বাংলাদেশের সামনে টার্গেট ১৪৯ রান
অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ ক্রিকেটের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে খুব বেশি দূরে যেতে দেয়নি বাংলাদেশের যুবারা। ১৪৮ রানে গুটিয়ে দিয়েছে তাদের গোটা ইনিংস। তখনো বল বাকি ছিল ১১টি। বিরতির পর ১৪৯ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নামবে বাংলাদেশ।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে টস জিতে বাংলার সেনাপতি রকিবুল হাসান প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে তিনি বোলারদের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন, তার শতভাগ প্রতিদান দিয়েছেন তারা। আগের ম্যাচে কানাডাকে গুড়িয়ে দিয়েছিলেন রিপন মন্ডল ও মেহরব। এই ম্যাচ মেহরাব কোনো কিছু করতে না পারলেও রিপন মন্ডল ঠিকই ছড়ি ঘুরিয়েছেন। ৩১ রান দিয়ে তুলে নেন ২ উইকেট। গতবার বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য তানজিম হাসান সাকিব কোনো উইকেট না পেলেও এই ম্যাচে ১০ ওভার বোলিং করে ৩২ রানে নেন ২ উইকেট। ২ উইকেট শিকার ছিল আশিকুর জামানেরও। তিনি ৮ ওভারে ১৪ রানে নেন ২ উইকেট। একটি করে উইকেট ছিল সেনাপতি রকিবুল হাসান ও আরিফুল হকের।
ব্যাট করতে নামা আরব আমিরাতের দুই ওপেনারের উপর একই ওভারে জোড়া আঘাত হানেন আশিকুর জামান। সুরিয়া সতিশ ও কাই স্মিথকে তিনি আউট করেন দলীয় ৬ ও ৮ রানে। দুই জনেরই রান ছিল ২ করে। এরপর মিডল অর্ডারে ধ্রুব পরেশ্বর দলপতি আলিশা শারাফু পুনিয়া মিত্র দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। পরেশ্বর ও আলিশা জুটি যখন ক্রমেই বড় হচ্ছিল, তখনই আঘাত হানেন তানজিম। তিনি আলিশাকে আউট করেন ২৩ রান্ জুটিতে রান এসেছিল ৪৪। পুনিয়া মেহরার সঙ্গে জুটি গড়ে। পরেশ্বরও আবার এগুনের চেষ্টা করছিলেন। এবার তাকে ব্যক্তিগত ৩৩ রানে থামিয়ে দেন দলপতি রকিবুল হাসান। এই জুটি ভেঙ্গ যাবার পর পরবর্তিতে আর কোনো বড় জুটি গড়ে উঠতে পারেনি। আসলে বাংলাদেশের বোলাররা হতে দেননি। একমাত্র পুনিয়া মেহেরাই একা হাল ধরে ইনিংসে বড় করার চেষ্টা করেছিলেন। অপরপ্রান্তে চলছিল তখন শুধু আসা-যাওয়া। খুব দ্রুক বিদায় নেন কেশওয়ানি ( ৩) আলী নাসের (৭)। কিন্তু আসল কাজটি করেন রিপন মন্ডল। তিনি ক্রমেই ইনিংস বড় করতে থাকা পুনিয়া মেহেরাকে ফিরিয়ে দেন ৪৩ রানে। এরপর তিনি ছেটে দেন শেষ ২ উইকেটও। মাঝে একটি উইকটে নেন তানজিম। ফলে ৪৮.১ ওভারে ১৪৮ রানে অলআউট হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এমপি