টি-২০ বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ শান্তর
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ছবি: সংগৃহীত
স্বপ্নের ফানুস উড়িয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে ছিল বিস্তর ফারাক। সামনে আসছে আরেকটি বৈশ্বিক ইভেন্ট। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত স্পষ্ট করে বলে দিলেন, বিশ্বকাপ নিয়ে সেভাবে প্রত্যাশা না করতে!
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) গুলশানে একটি অনুষ্ঠানে আসন্ন বিশ্বকাপ নিয়ে বেশি প্রত্যাশা না রাখার অনুরোধ করেন তিনি।
সমর্থকদের প্রতি অনুরোধ করে জাতীয় দলের অধিনায়ক বলেন, প্রতি বছর দেখি, বিশ্বকাপের আগে এগুলো নিয়ে অনেক কথা হয়। প্রত্যাশা থাকে এটা করব, সেটা করব। আমার একটা অনুরোধ থাকবে আপনাদের কাছে। এই প্রত্যাশা খুব একটা করার দরকার নেই। এই প্রত্যাশা সবার মনের মধ্যে থাক। আপনারা জানেন বাংলাদেশ দল কী চায়, আমরা খেলোয়াড়রাও জানি বাংলাদেশকে কতদূর নিয়ে যেতে চায়।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শতভাগের চেয়েও বেশি উজাড় করে দেয় বলে জানান শান্ত। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে দলটা খেলবে তারা ১২০ ভাগ দিবে প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য। এই নিশ্চয়তা দিতে পারি। প্রতিটি ম্যাচ জেতার জন্য খেলবে। প্রতিটি ম্যাচ আমরা যখন খেলি, তখন অনেক আশা নিয়েই খেলি। এবার বেশ প্রত্যাশা করছি, আমার অনুরোধ থাকবে এই বিষয় নিয়ে আমরা যেন মাতামাতি না করি।
প্রত্যাশা করতে মানা করলেও নিজেদের টি-টোয়েন্টি পারফরম্যান্সে বেশ খুশি শান্ত। ঘরে মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সর্বশেষ সিরিজ হারে বাংলাদেশ। তবে তার আগের বছর ইংল্যান্ড, আফগানিস্তানের বিপক্ষে আছে জয়। সেদিক থেকে দলকে বেশ ভালো অবস্থায় দেখছেন তিনি। আগামী মাসের শুরুতে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ খেলবেন তারা।
এই সিরিজ বেশ ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন শান্ত, আমরা যদি সবশেষ ৬-৭টা সিরিজ দেখি, এই দলটা বেশিরভাগ সিরিজ জিতেছে। যেটা বললাম, দলটা ভালো অবস্থায় আছে। অবশ্যই ভালো উইকেটে খেলার ইচ্ছা আছে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আমরা যে সিরিজটা খেললাম, এই ধরনের উইকেট প্রত্যাশা করছি। তারপরেও চেষ্টা করব, যুক্তরাষ্ট্রে আমরা যখন খেলব, যে ধরনের উইকেটে খেলব, সেই ধরনের উইকেটে খেলা যায় কি না। আমার মনে হয় না, এটা খুব একটা সহজ হবে। তবে ভালো উইকেটই প্রত্যাশা করছি। আর এই সিরিজটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই সিরিজটা যদি আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারি, আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেতে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক ভালো কিছু হবে।
টি-টোয়েন্টিতে এক সময় ভোগান্তি বেশি হলেও সাম্প্রতিক সময়ে দিন বদলের আভাস মিলছে। এর পেছনে দল হিসেবে খেলার কথা জানান শান্ত, (টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার ক্ষেত্রে পরিবর্তনটা কোথায়) আমার মনে হয়, প্রথমত আমরা দল হিসেবে খেলছি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এবং আমাদের দলে কোনো বিশেষজ্ঞ কোনো ক্রিকেটার নেই। আমরা যখনই দল হিসেবে খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা বেশি জিতি। আর ওভারল যদি বলি, পেস বিভাগ অনেক উন্নতি করেছে। পাশাপাশি স্পিন ও ব্যাটিংটাও আছে। মূল যে বিষয়টা আমার মনে হয়, দল হিসেবে আমরা যখন খেলি, সবার অবদান যখন থাকে, তখনই আমরা ম্যাচ জিতি।