অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ
ছবি:সংগৃহীত
ফুটবল বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের দ্বিতীয় রাউন্ডে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছে চরম হতাশাজনক। মেলবোর্নের অ্যামি পার্কে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। ম্যাচের প্রথমার্ধে অস্ট্রেলিয়ান সকারুজরা ৪-০ গোলে এগিয়ে ছিল।
পুরো ম্যাচের মধ্যে বাংলাদেশের একটাই প্রাপ্তি। ৮৮ মিনিটে গোলরক্ষক মিতুল মারমা একটি পেনাল্টি সেভ করেছেন। বাংলাদেশি ডিফেন্ডার শাকিল অজি ফরোয়ার্ডকে পেছন থেকে টেনে ধরার চেষ্টা করেন। পরে সেখানে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। মিতুল মারমা অজিদের নেওয়া পেনাল্টি দারুণ দক্ষতার সঙ্গে প্রতিহত করেন। একইসঙ্গে ফিরতি শট নেওয়ারও সুযোগ দেননি তিনি।
মিতুল মারমার এই পারফরম্যান্স ছাড়া পুরো ম্যাচজুড়ে বাংলাদেশের জন্য আশা জাগানিয়া কিছু ছিল না। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ভালো ফুটবল খেলছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ান পর্ব আর বিশ্বকাপ খেলা দলের মধ্যে যে রাত-দিন পার্থক্য তা আবারও হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা।
বল পজেশন ও আক্রমণ সব কিছুতেই পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ পুরো ম্যাচ জুড়েই নিজেদের অর্ধেই সময় কাটিয়েছে। ফরোয়ার্ড রাকিব হোসেন দুয়েকবার অস্ট্রেলিয়ার বক্সের সামনে গেলেও তেমন কিছু করতে পারেননি। বাংলাদেশ নিজেদের অর্ধে থাকায় অস্ট্রেলিয়ান গোলরক্ষক অনেক সময় বক্স থেকে বেরিয়ে এসে পাসও খেলেছেন।
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া নিয়মিত বিরতিতে গোল করেছে। চার মিনিটে হ্যারি সৌত্তর গোলের সূচনা করেন। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বোরেলো। এছাড়া বিরতির আগে জোড়া গোল করেন মিচেল ডিউক। দ্বিতীয়ার্ধের গল্পটা ম্যাকলারেনের। ৪৮,৭০ ও ৮৪ মিনিটে গোল করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা খেলোয়াড় বদল করেছিলেন। শাকিল, মোরসালিনদের মাঠে নামালেও ম্যাচের চিত্র বদলাতে পারেননি। সবাই অজিদের সামনে খাবি খেয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার র্যাংকিং ২৭ এবং কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে নক আউট থেকে বিদায় নিয়েছে। এই দু’টি তথ্যই যথেষ্ট বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার ব্যবধান পার্থক্য নিরুপণে। এরপরও ৭ গোলের ব্যবধানে হারটা একটু বেশিই হয়েছে বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে। ২০১৫ সালে পার্থে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ ০-৫ গোলে হেরেছিল। আট বছর পুনরায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে বাংলাদেশ অ্যাওয়ে ম্যাচে হারল বড় ব্যবধানে।