রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৭ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতল টাইগাররা

ছবি: সংগৃহীত

সাফল্যের স্বর্ণ মুকুটে আরো একটা পালক যোগ করলো বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে লিখলো আরো একটা রূপকথা। নিজেদের ইতিহাসে দ্বিতীয় বারের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতলো টাইগাররা।

প্রথম দুই ম্যাচে লড়াই হয়েছিল সেয়ানে সেয়ানে, ছিল ১-১ সমতা। ফলে আজকের ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অলিখিত ফাইনালে। যেখানে লঙ্কানদের ৪ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশ। লঙ্কানদের দেয়া ২৩৬ রানের লক্ষ্য ৪২.২ ওভারেই পাড়ি দিয়েছে টাইগাররা।

৩৬.১ ওভারে ১৭৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পর খানিকটা দোদুল্যমান ছিল ম্যাচের ভাগ্য। তখনো জয়ের জন্য প্রয়োজন ৫৮ রান, আর মাঠে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান বলতে কেবল তখন মুশফিকুর রহিম। এমতাবস্থায় দর্শক মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, জিতিয়ে আনতে পারবেন তো মুশফিক?

মুশফিকের হয়ে সেই প্রশ্নের উত্তরটা যেন দিলেন রিশাদ হোসেন। একের পর এক ছক্কায় সেই মুশফিককে দর্শক বানিয়ে দলকে জিতিয়ে আনলেন তিনিই। বোলার পরিচয় ভুলে বনে গেলেন পুরোদস্তর ব্যাটার। ৫৮ রানের সমীকরণে তার ব্যাট থেকেই আসলো ৪৮! তবুও মাত্র ১৮ বলে।

অন্য ব্যাটাররা যখন হাসারাঙ্গাকে দেখেশুনে খেলে ওভার শেষ করায় মন, তখন সেই হাসারাঙ্গার নাকের পানি চোখের পানি এক করলেন রিশাদ। তার ১১ বল থেকেই নেন ৪০ রান। যেখানে ছিল চার ছক্কা আর ৪টি বাউন্ডারির মার।

রিশাদ জয় নিশ্চিত করলেও ভিতটা গড়ে দেন তানজিদ তামিম। লক্ষ্যটা মাত্র ২৩৬ রানের হলেও আবহাওয়া বিবেচনায় বেশ কঠিন ছিল। তবে তার ব্যাট যেন ধার ধারেনি ওসব কিছুর। অন্যপ্রান্ত থেকে আসা-যাওয়া লেগে থাকলেও তিনি ছিলেন নিজের মতোই। খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ইনিংস।।

ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটাকে শতকে রূপ দিতে পারেননি তানজিদ তামিম। অনেকটা কাছে গিয়েও ফিরতে হয় আক্ষেপ নিয়ে। তামিমের চোখ ধাঁধানো ইনিংসটা শেষ হয়েছে ৮১ বলে ৮৪ রানে। হাসারাঙ্গার বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে আসালাঙ্কাকে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি।

অথচ আজ একাদশেই ছিলেন না তানজিদ তামিম। সৌম্য সরকারের চোটে কনকাশন সাব হিসেবে নেমে সুযোগের সদ্ব্যবহারটাই করলেন তিনি। প্রথমে এনামুল হক বিজয়কে নিয়ে গড়েন ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৮.২ ওভারে বিজয় ২২ বলে ১২ রানে ফিরেন বিজয়।

এরপর নাজমুল হোসেন শান্তও ফেরেন দ্রুত। আউট হন ৫ বলে ১ রানে। এই দুজনকেও ফেরান লাহিরু কুমারা।

দ্রুত দুই উইকেট হারালেও দলকে চাপে পড়তে দেননি তামিম। রানের গতি ধরে রাখেন তিনি। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি। হৃদয়ের সাথে বেশ জমে উঠে তার জুটি। যদিও তা বড় হয়নি, এই যুগলবন্দী থামে ৪৯ রানে।

