সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের লক্ষ্য ২৩৬ রান
ছবি সংগৃহিত
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকেই শ্রীলঙ্কাকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের বোলারা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখে বাংলাদেশ। একসময় মনে হচ্ছিল ২০০ করতে পারবে না লঙ্কানরা। সহজ লক্ষ্য পাবে বাংলাদেশ। তবে জানিথ লিয়ানাগে আর মাহেশ থিকশানা জুটিতে ভর করে ২৩৫ রানে থেমে শ্রীলঙ্কা। লিয়ানাগে তুলে নিয়েছেন নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরি।
সোমবার (১৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে কুশাল মেন্ডিসের দল। ১৫৪ রানেই হারিয়ে ফেলে ৭ উইকেট। তবে অষ্টম উইকেটে লিয়ানাগে-থিকশানা গড়েন ৬৮ রানের জুটি। যেটি শ্রীলঙ্কা ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি।
এই জুটি ভাঙেন পার্টটাইম বোলার সৌম্য সরকার। চোটে পড়ে মোস্তাফিজ মাঠ ছাড়লে বল করতে আসেন সৌম্য। এসেই ওই ওভারের প্রথম বলেই ব্রেকথ্রু এনে দেন সৌম্য। তার বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ হয়ে ফেরেন থিকশানা। অপরদিকে ম্যাচ ধরে রেখে ঠিকই সেঞ্চুরি তুলে নেন তরুণ লিয়ানাগে। শেষ পর্যন্ত ২৩৫ রানে অলআউট হয় লঙ্কানরা। লিয়ানাগে অপরাজিত থাকেন ১০১ রানে। ইনিংসের শেষ বলে রান আউট হয়ে ফেরেন লাহিরু কুমারা।
এর আগে, লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ের শুরুটা তাসকিনের হাত ধরে। পরপর দুই ওভারে দুই ওপেনার নিশাঙ্কা ও আভিস্কাকে ফেরান এই পেসার। এতে দলীয় ১৫ রানেই হারায় দুই ব্যাটারকে। এর শ্রীলঙ্কার ইনিংসে আঘাত হানেন আগের দুই ম্যাচ সুযোগ না পাওয়া মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজফরে ফেরেন সাদিরা সামারাবিক্রমা।
৪১ রানে তিন উইকেট হারানো লঙ্কানরা অধিনায়ক মেন্ডিস ও আসালাঙ্কার ব্যাটে ঘুুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে। তবে ক্যাপ্টেন শান্তর বোলিং পরিবর্তনের আস্থার প্রতিদান দেন রিশাদ হোসেন। বোলিংয়ে এসে প্রথম বলেই ফেরান ২৯ রান করা অধিনায়ক মেন্ডিসকে। তিনিও মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন। ৭৪ রানেই ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ।
এরপর জানিথ লিয়ানাগের সাথে জুটি গড়েন আসালাঙ্কা। ৪৩ রানের এই জুটিও ভাঙেন পেসার মোস্তাফিজ। তার দ্বিতীয় শিকার হন আসালাঙ্কা। ফেরার আগে তিনি খেলেন ৩৭ রানের ইনিংস। ১১৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার পরের উইকেট হারায় ১৩৬ রানে। ১৫৪ রানেই হারায় সপ্তম উইকেট। শেষের দুই উইকেট ভেল্লালাগে ও হাসারাঙ্গাকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন তিন উইকেট শিকার করেছেন। মোস্তাফিজ ও মিরাজ দুইটি করে শিকার করেছেন। আর রিশাদ ও সৌম্য নিয়েছেন একটি করে।