বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড
সিরিজ জিতল নিউজিল্যান্ড। ছবি: সংগৃহীত
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হারের পর আজ দ্বিতীয়টিতে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। নেলসনে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে সৌম্য সরকারের দুর্দান্ত এক শতকে ২৯১ রান করে অল আউট হয় টাইগাররা। আর লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে স্বাগতিকদের ওপেনার উইল ইয়াংয়ের ৮৯ এবং হেনরি নিকোলসের ৯৫ রানের ইনিংসের সুবাদে ২২ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে ফরম্যাটে টাইগারদের বিপক্ষে কিউইদের এটি টানা ১৮তম জয়। রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন দুই কিউই ওপেনার উইল ইয়ং ও রাচিন রবীন্দ্র। দুজনের ব্যাটে পাওয়ার প্লে-তে আসে ৬১ রান। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই আঘাত হানেন হাসান মাহমুদ।
হাসানের ওপর চড়াও হতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে রিশাদ হোসেনের তালুবন্দী হন রবীন্দ্র। মাত্র ৩৩ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। এরপর অবশ্য হেসেখেলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন ইয়ং ও হেনরি নিকোলস। দুজনই পান ফিফটির দেখা। ইয়ং ও নিকোলসের ব্যাটে সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকে কিউইরা। দুজনে গড়েন ১২৮ রানের জুটি। সেঞ্চুরির পথে ছিলেন ইয়ং। তবে ৮৯ রানে থাকা অবস্থায় হাসানের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
সতীর্থের পথ ধরে সেঞ্চুরির আগে আউট হন হেনরি নিকোলসও। ৯৫ রানে শরিফুল ইসলামের শিকার হন তিনি। দলকে বাকিটা পথ সহজেই এগিয়ে নেন টম লাথাম ও টম ব্লান্ডেল। ৩৬ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটিতে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দুজন। এ সময় লাথাম ৩৪ ও ব্লান্ডেল ২৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে হাসান দুটি ও শরিফুল একটি উইকেট নেন।
এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসে সাবধানী শুরু করেও নিজের স্কোর দুইয়ের বেশি টানতে পারেননি এনামুল হক বিজয়। দলীয় ১১ রানে বিজয়ের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বড় স্কোর করা হয়নি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তরও। ব্যক্তিগত ৬ রানে আউট হন টাইগার অধিনায়ক। বিপদটা আরো বাড়িয়ে যান লিটন দাস। কাভার পয়েন্টে থাকা উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেন মাত্র ৬ রান।
তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ইনিংস কিছুটা গুছিয়ে নেন সৌম্য। তবে দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে হৃদয়কে থামতে হয়। সৌম্যের শটে বলটি বোলারের পায়ে লেগে উইকেটে আঘাত হানে। নন-স্ট্রাইকে থাকা হৃদয়ের কিছুই করার ছিল না। মুশফিকুর রহিম ক্রিজে এসে সৌম্যকে অনেকটা সময় সঙ্গ দিয়েছেন। দেখেশুনে খেলে নিজের আর দলের স্কোর বাড়িয়েছেন। ৩৫তম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় ১৭১ রানে আউট হন মুশফিক।
জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গেলে এজড হয়ে উইকেটরক্ষক টম ব্লান্ডেলের হাতে ধরা পড়েন মুশফিক। ব্যক্তিগত ইনিংসে ৪৫ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি। শেষদিকে কেউই বলার মতো ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে এদিন সবাইকে ছাপিয়ে দলের হয়ে একাই লড়েছেন সৌম্য সরকার। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে খেলেছেন ১৬৯ রানের অনবদ্য এক ইনিংস।
একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলা সৌম্যের এই ইনিংস বাংলাদেশিদের মধ্যে ওয়ানডেতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। কিউই বোলার উইল ও’রর্ক ও জ্যাকব ডাফি ৩টি, মিলনে, জোশ ক্লার্কসন ও আদি অশোক একটি করে উইকেট লাভ করেন।