ঢাকার ভাগ্য ফেরাতে খেলবেন কি মাশরাফি?
একদিন বিরতির পর সোমবার (২৪ জানুয়ারি) থেকে মাঠে গড়াবে বিপিএলের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচ। হোম অব ক্রিকেটে দিনের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে বরিশাল ফরচুন ও মিনিষ্টার গ্রুপ ঢাকা। দ্বিতীয় ম্যাচের দুই প্রতিপক্ষ চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স।
দিনের প্রথম ম্যাচে দুই দল দুই মেরুকরণ থেকে মাঠে নামবে। ফরচুন বরিশাল নিজেদের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে। হারিয়েছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে। করোনা টেস্টের রেজাল্ট নেগেটিভ সাপেক্ষে এই ম্যাচে আবার দেখা যাবে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইলকে। তাই বরিশালের ম্যাচের দিকে সবার নজর থাকবে আলাদা করে। প্রতিপক্ষ ঢাকা হওয়াতে দৃষ্টির গভীরতা আরো বেড়ে যাবে। কারণ তিন পান্ডবের দল ঢাকা। দলটিকে নিয়ে সবার প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। যদিও প্রথম দুই ম্যাচে হেরে গিয়ে সেই প্রত্যাশাকে মাটিতে নামিয়ে এনেছে দলটি। এই দুই ম্যাচে আবার ইনজুরির কারণে মাশরাফি খেলেননি। বরিশালের বিপক্ষে মাশরাফির খেলার সম্ভাবনা খুব বেশি। আজ (২৩ জানুয়ারি) তিনি অনুশীলন করেছেন। পুরো রানে আপ নিয়ে অনুশীলনও করেছেন তিনি। মাশরাফি খেললে যদি ঢাকার ভাগ্য ফিরে! কিন্তু এমনিতেই বরিশাল অনেক শক্তিশালী। সেখানে আবার গেইল যুক্ত হওয়াতে তাদের শক্তির পাল্লা অনেক ভারী হয়ে উঠেছে। আবার করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসাতে দলে ফিরবেন নুরুল হাসান সোহানও। এমতাবস্থায় ঢাকার জন্য এই ম্যাচে জয় পাওয়া অনেক কঠিনই!
ঢাকা দুই ম্যাচে হারলেও তারা একেবারে বাজে খেলেনি। উদ্বোধনী দিনে তারা ৬ উইকেটে ১৮৩ রান করেও খুলনার বিপক্ষে জিততে পারেনি। পরের ম্যাচে চট্টগ্রামের কাছে হেরে যায় ১৬১ রান তাড়া করতে গিয়ে ৩০ রানে। এই দুইটি ম্যাচেই ঢাকার হয়ে ফিফটি হাঁকিয়েছেন তামিম ইকবাল।
এদিকে বরিশাল প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছিল লো-স্কোরিং ম্যাচে। চট্টগ্রামকে মাত্র ১২৫ রানে আটকে রেখে সেই রান তাড়া করেছিল ৪ উইকেট ও ৮ বল হাতে রেখে। টার্গেট তাড়ায় তাদের জয়টা কিন্তু সহজে আসেনি। মিরপুরের উইকেটে দেখা যাচ্ছে, প্রথম ম্যাচে রান খরা থাকে। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে আবার ঠিকই রান উঠেছে। সোমবার প্রথম ম্যাচ হওয়াতে একই শঙ্কা থেকে যাচ্ছে। এ নিয়ে বরিশালের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বলন, ‘প্রথম ম্যাচে আমাদের উইকেট আমি মনে করি না যে এতো খারাপ ছিল। যদিও দুটি টিমের ব্যাটিংয়ের এক্সিকিউশন সঠিক ছিল না। আমরা খুব একটা ভালো ব্যাটিং করিনি। এর থেকে ভালো ব্যাটিং করা উচিত ছিল মনে হয়। আমার মনে হয় ১৫০/১৬০ হওয়ার মতো উইকেট ছিল। রাতে যেহেতু কুয়াশা পড়ছে বল টার্ন করছে না ও রকম, যার জন্য ব্যাটিংটা অনেক সহজ মনে হচ্ছে। কিন্তু আপনি যদি এটাও দেখেন যে গত চার-পাঁচদিন আমরা সূর্যের আলোটা ও রকম পাচ্ছি না, যার জন্য উইকেটে যখন পানি দিয়ে রোল করছে তখন উইকেটের ভেতরে ময়েশচারাইজ থেকে যাচ্ছে অথবা গ্রাউন্ডসম্যানরা আশা করছে সূর্য উঠবে, শুকনা হবে কিন্তু সেটা নেই। এটা একটা কারণ হতে পারে। এখানে এজন্যই আমার মনে হয় যে আবহাওয়াটা ফলো করে আমাদের কতটুক পানি দিলে ভালো হবে ওটা মাথায় রাখা জরুরি। এক কথায় ছোট্ট করে বললে যে রকমটা আশা করছি ভালো হবে, ও রকমটা হচ্ছে না।’
কাজেই সুজনের কথায় মনে হচ্ছে, পিচ একটা বড় ফ্যাক্টর থাকবে প্রথম ম্যাচে।
দ্বিতীয় ম্যাচে মুশফিকুর রহিমের খুলনা নামবে ঢাকাকে হারানোর সুখ স্মৃতি নিয়ে। চট্টগ্রাম প্রথম ম্যাচে বরিশালের কাছে হেরে গেলেও তাদেরও আছে ঢাকাকে হারানোর মধুর স্মৃতি। খুলনার যেমন ঢাকার ১৮৩ রান টপকে যাওয়ার দৃঢ় মনোবল আছে, তেমনি চট্টগ্রামের আছে ১৬১ রান করেও তা ঢাকাকে করতে না দেওয়ার। খুলনার আছে আন্দ্রে ফ্লেচার, থিসারা পেরেরা, রনি তালুকদারের ব্যাটের ঝলকানি। চট্টগ্রামের আছে উেইল জ্যাকস বেনি হাওয়েলের মতো হার্ড-হিটার আর নাসুম আহমেদ-মেহেদী হাসান মিরাজ-শরিফুলের মতো স্পিন আর পেসের সংমিশ্রণ।
এমপি/এসআইএইচ