বিকল্প ধারায় জীবন পেলেন রনি

চট্টগ্রাম পর্ব থেকে বিপিএলে এডিআরএস (অল্টারনেটিভ ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম) চালু করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। আর তার সদ্বব্যবহারে প্রথম জীবন পেয়েছেন খুলনা টাইগার্সের ওয়ান ডাউনে নামা ব্যাটসম্যান রনি তালুকদার। ইনিংসের তখন সপ্তম ওভারের খেলা চলছে। বোলার ছিলেন চট্টগ্রামের বাহাঁতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। তার ওভারের তৃতীয় বলে রনি তালুকদার সুইপ খেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। বল গিয়ে তার প্যাডে আঘাত করে।
নাসুমের আবেদনে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ তর্জনি তুলে দেন। সঙ্গে সঙ্গে বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে এডিআরএস নেন রনি তালুকদার। তখন টিভি রিপ্লেতে কয়েকটি অ্যাঙ্গলে দেখা যায়, বল রনির প্যাডে আঘাত করার আগে ব্যাটের কানায় লেগেছে। আম্পায়ার তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হন। জীবন পান রনি। তার রান ছিল ১৭। তবে এই জীবন পাওয়াকে কোনো কাজেই লাগাতে পারেননি তিনি। এক বল পরেই সেই নাসুমের বলেই তিনি বেনি হাওয়ের হাতে ১৭ রানেই ক্যাচ দিয়ে ফিরে আসেন। তবে আউট হলেও এডিআরএস কাজে লাগাতে পেরেছেন তিনি। একইভাবে চট্টগ্রামের ইনিংসেও খুলনার দলপতি মুশফিকুর রহিম এডিআরএস নিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সফল হতে পারেননি।
চট্টগ্রারে ইনিংসের ১৮.৪ ওভারের সময় ফরহাদ রেজার বলে নাঈম ইসলাম রিভার্স সুইপ করতে গিয়েছিলেন। ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে পারেননি। কিন্তু ফিল্ডিং সাইট থেকে কট বিহাইন্ডের জোরালো আবেদন উঠে। মুশফিকুর রহিম এডিআরএস নেন। তবে তিনি সফল হতে পারেননি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বহাল থাকে। তখন নাঈম ইসলামের রান ছিল ১৩।
এমপি/এসআইএইচ
