ফাইনাল থেকে সমান দূরত্বে রিয়াল ও ম্যানসিটি
এক দলে করিম বেনজেমা। আরেক দলে আর্লিং হালান্ড। দুই শিবিরে তারাই ছিলেন তুরুপের তাস। প্রত্যাশার আগুনে দুজনেই ঢেলে দিলেন পানি। তাতে অবশ্য রং হারায়নি রিয়াল মাদ্রিদ ও ম্যানচেস্টার সিটির লড়াই। ফাইনাল থেকে সমান দূরত্বে থেকে প্রথম লেগ শেষ করেছে দুই জায়ান্ট।
মঙ্গলবার (৯ মে) রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে প্রথম সাক্ষাতে ১-১ গোলে ড্র করেছে রিয়াল ও ম্যানসিটি। সামনের বুধবার ফিরতি লেগে দেখা হবে দুই দলের। ফিরতি দেখায় জয়ী দল ইউরোপা সেরা টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলবে ইন্টার মিলান অথবা এসি মিলানের সঙ্গে।
সান্তিয়ানো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে বল দখল আর আক্রমণে এগিয়ে ছিল ম্যানসিটি। ম্যাচজুড়ে ৫৫ শতাংশ সময় জুড়ে বল দখলে রাখে তারা। অতিথিদের ৭ শটের ৬টিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। অন্যদিকে সব মিলিয়ে ৬টি শট নিতে পারে রিয়াল। এর মধ্যে ৪টি ছিল অন-শট।
রিয়ালের হোম ম্যাচে শুরুতে আধিপত্য ছিল সিটিজেনদের। একের পর এক আক্রমণে বিপজ্জনক হয়ে ওঠেছিলেন স্বাগতিকদের গোলমুখে। যেখানে সেরা মুডে ছিলেন থিবো কর্তোয়া। রিয়াল গোলরক্ষক দুবার করে আশাহত করেন কেভিন ডি ব্রুয়েন, রদ্রি এবং হালান্ডকে।
খেলার ধারার বিপরীতে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ভিনিসিউস জুনিয়র। ম্যাচের ৩৬ মিনিটে চোখ ধাঁধানো এক গোল ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। প্রথমে এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা ও ভিনিসিউস দুর্বার গতিতে আক্রমণে ওঠেন। এরপর ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শটে ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসনকে ফাঁকি দেন ভিনিসিউস।
রিয়াল আধিপত্য বাড়ায় দ্বিতীয়ার্ধে। ছন্দে ফিরলেও লিড আগলে রাখার সৌভাগ্য হয়নি কার্লো আনচেলত্তির শিষ্যদের। দূরপাল্লার শটে স্বাগতিকদের গোল শোধ দেন কেভিন ডি ব্রুয়েন। ৬৭ মিনিটে তাকে অ্যাসিস্ট করেন ইকাই গুন্ডোগান। এরপর দুই দল আর কোনো গোল না পেলে অমীমাংসিত থেকে যায় দুই দলের প্রথম লেগ।
আরএ/