মোদিকে নিয়ে যা বললেন মোহাম্মদ শামি
ছবি: সংগৃহীত
ভারতের জন্য এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা ছিল অন্যরকম। টানা জয়ে দারুণ ছন্দে ছিল দলের ক্রিকেটাররা। কিন্তু শেষমেশ যেন তীরে এসে নৌকা ডুবি। ঘরের মাঠে ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে যায় ভারত ।
গত ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম বিশ্বকাপ ফাইনালে হারের পর হতাশ ভারতীয় খেলোয়াড়দের সান্ত্বনা দিতে ড্রেসিংরুমে ছুটে গিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানে গিয়ে রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের সঙ্গে কথা বলেন মোদি। পেসার মোহাম্মদ শামির সঙ্গে ১০ সেকেন্ড সময় কাটান তিনি। নাম ধরে ডেকে শামিকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। ডানহাত দিয়ে শামির মাথা নিজের বুকে চেপে ধরে বাঁহাতে তাঁর পিঠ চাপড়াতে থাকেন।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভিন্ন রকম আলোচনাই আছে। অনেকেই বলছেন, আগামী নির্বাচনে মুসলমানদের ভোট টানতেই শামির প্রতি বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। শামিকে অবশ্য এই আলোচনা স্পর্শ করেনি। সংবাদমাধ্যমে শামি এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মোদিকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী সেমিফাইনালের পরও শামির নাম উল্লেখ করে টুইট করেন। সেই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠে ভারত। সেমিফাইনালে ভারতের জয়ে বড় অবদান ছিল পেসার শামির। ভারতের জয়ের পর দলকে অভিনন্দন জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
নরেন্দ্র মোদি এক্স (টুইটার) পোস্টে লেখেন, ‘ব্যক্তিগত কিছু পারফরম্যান্সের কারণে আজকের সেমিফাইনাল আরও বেশি বিশেষ হয়ে উঠেছে। এই ম্যাচ ও এবার বিশ্বকাপে মোহাম্মদ শামির বোলিং কয়েক প্রজন্ম ধরে ক্রিকেটপ্রেমীরা মনে রাখবে। অনেক ভালো খেলেছে শামি।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই শতক করেছিলেন কোহলি ও শ্রেয়াস আইয়ার। তবে মোদি শুধু তাঁর টুইটে শামির নাম উল্লেখ করেন।
ড্রেসিংরুমে মোদির যাওয়া নিয়ে শামি বলছেন, ‘এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফাইনালে হারের পর যদি প্রধানমন্ত্রী আপনাকে উৎসাহ দেয়, তাতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ে। কারণ, হারের পর আপনার মনোবল এমনিতেই তলানিতে থাকে। এটা সত্যিই অন্য রকম।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে ভারতের আত্মসমর্পণ নিয়ে শামি বলছেন, ‘সব মিলিয়ে আমরা দারুণ খেলেছি। সামর্থ্য ও আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি ছিল না। দল হিসেবে একটা খারাপ দিন আসতেই পারে। সেটা আসতে পারে যেকোনো সময়; আর দিনটি আমাদের ছিল না।’
এবারের বিশ্বকাপে শামি ছিলেন দুর্দান্ত। লিখেছেন প্রত্যাবর্তনের গল্প। ৭ ম্যাচ খেলেই হয়েছেন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক। নিয়েছেন ২৪ উইকেট।