বেটিং সাইটে বিনিয়োগে সাকিবের বোনের নাম, যা জানাল বিসিবি
ছবি: সংগৃহীত
বেটিং সাইটের সঙ্গে জড়িয়ে বেশ কয়েকবারই বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন দেশের ক্রিকেটের অন্যতম পোস্টারবয় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার উঠে এলো তার বোনের নাম।
ভারতের একটি বেটিং অ্যাপ কেলেঙ্কারির তদন্তে এ তথ্য উঠে এসেছে ।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে ও আজ তাক-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে- বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ছোট বোন জান্নাতুল হাসান ‘11wicket.com’ নামে একটি অনলাইন বেটিং (অনলাইনে বাজি ধরা) অ্যাপে বিনিয়োগ করেছেন।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলেন, আজকে সকালেই খবরটি দেখলাম। এখনই আমরা এটি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না। সাকিবের সঙ্গে এ প্রসঙ্গে কোনো কথা হয়নি বলেও জানান সিইও।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, এ বিষয়ে আমার কোনো ধারণা নেই।
কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) প্রধান ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমরা ক্রিকেটার সাকিবের বোন বা এ সংক্রান্ত বেটিং অ্যাপ নিয়ে কাজ করছি না।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশিদ জানান, তাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনো তথ্য নেই।
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে মহাদেব বেটিং অ্যাপ নামক একটি অনলাইন গেমিং প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিপুল আর্থিক দুর্নীতির খোঁজ পায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই ঘটনার তদন্তে ভারতের অনেক রথী-মহারথীর নাম উঠে আসে।
শুক্রবার রাতে ইন্ডিয়া টুডের অনলাইনে এবং ‘আজ তাক’–এর অনলাইনে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- মহাদেব বেটিং অ্যাপ তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ব্যবসায়ী গিরিশ তালরেজা ও সুরুজ চোখানিকে।
তদন্তকারী সংস্থা ইডি সূত্র জানিয়েছে, সুরুজ চোখানি কাঠমান্ডুতে একটি ক্যাসিনোয় ৪০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এর পাশাপাশি তিনি বাংলাদেশে 11wicket.com নামের একটি বেটিং অ্যাপে বিনিয়োগ করেন। এতে তার অংশীদার ছিলেন বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বোন জান্নাতুল হাসান।
ইডি জানায়, মহাদেব অ্যাপ একটি হাইপ্রোফাইল কেলেংকারি, যা একটি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন গেম যেমন- পোকার, তাস গেম, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, ফুটবল এবং ক্রিকেটের ওপর এই অ্যাপে অবৈধ জুয়া খেলা হয়। এই প্ল্যাটফর্মটি নতুন ব্যবহারকারীদের নথিভুক্ত করতে, আইডি তৈরি করতে এবং বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের একটি অবৈধ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অর্থপাচার করতে ব্যবহার করা হয়। মহাদেব অ্যাপ দৈনিক ২০০ কোটি রুপি আয় করেছে বলে জানা গেছে।