউল্লাহ ফিফটি করেন ৩৪ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে। মাহমুদউল্লাহ ঝড়ে শেষ ৫ ওভারে রান আসে ৬৪। কুমিল্লার পক্ষে ২ উইকেট নেন তানভীর। একটি করে উইকেট নেন মোস্তাফি, শহীদুল, করিম জানাত।
বিশাল টার্গেটের পেছনে ছুটতে গিয়ে কুমিল্লা শুরুতেই লিটন দাস ও ডু প্লেসিকে হারিয়ে হোচট খায়। লিটন কোনো রান না করেই রুবেলের বলে উইকেটের পেছনে ইমরান-উজ্জামানের হাতে এবং ডু-প্লেসি ৮ রানে রান আউট হন। এই দুই ব্যাটসম্যানই আগের ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ঝড় তুলেছিলেন। ইনফর্ম দুই ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে কুমিল্লা যে ধাক্কা খায় তা কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় ও দলপতি ইমরুল কায়েস। দুজনে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৭০ রান যোগ করেন ৭.৩ ওভারে। কিন্তু ৩ রানের ব্যবধানে প্রথম ইমরুল কায়েস (২৩ বলে ২৮) ও মাহমুদুল হাসান জয় (৩০ বলে ৪৬) আউট হলে আবার বিপদে পড়ে কুমিল্লা। ভরসার জায়গা ছিল ক্যামরুন ডেলপোর্ট। কিন্তু দলীয় ২ রান যোগ হওয়ার ডেলপোর্টও (৩) আউট হয়ে গেলে কুমিল্লার সব আশা শেষ হয়ে যায়। এরপর বাকিরা শুধু আসা-যাওয়া করলে কুমিল্লা ১৭.৩ ওভারে ১৩১ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ সেরা হন মাহমুদউল্লাহ ।
এমপি/এসআইএইচ