পাঁচে এসে ৫ বলও খেলতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। ফেরেন ৪ বলে ১ রান করে। এরপর মুশফিককে সাথে নিয়ে যোগ করেন আরো ১৭ রান। তবে এবার তামিম নিজেই ফেরেন জুটি ভেঙে। ২৫.৫ ওভারে ১৩০ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সেখান থেকে মেহেদী মিরাজকে নিয়ে ৪৮ রান যোগ করেন মুশফিক। তবে মিরাজ ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি, হাসারাঙ্গার বলে আউট হন ৪০ বলে ২৫ করে৷ তবে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। দলকে জেতান ৩৬ বলে ৩৭* করে।

এর আগে বল হাতে শ্রীলঙ্কাকে শুরু থেকেই চেপে ধরে বাংলাদেশ। যার শুরুটা করেছিলেন তাসকিন। নিজের প্রথম দুই ওভারেই তুলে নেন দুই উইকেট। আগের ইনিংসে দুর্দান্ত শতক হাঁকানো পাথুম নিশানকে দিয়ে যার শুরু, পরে ফেরান আভিস্কা ফার্নান্দোকেও।

দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কার জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন নিশানকা। খেলেন ১১৪ রানের ইনিংস। তবে এদিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান তাসকিন। এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে নিশানকা আউট হন ৮ বলে ১ রান করে।

আরেক ওপেনার আভিষ্কাকে ফেরান নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এসে উইকেটের পেছনে মুশফিকুর রহিমের ক্যাচ বানান ৬ বলে ৪ রান তুলতেই। ৪ ওভারে ১৫ রানে ২ উইকেট হারায় তারা।

এরপর দৃশ্যপটে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজের প্রথম ওভারেই সাদিরা সামারাবিক্রমাকে ফেরান তিনি। সাদিরা আউট হন ১৫ বলে ১৪ রান করে মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে।

তাসকিন-মোস্তাফিজের পর আঘাত আনেন রিশাদ হোসেন। দলে সুযোগ পেয়ে জানান দিচ্ছেন নিজের সামর্থ্যের। ভয়ংকর হয়ে উঠার আগেই ফেরান কুশল মেন্ডিসকে। লঙ্কান অধিনায়ক আউট হন ৫১ বলে ২৯ রানে

পরের উইকেটটাও যায় মোস্তাফিজের ঝুলিতে৷ এবার ফেরান ৪৬ বলে ৩৭ রান করা আসালাঙ্কাকে৷ তাতে ২৫ ওভারে ১২৫ রানে ৫ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। সেখান থেকে এখন দলকে টানেন জেনিথ লিয়ানগে। দুনিথ ভেল্লালেগে (১) বা ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার (১১) কেউ পারেননি লিয়ানগেকে সঙ্গ দিতে৷

দু'জনকেই থিতু হবার আগে ফেরান মেহেদী মিরাজ। পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে লঙ্কান ব্যাটিং অর্ডারের লেঁজ বের করে আনেন তিনি। ৩৪.১ ওভারে ১৫৪ রানে ৭ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।

তবে লিয়ানগেকে থামানো যায়নি। থিকসানাকে সাথে নিয়ে দুই শ’ পার করেন দলের সংগ্রহ। গড়ে তুলেন পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের জুটি। নিজেও পেয়ে যান ফিফটির দেখা। যা শেষ পর্যন্ত রূপ দেন শতকে। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ১০২ বলে ১০১ রানে।

৭৮ বলে ৬০ রান তুলে ভাঙে এই জুটি। থিকসানাকে ১৫ রানে ফেরান সৌম্য। শেষ ওভারে এসে তাসকিন ফেরান মাদুশানকে। আর লাহিরু কুমারা হন রান আউট৷ তাসকিন ৩ ও ২টি করে উইকেট নেন মোস্তাফিজুর রহমান আর মেহেদী মিরাজ।

Header Ad
Header Ad

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক। ছবিঃ সংগৃহীত

সাবেক আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকের ৩ ব্যাংকে মোট ১৬টি ব্যাংক হিসাবের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব হিসাবগুলোতে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। যা ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুদক সূত্রে জানা যায়।

