আদালতে ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার আলভেজের

ছবি: সংগৃহীত
আদালতে তিন দিন ধরে চলা বিচার কাজে দুই দিন সাক্ষ্য দিয়েছেন ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারী, প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও বিশেষজ্ঞরা।
আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি বার্সেলোনায় নাইট ক্লাবে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন। আলভেজ আদালতে বলেছেন, তাদের মাঝে যা হয়েছে সেটা ছিল পুরোপুরি সম্মতিমূলক। বাদীর আইনজীবী তাকে প্রশ্ন করেছিলেন, জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন কিনা- আলভেজ বলেছেন, ‘আমি সেই ধরনের মানুষ নই।’
ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই নারী রাষ্ট্র পক্ষের কৌঁসুলিদের বলেছেন, তিনি আলভেজের সঙ্গে নাচছিলেন এবং স্বেচ্ছায় একটি বাথরুমে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য তিনি বের হতে চাইলেও আলভেজ তাকে সেটা করতে দেননি। তখন তাকে চড়, নির্যাতনসহ ধর্ষণ করেছেন। আলভেজ অবশ্য অস্বীকার করেছেন অভিযোগ। বরং বারবার বলেছেন, ওই নারী কখনো বাথরুম থেকে বের হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়েও কোনো ধরনের আপত্তি জানাননি তিনি। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা আলভেজের কৃতকর্মের জন্য ৯ বছরের কারাদণ্ড দাবি করেছেন। অপর পক্ষে ভুক্তভোগী নারীর আইনজীবীরা দাবি করেছেন ১২ বছর! আলভেজের আইনজীবী অবশ্য মুক্তির প্রার্থনা করেছেন। দোষী হলে এক বছরের সাজা। পাশাপাশি ভুক্তভোগীর জন্য ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব করেছেন ৫০ হাজার ইউরো।

তিন দিনের বিচার কাজ শেষ হয় বুধবার। এখন চূড়ান্ত রায়ের অপেক্ষা। সাধারণত সপ্তাহখানেক সময় লাগে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ঘটা ওই ঘটনায় স্পেনের জেলে বন্দি আছেন আলভেজ।
