নতুন শুরুর আশা নিয়ে মুম্বাইয়ের তাজ প্যালেস হোটেলে বাংলাদেশ দল
পেছনের বিষন্নতা ঝেড়ে ফেলে কক্ষপথে ফেরার লক্ষ্যে এবার মুম্বাইয়ে বাংলাদেশ দল, সামনের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা।পুনে থেকে সড়কপথে মুম্বাই এসেছে বাংলাদেশ দল, এখানে তাদের ঠিকানা ঐতিহ্যবাহী তাজ মহল প্যালেস হোটেলে। সড়কপথে দুটি বাসে করে মুম্বাই এসেছে দল। পথের মনোরম সৌন্দর্যও উপভোগ করতে পেরেছেন ক্রিকেটাররা।
তাজমহলের অনুসরণেই এই হোটেলের নামকরণ করা হয়। একসময় অবশ্য তাজ টাওয়ারও বলা হতো। এখন বদলে গেছে নাম। তবে শুধু ‘দা তাজ’ বলেই এটি বেশি পরিচিত। মুম্বাই শহরের দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শীর্ষের দিকেই আছে এই হোটেল ও এই এলাকা।
মাঠের ক্রিকেটে টানা তিন ম্যাচে বাজে হারের ধাক্কায় ক্রিকেটারদের বিপর্যস্ত মন কিছুটা হলেও আর্দ্র আর শান্ত হয়ে উঠতে পারে পথের নান্দনিকতার পরশে।
তাজমহলের অনুসরণেই এই হোটেলের নামকরণ করা হয়। একসময় অবশ্য তাজ টাওয়ারও বলা হতো। এখন বদলে গেছে নাম। তবে শুধু ‘দা তাজ’ বলেই এটি বেশি পরিচিত। মুম্বাই শহরের দর্শনীয় জায়গাগুলোর মধ্যে শীর্ষের দিকেই আছে এই হোটেল ও এই এলাকা।
বাংলাদেশের এই দলের কেউ কখনও আগে এখানে থাকেননি বলে জানালেন অপারেশন্স ম্যানেজার রাবিদ ইমাম। তার নিজের অবশ্য এই অভিজ্ঞতা আছে, “২০১১ বিশ্বকাপের সময় যখন আইসিসির হয়ে কাজ করছিলাম, তখন এখানে ছিলাম। দলের অন্যদের এবারই প্রথম। বিস্তারিত খুব বেশি না জানলেও ওরা জানে যে এটা অনেক পুরোনো হোটেল। এরকম জায়গায় এলে বাড়তি একটা ভালো লাগা তো কাজ করেই। এছাড়া হোটেলের চারপাশে দৃশ্যবলীও সুন্দর। ছেলেরা উপভোগ করছে।”
মাঠের ক্রিকেটের যা অবস্থা, তাতে অবশ্য উপভোগের বাস্তবতা খুব একটা নেই দলের। তবে বিশ্বকাপ অভিযানে হারের বিষাদকে সঙ্গী করে বয়ে নিলে তো আর চলে না। ভারতের বিপক্ষে হারের পর টিম মিটিংয়ে আলোচনা হয়েছে ঘাটতির জায়গাগুলো নিয়ে। খোঁজা হয়েছে সমাধানের সম্ভাব্য পথ। দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়েও প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
সেই লড়াইয়ে সাকিব আল হাসানকে পাওয়া দলের জন্য জরুরি। অপারেশন্স ম্যানেজার আশার কথাই শোনালেন অধিনায়ককে নিয়ে, “সাকিবের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়নি, বরং আরেকটু ভালো হয়েছে। ক্রমেই উন্নতি হচ্ছে।”
মঙ্গলবার ম্যাচের আগে সময় আছে আরও তিনদিন। ফিট হয়ে ওঠার যথেষ্ট সুযোগ তাই তার আছে। শনিবার বিশ্রামে থাকবে দল। এ দিন এখানে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার লড়াই। রোববার ও সোমবার অনুশীলন করবে দল। সাকিব কতটা অনুশীলন করতে পারেন, নজর থাকবে সেদিকে।
সাকিব ফিরলেও দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো সহজ হবে না। তবে বিশ্বকাপে সহজ কিছুর প্রত্যাশাও তো করা যায় না। পথে ফিরতে হলে জিততেই হবে। নতুন শহর, নতুন ভেন্যুতে লক্ষ্যটা পুরোনোই। কিন্তু আশা নতুন শুরুর।