সৌম্যর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯১
সৌম্য সরকার। ছবি: সংগৃহীত
সৌম্য সরকারের অনবদ্য ইনিংসে নিউজিল্যান্ডকে ২৯১ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। ফর্মে ফেরার দিন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিও তুলে নিলেন সৌম্য, প্রায় পাঁচ বছর পর। চোখ ধাঁধানো ঝোড়ো ইনিংসের সঙ্গে আরও কয়েকটি রেকর্ড। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশী কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সবমিলিয়ে ওয়ানডেতে দেশের ইতিহাসের দ্বিতীয় সেরা ইনিংসের মালিক এখন তিনি।
বুধবার নেলসনে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে কিউই পেসারদের দাপটে দলের ব্যাটাররা যেখানে উইকেট বিলিয়ে আসছিলেন, সৌম্য সেখানে খেললেন ঝলমলে এক ইনিংস। ১৫১ বলে ২২ চার ও দুই ছক্কায় করলেন ১৬৯ রান!
দেশের ক্রিকেটে ওয়ানডে ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। একটুর জন্য লিটন দাসকে (১৭৬) ছাড়াতে পারলেন না সৌম্য। তবে এরই মধ্যে হয়েছে আরেক বিরল রেকর্ড। যাতে পেছনে পড়ল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক রেকর্ডও। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সৌম্য সরকারের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
এর আগে টসে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় নিউজিল্যান্ড। পঞ্চম ওভারেই প্রথম আঘাত হানেন অ্যাডাম মিলনে। তার বলে লাথামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২ রান করা বিজয়, দলের রান তখন ১১। ৮ম ওভারে শান্তকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। ৬ রান করে শান্ত ফিরেন নিকোলসের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর জ্যাকব ডাফির অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দেন লিটন। ফেরার আগে মাত্র ৬ রান করে যান তিনি। দুর্ভাগ্যের শিকার তাওহিদ হৃদয়ও। ব্যক্তিগত ১২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
৪ উইকেট হারিয়ে দল যখন বিপদে তখন সৌম্যের সঙ্গে হাল ধরেন মুশফিক। জুটির পঞ্চাশ গড়ে দুজনেই এগিয়ে যাচ্ছেলিন সেঞ্চুরি জুটি গড়তে। কিন্তু দলীয় ১৭১ রানে মুশফিকের আউটে ভেঙে যায় সৌম্যের সঙ্গে তার ৯১ রানের জুটি। জ্যাকব ডাফির বলে টম ব্লান্ডেলের গ্লাভসে জমা হওয়ার আগে ৫৭ বলে পাঁচ চারে ৪৫ রান করেন মুশফিক।
মুশফিক ফিরলেও দুর্দান্ত ভূমিকা রেখেছেন সৌম্য। তিন তিনবার জীবন পেয়ে তুলে নেন ওয়ানডেতে নিজের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ইনিংসের শেষের দিকে আরও মারমুখী হয়ে রানের গতি বাড়িয়েছেন। দারুণ ব্যাটিং করা সৌম্যর পার করেছেন ১৫০ রানও। ১৬৯ রানে সৌম্য বিদায় নিলে শেষদিকে রান বাড়াতে পারেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ থেমেছে ২৯১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০০ রান করতে না পারার আক্ষেপটাই হয়ত বড় হতে পাড়ে চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যদের জন্য। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন ডাফি ও ওরুকি।