আনিসুল হকের হিসাবগুলোর মধ্যে ব্র্যাক ব্যাংক বনানী শাখার ৬টি হিসাবের মধ্যে ফিক্সড ডিপোজিট হিসেবে ৫ কোটি টাকা এবং অন্য এক হিসাবে এসসি গোল্ডেন বেনিফিটস নামে ৫০ লাখ ৮১ হাজার টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। এছাড়া, সিটিজেন ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংকের ৯টি হিসাব থেকে মোট ১৫ কোটি ১১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, অনুসন্ধান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে নথিপত্র সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অনুসন্ধান টিম প্রতিবেদন দাখিল করলে কমিশন আইন অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবে।

এ বিষয়ে দুদকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, শত শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও পাচারের অভিযোগ থাকলেও দুদক দালিলিক প্রমাণ ছাড়া আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে না। আমাদের তথ্য ও সংগ্রহ এবং যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান রয়েছে। যা অংশ হিসাবে তিন ব্যাংকে প্রায় ২১ কোটি টাকা জমা থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং ফ্রিজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওই টাকা তার আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ বলেই আপাতত মনে হয়েছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে বিস্তারিত বলা যাবে।

আনিসুল হক ও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে গত ৭ অক্টোবর থেকে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। যার মধ্যে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী অ্যাডভোকেট তৌফিকা করিমের বিরুদ্ধে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া অপর এক সহযোগী ফারহানা ফেরদৌস নামে অপর এক নারীর বিরুদ্ধে আসা পৃথক আর একটি অভিযোগও আমলে নিয়ে অনুসন্ধান করছে দুদকের অনুসন্ধান টিম।

Header Ad
Header Ad

নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা

হুমায়ুনের মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক। ছবি: সংগৃহীত

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে নরসিংদীর মেহেরপাড়ায় এক ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) দিনগত রাত ১২টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনা মেহেরপাড়া বাড়ি আগিণার খেলার মাঠ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।

নিহত হুমায়ুন কবির (২৬) মেহেরপাড়া ইউনিয়নের নাগরারহাট এলাকার একরামুল হকের ছেলে। তিনি মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, আধিপত্য বিস্তার ও জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একই এলাকার বাদল মিয়া, শাহআলম ও আতাউর মেম্বারের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল হুমায়ুন কবিরের। দ্বন্দ্বের জেরে ইতোমধ্যে দুই পক্ষ একাধিক মামলা করেছে। গতকাল শনিবার দিনগত রাতে নিহত হুমায়ুন বাড়ির পাশের আঙ্গিনায় ব্যাডমিন্টন খেলছিল। রাত ১২টার দিকে দুটি মোটরসাইকেল যোগে শাহ আলম ও টিপুসহ চারজন হুমায়ুনের বাড়ির সামনে আসে। ওই সময় তারা হুমায়ুনকে ব্যাডমিন্টন খেলা থেকে ডেকে পাঁচদোনা বাজার মাছের আড়ৎ মসজিদের দিকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে সন্ত্রাসীরা তার বুকে, পিঠে ও ঘারে পরপর তিনটি গুলি করে। এ সময় সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। গুলির শব্দ শুনে খেলার মাঠ থেকে লোকজন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা মটোরসাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় হুমায়ুনকে হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, হুমায়ুন হত্যার বিচার দাবিতে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন এলাকাবাসী।

নিহত হুমায়ুনের বন্ধু ও মেহেরপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক সুজন ভূইয়া বলেন, ‘স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা ছিল নিহত হুমায়ুনের। তার নেতৃত্বেই পাঁচদোনা মেহেরপাড়া ও মাধবদী আন্দোলন হয়েছিল। এসব ঘটনা নিয়ে সে এলাকার অনেকের রোষানলে পড়ে। এসবের জেরে তার বাড়ি ঘরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে থাকে। ৫ তারিখের পর এলাকায় আসে। এর মধ্যেই গতকাল তাকে বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হলো।’

