সালাহউদ্দিনের পদত্যাগ দাবি সাংবাদিক সংগঠনের
বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে মঙ্গলবার (২ মে) সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার পূর্বে নিজেদের মাঝে আলাপচারিতায় বাফুফের সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সাংবাদিকদের নিয়ে কটাক্ষ করে বলা কথা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গেই ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর কাজী সালাহউদ্দিন এক ভিডিও বার্তায় এ জন্য ক্ষমাও চান। কিন্তু ক্ষমা চাইলেও তার এমন বক্তব্য সাংবাদিকরা মেনে নিতে পারেননি। বিষয়টি ক্রীড়াঙ্গণ ছাপিয়ে প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটির আলোচনায়ও স্থান করে নেয়। কাজী সালাহউদ্দিনের এমন বক্তব্যে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে নিন্দা জানানোর পাশাপাশি তার পদত্যাগও দাবী করেছে সাংবাদিকদের একাধিক সংগঠন। বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক কমিটি (বিএসপিএ)।
বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করার আগে এক পাশে সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাম মুর্শেদী ও আরেক পাশে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদকে নিয়ে বসেছিলেন কাজী সালাউদ্দিন। দু'জনই সংসদ সদস্য। ব্রিফিং শুরু হওয়ার আগে সাংবাদিকরা রেকর্ড করার জন্য তাদের নিজ নিজ মুঠোফোন ও বুম কাজী সালাহউদ্দিনের সামনে রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন, ‘জার্নালিস্টরা এখানে ঢুকতে গেলে তাদের আমার এখানে ফটো দিতে হবে তাদের বাপ-মার। আরেকটা কন্ডিশন হলো তারা বাপের ফটো পাঠাবে, জুতা পরা। এটা হতে হবে মেন্ডেটরি। বাপের জুতা পরা ছবি থাকতে হবে।'
সালাহউদ্দিন এ কথা বলার সময় যে রেকর্ডিং হচ্ছিল তা তিনি জানতেন না। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাফুফের মিডিয়া বিভাগ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তিনি ক্ষমা চেয়ে বলেন, ‘আমি সংবাদমাধ্যমে নিউজ দেখছি। সাংবাদিকদের কষ্ট দিয়ে আমি কিছু বলেছি। তবে আমি সাংবাদিকদের কষ্ট দেওয়ার জন্য কিছু বলিনি। আমি নাবিলের সঙ্গে একটা বিষয় নিয়ে মজা করছিলাম। আমাদের এই কথা যে কেউ রেকর্ড করছিল সেটা আমি জানতাম না। আমি এই কথায় যদি কাউকে কষ্ট দিয়ে থাকি, তবে আমি সকলের কাছে ক্ষমা চাই। আমি আপনাদের উদ্দেশ্য করে কিছু বলিনি। এটা আমার ব্যক্তিগত আলোচনা ছিল। সেখানে রেকর্ডার ছিল এটা আমি জানতাম না।’
এমপি/এএস