কুমিল্লাকে হারিয়ে প্লে-অফে বরিশাল, খুলনার বিদায়
ছবি: সংগৃহীত
তামিমের দৃঢ় ব্যাটিংয়ে কুমিল্লাকে হারিয়ে প্লে-অফ নিশ্চিত করল বরিশাল। এদিকে, আজকের ম্যাচের ফলাফলের সাথে ঝুলে থাকা খুলনা টাইগার্স টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়েছে। এদিন দারুণ বোলিংয়ে কুমিল্লাকে নাগালে রেখে কাজটা সহজ করে দিয়েছিলেন তাইজুল-সাইফউদ্দিনরা।
সেখান থেকে দারুণ একটি ইনিংস খেলেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তিনি শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকতে না পারলেও দলকে জয়ের কাছে নিয়ে মাঠ ছাড়েন। কুমিল্লার ১৪০ রানের জবাবে ১৯.৪ ওভারে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল।
শুক্রবার মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় খুলনা টাইগার্স ও ফরচুন বরিশাল। এদিন টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বরিশাল অধিনায়ক তামিম। সিদ্ধান্ত যে সঠিক ছিল, তার প্রমাণ দেন তার দলের বোলাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৪০ রানে প্রতিপক্ষকে বেঁধে ফেলেন তারা। এই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৪টি উইকেট হারায় বরিশাল।
এদিন রান তাড়ায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৩ ছক্কা ও ছয় চারের মারে সাজানো ইনিংসে ৪৮ বলে ৬৬ রান করেন টাইগার এই ওপেনার। জিতলেই নিশ্চিত হবে প্লে-অফ, হারলেও টিকে থাকবে আশা-এমন সমীকরণের ম্যাচে তামিমের ব্যাটে ভর করে কুমিল্লাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে চতুর্থ দল হিসেবে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করে ফরচুন বরিশাল।
তামিম ছাড়া তার দলের বাকি কোনো ব্যাটারই বেশি ভালো করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন কাইল মায়ার্স। তার সংগ্রহ ২৫ বলে ২৫ রান। তাছাড়া, আহমেদ শেহজাদ ৭ বলে ১, মুশফিকুর রহিম ২৪ বলে ১৭ রান করে আউট হন। আর মাঠে থেকে জয় নিশ্চিত করেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। তাদের সংগ্রহ যথাক্রমে ৩ বলে ৬ ও ১১ বলে ১২ রান।
এর আগে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে জাকের আলির দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে মান বাঁচায় দলটি। অবশেষে ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৪০ রান।
এদিন মিরপুর যেন তার স্বভাবজাত ব্যবহারটাই করছিল। ব্যাটে-বলে হচ্ছিলো না ঠিকমতো। মইন আলি- আন্দ্রে রাসেলরাও পারেননি রানরেট ঊর্ধ্বমুখী করতে। শেষ দিকে জাকের আলির ১৬ বলে ৩৮* রান বলার মতো সংগ্রহ এনে দেয় কুমিল্লাকে।
ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে সুনিল নারিন হাত খোলার আগেই ফেরেন ১৮ বলে ১৬ করে। লিটন দাসও পারেননি থিতু হতে, ১২ রান আসে তার ব্যাটে। চারে নেমে মাইদুলও ফেরেন দ্রুত (১)। ৮.১ ওভারে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারায় তারা। প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তাওহীদ হৃদয়। তবে ২৬ বলে ২৫ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।
মইন আলিও চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ২৩ রানেই থামতে হয় তাকে। আন্দ্রে রাসেলও ঝড় তোলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তাইজুল বাঁধা পেরোতে পারেননি তিনিও। লিটন, মাইদুলের পর রাসেলকেও ফেরান এই স্পিনার। রাসেল করেন ১১ বলে ১৪ রান। ২ বল পরই ম্যাথু ফোর্ডও ফেরেন, ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারায় কুমিল্লা।
তবে শেষ দিকে জাকের আলি ২ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। ওবেদ ম্যাকয় ও সাইফুদ্দিন নেন জোড়া উইকেট, তিন উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।