নিহতের বড় ভাই আল মামুন বলেন, ‘আমাদের ১৭ শতাংশ একটি জমি দখল করে নেয় বাদল মিয়ারা। পরে মামলার রায় পাওয়ার পর আমরা জমিটি দখলে নিই। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব তীব্র হয়। এরই জের ধরে তারা আমার ভাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। এ ছাড়া স্বৈরাচার পতন আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এসব নিয়ে অনেকে তাকে দমানোর চেষ্টা করছিল।’

মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ব্যাডমিন্টন খেলা শেষে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জেরেই তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার প্রকৃত কারণ উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে পুলিশ।’

Header Ad
Header Ad

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারির বিষয়ে নিশ্চিত নয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। নোটিশ জারি হলে তা পুলিশের এনসিবি শাখা জানাবে বলে জানান তাজুল ইসলাম। 

রবিবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এদিকে শেখ হাসিনাকে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তির মাধ্যমে ভারত থেকে দেশে ফেরাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে রেখেছেন চিফ প্রসিকিউটর। সে বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অগ্রগতি জানানো হয়নি।

শুধু শেখ হাসিনাই নয়, দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান খান কামাল, হাসান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারির পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে প্রসিকিউশন।

গত ১০ নভেম্বর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল গণমাধ্যমকে জানান, হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় অভিযুক্ত পলাতক সকল আসামিকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কারকাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, পলাতক ফ্যাসিস্ট চক্র পৃথিবীর যে দেশেই থাকুক, ইন্টারপোলের মাধ্যমে তাদের ধরে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে গত ১০ নভেম্বর ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।

১২ নভেম্বর ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা, গুমসহ অন্যান্য মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এবং মামলার আসামি। তবে তিনি পালিয়ে গেছেন এবং বর্তমানে দেশের সীমানার বাইরে অবস্থান করছেন।

এরকম একজন অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বা তার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট নোটিশ জারি করতে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে ইন্টারপোলকে চিঠি দেয়া হয়েছে।'

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, চিঠিতে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানানোর পাশাপাশি ইন্টারপোলকে গ্রেপ্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত করার বাধ্যবাধকতার কথা জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আনিসুল হকের তিন ব্যাংকে ২১ কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছে দুদক
নরসিংদীতে ছাত্রদল কর্মীকে গুলি করে হত্যা
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিষয়ে নিশ্চিত নয় ট্রাইব্যুনাল
ভারতের কাছে হেরে বাংলাদেশের স্বপ্নভঙ্গ
এক দশক পর ফিরলো ‘আমার দেশ’ পত্রিকা
৩০০ মিলিয়ন ডলার পাচার: হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু দুদকের
ইয়েমেনে হুথিদের লক্ষ্যবস্তুতে মার্কিন বিমান হামলা
লোকসানের মিথ্যা গল্প শোনাচ্ছে ব্রিডার ফার্মগুলো
একজন ঢাকা অন্যজন কলকাতায় সংসার ভাঙছে মিথিলার
আইনজীবী আলিফ হত্যা: তদন্ত কমিটির সব সদস্যের পদত্যাগ
যে কোন সময় বাংলাদেশের পাশে নতুন দেশ
গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রীর মৃত্যু
বাংলাদেশে ইসলামি চরমপন্থা আসবে না: ড. ইউনূস
  সংকট কাটছে, মেট্রোর যাত্রীদের সুখবর দিল ডিএমটিসিএল
ভারতের বিপক্ষে ১১৮ রান করলেই এশিয়া কাপ ঘরে ‍তুলবে বাংলাদেশ
বিরামপুরে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ
টাঙ্গাইলে আ.লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আলীম আটক
শেখ হাসিনা নিজ হাতে তার বাবাকে দ্বিতীয়বার হত্যা করেছে: গয়েশ্বর
চুয়াডাঙ্গায় অবৈধ যানবাহন বন্ধ না হলে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা
জুমার দিনে ফিলিস্তিনের মসজিদে আগুন দিল ইসরায়েলিরা